বাজেট কাকে বলে এবং বাজেট কত প্রকার ও কি কি
বাজেট কাকে বলে এবং বাজেট এর সংজ্ঞা
যে কোন একটি দেশের অনুমিত আয় অ ব্যয়ের হিসাব কে বাজেট বলে। একটি দেশের নির্বাচিত সরকার কে দেশের যখন দায়িত্ব দেয়া হয়, তখন সেই সরকারকে আগাম কিছু পরিকল্পনা করে দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে হয়।যেটি আসলে বাজেটের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ রুপ পেয়ে থাকে।
কিছু নির্দেশক যেমন সরকারের হয়ে যাঁরা কাজ করে।থাকেন,সরকারকে তাঁদের বেতন দিতে হয়, পাশাপাশি সরকারকে তার সকল নাগরিকদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা বানাতে হয়,যেমন রাস্তাঘাট, কলকারখানা ইত্যাদি ছাড়াও নানা ধরনের উদ্যোগ নিতে হয়।
সেজন্যে একটি নির্দিষ্ট বছরে কোথায় কত টাকা ব্যয় হবে, সেই পরিকল্পনার নামকেই বাজেট বলা হয়ে থাকে।
পরিক্ষায় আসার মত ২০২২ ২০২৩ অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ পেতে ভিজিট করুন
বাজেট কি এবং বাজেট কত প্রকার ও কি কি
একটি অর্থবছরে সরকারের আয় এবং ব্যয়ের হিসাবকে বাজেট বলে।বাজেটের প্রকৃতি অনুসারে বাজেটকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
চলতি বাজেট কাকে বলে
চলতি বাজেট বাজেট এ সাধারণত দেশের চলতি আয় এবং চলতি ব্যয়ের হিসাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মূলধন বাজেট বা উন্নয়ন বাজেট কাকে বলে
একটি দেশের সরকারের মূলধন আয় এবং মূলধন ব্যয়ের হিসাব নিয়ে যে বাজেটে আলচনা হয়ে থাকে তাকে মূলধন বাজেট বলে।
এক্ষেত্রে আগে দেশ পরিচালনায় যত ধরনের ব্যয় আছে তা পূরণ করা হয়।এবং পরবর্তীতে সারপ্লাস বাজেট হতে দেশের বাকি যে উদ্ধৃত অর্থ রয়েছে তা দিয়ে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে থাকে।
আর এজন্য বরাদ্দকৃত রাখা টাকাই হল উন্নয়ন বাজেট। এই অর্থ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে থাকে।
বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প যেমন,বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট,কালভার্টে ও সেতু নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গ্রামীণ উন্নয়ন তৈরিসহ নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে সরকার।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি যাকে এডিপি প্রকল্প খাত বলা হয়ে থাকে।
উন্নয়ন বাজেট এ রাজস্ব উদ্বৃত্ত পাশাপাশি দেশের ভেতর এবং বাইরে থেকে নেওয়া ঋণ নিয়ে উন্নয়ন বাজেট করা হয়। । এই খাতেই সাধারণত উন্নয়ন বাজেটের খরচ দেখানো হয়।
মূলধন বাজেটিং এর গুরুত্ব
বাজেট এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাগ হল মূলধন বাজেটিং। এটি সাধারণত বড় একটি সময়ের জন্য দেশের মুনাফার নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে।
সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তের কঠোরতা বাড়িয়ে তোলে এবং তুলনামূলক ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
অর্থাৎ, দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত গ্রহণে যদি কোন ভুলত্রুটি থাকে তাহলে তা পরবর্তী সময়ে ইচ্ছা করলে সুবিধামত পরিবর্তন করা যায় না
আরও পড়ুন
চাকরির পরিক্ষায় আসা পদ্মা সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য একসাথে
বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে বিভিন্ন মাত্রায় ঝুঁকি জড়িত থাকে। প্রকল্পের ঝুঁকি নিরূপণ এবং ঝুঁকির
গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণে মূলধন বাজেটিং -এর পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবার
জন্য মূলধন বাজেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ সম্পর্কিত তথ্য টেকনিকে
ফার্মের তারল্য, মুনাফা ও মূল্য
মূলধন বিনিয়োগ সিদ্ধান্তসমূহের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পরিলক্ষিত হয় ফার্ম এর উপর।
ভবিষ্যতে ফার্মের তারল্য, মুনাফা, শেয়ার মূল্য, প্রবৃদ্ধি ও উন্নতি প্রভৃতি কেমন হবে তা আজকের মূলধন ব্যয়
সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। তাই মূলধন বাজেটিং -এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিকল্প উৎসের সন্ধান
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য কোন দীর্ঘমেয়াদী উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে হয়।
এক্ষেত্রে বিকল্প উৎসের সন্ধান ও মূল্যায়ন করতে হয় এবং সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক উৎস থেকে তা সংগ্রহ করতে
হয়। এদিক থেকেও মূলধন বাজেটিং গুরুত্বপূর্ণ।
ভবিষ্যত অনিশ্চয়তা :
মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্ত নেয়া খুবই কঠিন কাজ। এজন্য ভবিষ্যতের অনিশ্চিত বিভিন্ন ধরনের
ঘটনার উপর সঠিক ধারণার প্রয়োজন। তাছাড়া সংখ্যাগতভাবে ভবিষ্যত মুনাফা এবং ব্যয় পরিমাপ করা একটা জটিল সমস্যা।
এছাড়াও মূলধন আয় ও মূলধন ব্যয়ের ভারসাম্যের দিক
থেকে বাজেটকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়
সুষম বাজেট কাকে বলে
সুষম বাজেট হল সেই প্রকারের বাজেট যেখানে দেশের সরকারের মোট যে আয় এবং মোট যে ব্যয় তা সমান হয়ে থাকে।এধরনের বাজেট ই হল সুষম বাজেট।
এক্ষেত্রে সম্ভাব্য আয় সরকারের মোট ব্যয় পরিকল্পনার সমান হয়।
আরও পড়ুন
এ বছর নোবেলজয়ী সকলের নাম সাথে মনে রাখার টেকনিক
অসম বাজেট কাকে বলে
এ ধরনের বাজেট এ সরকারের আয় এবং ব্যয় সমান হয় না।অর্থাৎ পরিকল্পিত ব্যয় আয়ের থেকে কম হয়ে থাকে।
অসম বাজেট আবার দুই রকমের হতে পারে।
১. উদ্বৃত্ত বাজেট কাকে বলে
ইংরেজিতে একে Surplus Budget বলা হয়ে থাকে।সুরকার এর ব্যয় যদি আয় এর তুলনায় আয় কম হয়ে থাকে তখন সেটি উদ্বৃত্ত বাজেট। এ বাজেটে ব্যয় অপেক্ষা আয়ের পরিমাণ বেশি।উদ্বৃত্ত বাজেট বের করার সূত্র-
উদ্বৃত্ত বাজেটে = (মােট আয় – মােট ব্যয়) >০ হয়। অর্থাৎ মােট ব্যয় < মােট আয়।
আরও পড়ুন
আদমশুমারী ২০২১ এর পরিক্ষায় আসা সকল তথ্য
২. ঘাটতি বাজেট কি
ইংরেজিতে একে Deficit Budget বলা হয়ে থাকে। সুরকার এর ব্যয় যদি আয় এর তুলনায় আয় বেশি হয়ে থাকে তখন সেটি উদ্বৃত্ত বাজেট।
এ বাজেটের ঘাটতি দূর করার লক্ষ্যে সরকার দেশের সাধারণ জজনগনের কাছ থেকে প্রধানত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকে,এছাড়াও নতুন অর্থ সৃষ্টি, ,বিদেশ হতে ঋণ এবং সাহায্য নিয়ে থাকে।
আমাদের মতাে উন্নয়নশীল দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিপূর্ণ ব্যবহার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন মঙ্গলজনক।
কিন্তু যদি আবার খুব বেশি পরিমাণে নতুন অর্থমুদ্রা সৃষ্টি করে সরকার তবে দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়ে যেতে পারে এমনকি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেও চলে যেতে পারে পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই বিষয়ে অবশ্যই সরকারকে সতর্ক থাকতে হয়।
ঘাটতি বাজেট বের করার সূত্রঃ
ঘাটতি বাজেটে = (দেশের মােট আয় -দেশের মােট ব্যয়) <০ হয়। অর্থাৎ, মােট ব্যয় > মােট আয়
বাংলা একডেমির বিশাল নিয়োগ এখানে
বাজেট সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন
কিছু সাধারণ প্রশ্ন
প্রধানত বাজেট কত প্রকার
১. সুষম বাজেট
২. অসম বাজেট
বাজেট কি
যে কোন একটি দেশের অনুমিত আয় অ ব্যয়ের হিসাব কে বাজেট বলে।