Padma bridge Ovizatri
|

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ও পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ

Table of content

Table of Contents

একনজরে পদ্মা সেতু a to z ও পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২২

পদ্মা সেতুর পুরো নামপদ্মা বহুমুখী সেতু
সেতুটির উদ্বোধন হয়২৫ জুন ২০২২
উদ্বোধন করেনপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নির্মাণ প্রতিষ্ঠানচায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড
নকশা প্রণয়ন করেছেআমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম AECOM
জমি অধিগ্রহণ হয়েছে৯১৮ হেক্টর
নির্মাণ খরচ৩০ হাজার কোটি টাকা
পদ্মা সেতুটি দৈর্ঘ্য৬.১৫ কিলোমিটার (২০,১৮০ ফুট)
প্রস্থ ১৮.১০ মিটার (৫৯.৪ ফুট)।
নির্মাণকাজ শুরু২০১৪ সালের, নভেম্বর এর ২৬ তারিখ
নির্মাণ শেষ২৩ জুন ২০২২
সেতুটির পিলার মোট ৪২টি
স্প্যান সংখ্যা৪১ টি
ভায়াডাক্ট পিলার কয়টি ৮১টি
সংযোগ সড়কের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার
সংযোগ সড়ক হচ্ছে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে
সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ করছেবাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ
দেখাশুনার দায়িত্ব পালন করছেkorian Expressway ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
ভূমিকম্প সহনশীল মাত্রা৯ (রিখটার স্কেলে)
সেতুটির মেয়াদপ্রায় ১০০ বছর
একনজরে পদ্মা সেতু a to z

তারিখ শব্দটি আরবি না ফারসি জানতে ভিজিট এ

এছাড়াও পদ্মা সেতু সম্পর্কে তথ্য

  • সেতুর নিকটতম সেনানিবাস হলো পদ্মা সেনানিবাস।
  • প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।
  • প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার এবং প্রতিটি স্পেনের ওজন ৩ হাজার ২০০ টন।
  • সেতুর স্থানাঙ্ক ২৩.৪৪৬০ ডিগ্রি (উত্তর) এবং ৯০.২৬২৩ ডিগ্রি (পূর্ব)।
  • পানির স্তর থেকে এই অত্যাধুনিক সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট এবং এর পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট।
  • সেতুর উপরের তলায় চার লেনের সড়ক এবং নিচতলায় থাকবে রেললাইন।
  • দুই পাড়ে নদী শাসন ১২ কিলোমিটার
  • মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে
  • দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯টি জেলার সঙ্গে সংযোগ ত্বরান্বিত হবে।

পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব ফোকাস রাইটিং

স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবং এর সার্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব

বাংলাদেশের মানুষ এর স্বপ্নের একটি প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাঠামো দৃশ্যমান হয় ২৫ জুন ২০২২। ১০ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর সর্বশেষ ৪১ নং স্প্যানটি নদীর ওপর বসানোর মাধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।

মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬.১৫ কিলোমিটার, রোড ভায়াডাক্ট ৩.৮ কিলোমিটার, রেল ভায়াডাক্ট ০.৫৩২ কিলোমিটার; সে অনুযায়ী সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১০ দশমিক ৪৮২ কিলোমিটার।

নদীর ভাঙন থেকে সেতু ও উত্তর তীর (মুন্সীগঞ্জ) রক্ষার জন্য দুই কিলোমিটার নদী শাসন করা হচ্ছে। নদীর দক্ষিণ তীর (শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত) রক্ষার জন্য প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকা নদী শাসন করা হবে। তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বিবেচনায় নদী শাসনের পরিধি বাড়তে পারে।

সেতুটির মুন্সীগঞ্জ এর মাওয়া প্রান্তে ২.৩ কিলোমিটার এবং জাজিরা প্রান্তে ১২ দশমিক ৮ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয় নিয়ে নানা বিষয়ে দেশের মানুষের মধ্যে নানা ধরনের প্রশ্ন রয়েছে।

আরও পড়ুন

বাজেট ২০২২-২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত সাধারণ জ্ঞান

এসব প্রশ্নের সমাধানের নিমিত্তে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলঃ

তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট একনেকে এর সভায় অনুমোদিত পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা (1.47B USD)।

শুধু সড়ক সেতু নির্মাণের পরিকল্পনায় এর দৈর্ঘ্য হিসাব করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদের শেষের দিকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয়লাভ করলে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।

Continue Browsing Our Education Related Different Category

জানুয়ারিতেই পদ্মা সেতুর বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র-নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান Aecom-কে নিযুক্ত করা হয়।
AECOM পরামর্শক কাজ শুরু করলে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর মধ্যে World Bank ১ হাজার মিলিয়ন ডলার, ADB ৫০০ মিলিয়ন ও JICA ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের আশা প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ সেতু বিভাগ ও অন্যান্য সহযোগীদের সাথে আলোচনার দ্বারা ডিজাইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় প্রস্তাবিত চার লেন-বিশিষ্ট সড়ক সেতুর ডিজাইন পরিবর্তন করে ডেনমার্কের একটি সেতুর মত দ্বিতল বিশিষ্ট সেতুর ডিজাইন প্রস্তাব করে,পরবর্তীতে যা সরকার ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা গ্রহণ করে।

আরও পড়ুন

নোবেল পুরস্কার ২০২২ সম্পর্কিত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

পরবর্তীতে সেতু নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় সংশোধন করে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার (অর্থাৎ ১৬ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা) নির্ধারণ করা হয়।

ইস্পাতের তৈরি অবকাঠামোর ওপর নির্মিত চার লেন-বিশিষ্ট সড়ক সেতুর তলদেশ দিয়ে হবে রেল সেতু। ডিজাইন প্রণয়নের শেষ পর্যায়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে সম্ভাব্য ঋণও চূড়ান্ত হয়।

বিশ্বব্যাংক ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন, এডিবি ৬১৫ মিলিয়ন, জাপান ৪৩০ মিলিয়ন ও আইডিবি ১৪০ মিলিয়ন ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং পরবর্তীতে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

এরই মধ্যে সেতুর ডিজাইন অনুযায়ী প্রাক্কলিত খরচ দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা বা ২ হাজার ৯৭২ মিলিয়ন ডলার।

সংশোধিত ডিপিপি ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি একনেকে অনুমোদিত হয়।

২০১১ সালের জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগী World Bank (প্রধান সহযোগী) প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে এবং সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রকল্পের চলমান কাজ বন্ধ করে দেয়।

২০১২ সালের ২৮ জুন বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জয়েলিক পদ্মাসেতুর সাথে করা চুক্তি বাতিল করলে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীও প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়।

অবশেষে বিশ্বব্যাংকের অনাগ্রহের জন্য ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের ঋণ প্রত্যাখ্যান করে নিজের অর্থে পদ্মা সেতু তৈরির ঘোষণা দেয়।

২০১৫ সালের শুরুতে সেতুর কাজের উদ্বোধন হয় এবং ২০১৭ সালে পদ্মা নদীর বুকে সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়।
সর্বশেষ স্প্যানটি ১০ ডিসেম্বর বসানোর পরে বাকি ছিল, সড়ক ও রেললাইন বসিয়ে রোড ও রেল ভায়াডাক্টগুলোর সাথে সেতুর সংযুক্তকরণ এবং যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তোলা।

ধারনা করা হয় ২০২১ সালের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করে ২০২২ সালের প্রথম দিক বা মাঝামাঝি সময়ে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।যা পরবর্তীতে ২৫ জুন উদ্ভোদন করা হয়।

পদ্মা সেতু নিজের অর্থে নির্মাণের সিদ্ধান্ত এবং তা বাস্তবায়নের সাফল্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা দেশে বিদেশে পরবরর্তীতে খুবই প্রশংসিত হয় সাথে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বেড়ে যায।

মূলত বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্কের অবনতির জন্য এবং ঋণ স্থগিত ও দীর্ঘসূত্রতার ফলে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন কাজ কয়েক বছর পিছিয়ে যায়।

তাই যেখানে ২০১৪ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে কাজের শুরুই হই ২০১৫ সালে এবং এ কাজের সমাপ্তি হয় ২০২১ সালে।

এভাবেই কাজের শুরু ও শেষ করতে বিলম্ব এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া সমাপ্তির পর সেতুর সর্বশেষ প্রাক্কলিত ব্যয় দাঁড়ায় ৩০,১৯৩ কোটি টাকা।

বিশ্বের বাকি দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সকল প্রকল্পেই ব্যয় বেশি হয়।যার মূল কারণ হল নির্মাণসামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও অভিজ্ঞ কারিগরি বিশেষজ্ঞ সেবা বাইরের দেশ থেকে আমদানি ও ধার করতে হয়।কারণ আমাদের সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়।

পদ্মা সেতু নির্মিত হলে বাংলাদেশে এর অর্থনৈতিক প্রভাব কেমন হবেঃ

সেতু নির্মাণ ব্যয় যুক্ত হয়ে বিসিআর ২ দশমিক ১ এবং ইআইআরআর দাঁড়াবে ২২ শতাংশ। যার অর্থ হলো, এ সেতু নির্মাণ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুবই লাভজনক হবে। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ দূরত্ব প্রায় ২ থেকে ৪ ঘণ্টা কমে যাবে।

ঢাকার সাথে সরাসরি সংযোগ সহজ হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যপকভাবে প্রসার ঘটবে, কাঁচামালের সরবরাহ সহজ হবে ও শিল্পায়ন এর প্রসার হবে,

অর্থাৎ ছোট-বড় নানা শিল্প গড়ে উঠবে এবং কৃষির ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ঘটবে।

বিশ্বব্যাংকের স্বাধীন পরামর্শক এবং সেতু বিভাগ নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও সেতুটি নির্মাণের অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ করেছে। যা নিচে তুলে ধরা হলঃ

এসব সমীক্ষা প্রতিবেদনে জানানো হয়,পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থনৈতিক প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বার্ষিক জিডিপি ২ শতাংশ এবং দেশের সার্বিক জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশের অধিক বেড়ে যাবে।

এজন্য আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, সেতুটি নির্মাণের ফলে দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যপক প্রসার হবে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে (এন-৮) ও ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের সাথে যুক্ত হবে।

ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সংযোগ সড়ক স্থাপিত হবে।

সেতুর উভয় প্রান্তে অর্থনৈতিক জোন, হাইটেক পার্ক ও ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্পনগরী গড়ে উঠবে।

বিনিয়োগ বাড়বে সাথে বাড়বে কর্মসংস্থান। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সচল হবে। পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণ কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার, মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের বিভিন্ন রিসোর্টসহ নতুন পুরাতন নানা পর্যটনকেন্দ্র দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হবে।

You may also like these recent government job circular 2022

Biman bangladesh job circular 2022

Bangla academy job circular 2022 pdf

BREB job circular 2022(Update)–পল্লি বিদ্যুত সার্কুলার ২০২২

বর্তমানে ২০১০ সালের হিসাব অনুসারে পদ্মা নদী পার হয়ে হওয়ার মাধ্যমে যেখানে প্রায় ১২ হাজার যান চলাচল করে, সেখানে সেতু খুলে দিলেই যান চলাচল দ্বিগুণ হতে পারে এবং প্রতি বছর যানবাহন ৭-৮ শতাংশ বেড়ে ২০৫০ নাগাদ ৬৭ হাজার যানবাহন চলবে। এই পর্যবেক্ষণ আমরা নিরদ্বিধায় বিশ্বাসযোগ্য ধরে নিতে পারি।

কারণ আমারা ইতপূর্বে দেখছি যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতুর অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে যানবাহন বৃদ্ধি, শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ভোগ-চাহিদা বৃদ্ধির যে প্রাক্কলন করা হয়েছিল, বাস্তবে এর প্রসার ছিল আরো অনেক বেশি।

বিশ্বের সকল দেশেই ব্রিজ, হাইওয়ে, টানেল প্রভৃতিতে যান চলাচল করার জন্য টোল দিতে হয়। বাংলাদেশেও বড় বড় সেতু ও মহাসড়কে টোল প্রদানের প্রথা চালু রয়েছে।তাই পদ্মা সেতু পারাপারে আমাদের টোলের আওতাভুক্ত করা হবে।

বিভিন্ন কারণের মধ্যো স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচ মিটানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকার ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সেতু বিভাগ।

১ শতাংশ সুদসহ এ ঋণ ৩৫ বছরে ১৪০ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। কাজেই এমন হারে টোল নির্ধারণ করতে হয়েছে, যাতে টোলের টাকায় সরকার ঋণ পরিশোধ ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনার কাজ ঠিকভবে সম্পন্ন করতে পারে

এ সেতুর দৈর্ঘ্য যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতুর থেকে প্রায় দ্বিগুণ। কাজেই টোল হার স্বাভাবিকভাবেই তুলনামূলকভাবে বেশি হয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের আশা ও বিশ্বাস ছিলো যে পদ্মা সেতু সচল হলে দেশের সার্বিক দারিদ্র্য সূচক কমে যাবে এবং মানুষের আয় রোজগার বাড়ে যাবে।

যোগাযোগের উন্নয়নসহ দেশের মানুষের সার্বিক স্বাচ্ছন্দ্য বেড়ে যাবে, মানব উন্নয়ন সূচকের অগ্রগতিও বেড়ে যাবে।
শুধু তাই নয় যানবাহনের টোল প্রদান ও টোল আদায়ও এই প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত হবে।

জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব

পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া- শরিয়তপুরের জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সরাসরি সংযোগ সাধিত হয় হয়।

এ সেতুটি অপেক্ষাকৃত কম উন্নত অঞ্চলের অর্থনৈতিক,আর্থ সামাজিক ও শিল্পের বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে।

প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কি.মি. (১৭,০০০ বর্গ মাইল) বা বাংলাদেশের মোট অঞ্চলের ২৯% এলাকাজুরে প্রায় ৩ কোটির থেকেও বেশি জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।

যার ফলস্বরূপ এই প্রকল্পটি দেশের পরিবহন খাত এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে।

শুধু পরিবহন খাতেই নয় ভবিষ্যতে রেল যোগাযোগ, গ্যাস, বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে।ধারণা করা হয় এই সেতুটি নির্মিত হলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রায় ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে যার ফল ভোগ করবে গোটা দেশের মানুষ।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান Pdf Download

অন্যান্য মেগাপ্রকল্প ও পদ্মা সেতু বাজেট ২০২২

মেগা প্রকল্পের ফল ইতোমধ্যে আসা শুরু হয়েছে।

২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত মেগা প্রকল্পগুলোর সার্বিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৬৮.৬০ শতাংশ

দেশের মানুষ হাতে নেয়া মেগাপ্রকল্পগুলো থেকে খুব তারাতাড়ি সুফল ভোগ করতে যাচ্ছে। কারণ এসব প্রকল্পের মধ্যে থেকে বেশ কিছু ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন অর্থবছরের সাথে যোগ হবে।

আগামী ২৫ জুন দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সাথে সাথে এর সূচনা হয়। ডিসেম্বর এর মধ্যে দেশের প্রথম মেট্রোরেল আংশিকভাবে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

অপরদিকে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্প চালু হওয়ার পাশাপাশি রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ইউনিট গুলোর মধ্যে একটি ইউনিট ২০২৩ সালের শুরুতে উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

৮টি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের মধ্যে থেকে ৪টি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার দিকে। এজন্য আগাম বাজেটে সেসব মেগাপ্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট তুলনামূলকভাবে। কমেছে।

আগামী অর্থবছর(২০২২-২০২৩)আরও বেশ কয়েকটি নতুন বড় প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু হওয়ার কথা আছে। পাশাপাশি কিছু চলমান প্রকল্পের গতি তুলনামূলকভাবে,সেসব প্রকল্পে অর্থায়ন বাড়বে।

Also, keep following –

আদমশুমারি ২০২২ রিপোর্ট ও বর্তমান জনসংখ্যা (সর্বশেষ জনশুমারি)

রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস এবং সৃষ্টিকর্ম মনে রাখার সহজ টেকনিক

রাণী ২য় এলিজাবেথ সম্পর্ক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপাধি সমূহঃ

পদ্মাসেতু,ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প (চট্টগ্রাম) এবং ঢাকা বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ীর কাছে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুব দ্রুত যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

প্টয়াখালির পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ধারণা করা যায় তা দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকার ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করলে গুরুত্বপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুতই সম্ভব।

৮টি মেগা প্রকল্প থেকে ৭টি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প—পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, এমআরটি লাইন-৬, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর,

আগামী অর্থবছরে ৩৩ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা পাবে। যা চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বরাদ্দের চেয়ে ২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা কম হবে।

পদ্মা সেতু টোল এবং আরও পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২২

এক নজরে পদ্মা সেতু টোল Ovizatri
এক নজরে পদ্মা সেতু Ovizatri

পদ্মা সেতুর টোলের তালিকা নিচে বর্ণনা করা হলোঃ

১৭ মে টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

পদ্মা সেতুতে টোল কোন যানবাহনে কত টাকা টোলের হার নির্ধারণ করা হয়েছে-

  • প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী,
  • মোটরসাইকেলে -১০০ টাকা,
  • কার বা জিপে -৭৫০ টাকা,
  • পিকআপ ভ্যান -১২০০ টাকা,
  • মাইক্রোবাস -১৩০০ টাকা,
  • ছোট বাসে – ১৪০০ টাকা,
  • মাঝারি বাসে (৩২ আসন বা এর বেশি)–২০০০ টাকা,
  • বড় বাসে —–(৩ এক্সেল) ২৪০০ টাকা

এ ছাড়াও,

  • ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ১ হাজার ৬০০ টাকা,
  • মাঝারি ট্রাক (৫ টনের বেশি থেকে ৮ টন) ২ হাজার ১০০ টাকা,
  • মাঝারি ট্রাক (৮ টনের বেশি থেকে ১১ টন পর্যন্ত) ২৮০০ টাকা,
  • ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫৫০০ টাকা,
    ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) ৬ হাজার টাকা ও
    ট্রেইলার (৪ এক্সেলের বেশি) ৬ হাজারের সঙ্গে প্রতি এক্সেলে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে যোগ করে টোল দিতে হবে।
  • পূর্বে ফেরিতে টোল যেমন ছিল
  • মোটরসাইকেল ৭০ টাকা,
  • কার বা জিপ ৫০০ টাকা,
  • পিকআপ ভ্যান ৮০০ টাকা,
  • মাইক্রোবাস ৮৬০ টাকা,
  • ছোট বাস ৯৫০ টাকা,
  • মাঝারি বাসে ১৩৫০ টাকা,
  • বড় বাসে ১৫৮০ টাকা,
  • ৫ টন পর্যন্ত ট্রাকে ১০৮০ টাকা,
  • ৫ থেকে ৮ টন পর্যন্ত ট্রাকে ১৪০০ টাকা,
  • ৮ থেকে ১১ টন পর্যন্ত ট্রাকে ১৮৫০ টাকা
  • ও ৩ এক্সেলের ট্রাকে ৩৯৪০ টাকা।

পদ্মা সেতু্তে খরচ কত টাকা

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এই প্রকল্প তৈরি করতে সর্বমোট ৩০ হাজার কোটি টাকারো বেশি খরচ করা হয়েছে। এসব সমীক্ষা প্রতিবেদনে জানানো হয়,পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থনৈতিক প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বার্ষিক জিডিপি ২ শতাংশ এবং দেশের সার্বিক জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশের অধিক বেড়ে যাবে।

পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু

১০ই ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে The Business Standard পত্রিকা এবং Wikipedia এর বিশ্লেষণ অনুসারে বিশ্বের ১২২ তম দীর্ঘ সেতু হল পদ্মা সেতু। এছাড়াও বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা যেমন দৈনিক প্রথম আলো , সময়ের কণ্ঠস্বর সহ কয়েকটি দৈনিক সংবাদ পত্রিকা এই সেতুকে ১২২তম দীর্ঘ সেতু হিসেবে উল্লেখ করেছে।

আরও পড়ুন

৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ টেকনিক গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান

পদ্মা সেতুর মোট স্প্যান কতটি

পদ্মা সেতুর মট স্প্যান সংখ্যা ৪১, দৈর্ঘ্যে প্রতিটি স্প্যান প্রায় ১৫০.১২ মিটার (৪৯২.৫ ফুট) লম্বা এবং প্রস্থে ২২.৫ মিটার (৭৪ ফুট) চওড়া।পিলার এর সংখ্যা ৪২ টি।

কিছু পদ্মা সেতু পিক ও ছবি

এক নজরে পদ্মা সেতু টোল Ovizatri
পদ্মা সেতু সকল তথ্য

পদ্মা সেতু ভিডিও

আরো বিস্তারিত তথ্যের প্রয়জন হলে ক্লিক করুন এখানে

উপসংহারঃ

বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জিডিপির প্রবৃদ্ধি, বিভিন্ন সামাজিক সূচকে ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

পদ্মা সেতুর মতো এত বড় একটি মেগা প্রকল্প নিজের টাকায় বাস্তবায়ন করার মত একটট সাহসী যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত ও কৃতিত্বের কারণেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা সারা বিশ্বের কাছে এখন বিশ্বাসযোগ্য।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সকল প্রশ্ন

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত

৬.১৫ কিলোমিটার

পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু

বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ

পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি

৪২ টি

পদ্মা সেতু উদ্বোধন কবে

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ জুন ২০২২ (শনিবার) বেলা ১১.৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জ এর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন

পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয়

৩০,১৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ

পদ্মা সেতুর স্প্যান কয়টি

৪১

About Author

Similar Posts

2 Comments

Comments are closed.