7 জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও পদবী মনে রাখার কৌশল
Table of Content
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখার কৌশল
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ এর নাম ও তাদের পদবী
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও কে কোন সেক্টরে ছিলেন
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের পরিচিতি সম্পর্কে যে প্রশ্নগুলো বার বার পরিক্ষায় আসে
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখার কৌশল
“সাত হাজার মোম আন”
- সাত=৭ বীরশ্রেষ্ঠ
- হা= বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান,
- জা= বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর,
- র= বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন,
- মো= বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল,
- ম= বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান,
- আ= বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ,
- ন= বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের ছবি

7 জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও পদবী
মুক্তি যুদ্ধের প্রথম শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ( মুন্সি আব্দুর রউফ)
- জন্মঃ ফরিদপুর জেলা
- উপজেলাঃ মধুখালী
- গ্রাম: সালামতপুর
- জন্ম তারিখঃ ১মে, ১৯৪৩
- পদ-মর্যাদাঃ ল্যান্স নায়েক
- কর্মঃ ইপিআর
- সেক্টর নংঃ ১ নং
- শহীদ হনঃ ৮ এপ্রিল , ১৯৭১
মুক্তি যুদ্ধের শেষ শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ( মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর)
- জন্মস্থানঃ বরিশাল জেলা,
- উপজেলা: বাবুগঞ্জ,
- গ্রাম: রহিমগঞ্জ,
- জন্মঃ ৭ই মার্চ , ১৯৪৯,
- পদ-মর্যাদাঃ ক্যাপ্টেন,
- কর্মস্থলঃ সেনাবাহিনী,
- সেক্টর নংঃ ৭,
- শহীদ হনঃ ১৪ই ডিসেম্বর , ১৯৭১
মোঃ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল।
- জন্মঃ ভোলা জেলা,
- উপজেলাঃ দৌলতপুর,
- গ্রামঃ মৌটুপী,
- জন্ম তারিখ: ১৬-১২-১৯৪৭
- পদ-মর্যাদাঃ সিপাহী,
- কর্মস্থলঃ সেনাবাহীনি,
- সেক্টর নংঃ ২,
- শহীদ হনঃ : ১৭-০৪-১৯৭২ তারিখে।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান
- জন্মঃ নরসিংদী জেলা,
- উপজেলাঃ রায়পুরা,
- গ্রাম: রামনগর,
- জন্ম তারিখঃ ২৯শে অক্টোবর, ১৯৪১,
- পদ-মর্যাদাঃ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ,
- কর্মস্থলঃ তৎকালিন পাকিস্তান বিমানবাহিনী,
- শহীদ হনঃ ২০শে আগস্ট, ১৯৭১।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ
- জন্মঃ নড়াইল জেলা,
- গ্রাম: মহিষখোলা,
- জন্ম তারিখ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬,
- পদ-মর্যাদাঃ ল্যান্স নায়েক ,
- কর্মস্থলঃ ইপিআর,
- সেক্টর নংঃ ৮,
- শহীদ হনঃ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান
- জন্মঃ ঝিনাইদহ জেলা,
- উপজেলাঃ মহেশপুর,
- গ্রামঃ খোর্দ্দ খালিশপুর,
- জন্মঃ ০২/০২/১৯৩৪,
- পদ-মর্যাদাঃ সিপাহী,
- কর্মস্থলঃ সেনাবাহিনী,
- সেক্টর নংঃ ৪,
- শহীদ হনঃ ২৮-১০-১৯৭১
সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে আমদের অন্যান্য আরটিকেল ফলো করুন
- পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ও পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ
- ৪৫ তম বিসিএস পরিক্ষার সিলেবাস পিডিএফ
- Govt job preparation
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন
- জন্মঃ নোয়াখালী জেলা,
- উপজেলাঃ সোনাইমুড়ি,
- গ্রামঃ বাঘপাঁচড়া,
- জন্মঃ ১৯৩৪,
- পদ-মর্যাদাঃ স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার ,
- কর্মস্থলঃ নৌবাহিনী,
- সেক্টর নংঃ ১০,
- শহীদ হনঃ ১০-১২-১৯৭১
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ এর নাম ও তাদের পদবী
- হামিদুর রহমান(সিপাহী),
- মোস্তফা কামাল(সিপাহী),
- নুর মুহাম্মদ শেখ(সিপাহী),
- মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির(ক্যাপ্টেন),
- মুন্সি আব্দুর রউফ(ন্যান্স নায়েক),
- রুহুল আমিন(স্কোয়াডন ইঞ্জিনিয়ার),
- মতিউর রহমান(ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট)।
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে প্রথম কে শহীদ হন
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে শেষ কে শহীদ হন
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
মনে রাখার টেকনিকঃ রোজা
প্রথম-রো(মুন্সি আব্দুর রউফ)
শেষ -জা(মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর)
টেকনিকে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও কে কোন সেক্টরে ছিলেন
ছন্দ: “আজ হাজারো মোম এর নূর জ্বলে”
সেক্টর ১,৪,৭,১০,২,০,৮
(বাংলাদেশের আয়তন এক লক্ষ ৪৭ হাজার এর সাথে মত করে মনে রাখতে হবে উপরের সংখ্যাটি।
ঠিক এভাবে -১ কোটি ৪৭ লক্ষ ১০ হাজার ২০৮)
টেকনিক থেকে মিলিয়ে নিন
আজ=আব্দুর রউফ (১)
হা=হামিদুর রহমান(৪),
জা=জাহাঙ্গীর(৭),
রো=রুহুল আমিন(১০),
মো=মোস্তফা কামাল(২),
ম=মতিউর রহমান(০-কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেননি), নূ=নূর মোহাম্মদ(৮)
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের পরিচিতি সম্পর্কে যে প্রশ্নগুলো বার বার পরিক্ষায় আসে
১. প্রশ্ন : বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে থেকে কার মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি?
উত্তর : রুহুল আমীন(বীরশ্রেষ্ঠ)
২. প্রশ্ন : বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে থেকে কার কোনো খেতাবি কবর নেই?
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের।
৩. প্রশ্ন : বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে থেকে কার কবর পাকিস্তান হতে দেশে এনে সমাহিত করা হয়?
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের
৪. প্রশ্ন : বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবর পাকিস্তানের কোথায় ছিল?
উত্তর : করাচির মাশরুর বিমান ঘাঁটিতে
৫. প্রশ্ন : এমন আরো একজন বীরশ্রেষ্ঠ যার কবর এদেশে ছিল না?
উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের কবর
৬. প্রশ্ন : বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের কবর কোথায় ছিল?
উত্তর : ভারতের আমবাসা এলাকায়।
১৯. প্রশ্ন : বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে প্রথম মৃত্যুবরণ করেন কে?
উত্তর : মোস্তফা কামাল,৮ এপ্রিল,১৯৭১।
২০. প্রশ্ন : বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে সর্বশেষে মৃত্যুবরণ করেন কে?
উত্তর : মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর,১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১।
৭. প্রশ্ন : দুই জন খেতাবধারী মহিলা মুক্তিযোদ্ধার নাম কি?
উত্তর : তারামন বিবি ও ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম
নতুন কিছু সরকারি চাকরির সার্কুলার
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের জীবনী
বীরশ্রেষ্ঠ মোঃ রুহুল আমিন
তৎকালীন ভারত এর থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া গানবোট “পলাশ” এর ইঞ্জিন রুম আর্টিফিশার হিসেবে পরিচালনার দায়িত্ব পান তিনি৷
ছয় ডিসেম্বর মংলা বন্দরে পশ্চিম পাকিস্তানি নৌঘাঁটি PNS Titumir দখলের উদ্দেশ্যে মিত্রবাহিনীর সাথে ভারতের হলদিয়া নৌঘাঁটি থেকে যাত্রা শুরু করেন৷ পরদিন দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডের নিকটে পৌঁছানোর সাথে সাথে পাকিস্তানের জঙ্গি বিমান গোলা বর্ষণ শুরু করে ৷যার ফলশ্রুতিতে আক্রমণের কিছু সময় পরে সেখানেই শহীদ তিনি৷ রূপসা নদীর তীরে পরবর্তীতে তাকে সমাহিত করা হয়।
এ সমাধিস্থলেই ২০০৩ সালের শুরুর দিকে দেড় একর জমি জুড়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুম আমিন সমাধি কমপ্লেক্স৷
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ
৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১, ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখকে অধিনায়ক করে একটি স্ট্যান্ডিং পেট্রোল পাঠানো হয় বর্তমান যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে৷
টের পেয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক আর্মি এবং সাথে সাথে চারদিক থেকে ঘিরেও ফেলে তাঁদের৷ সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে জীবনবাজি রেখে আক্রমনের প্রতিহত করতে থাকেন সাহসী নূর মোহাম্মদ শেখ৷
হামকার এক পর্যায়ে কামানের গোলার আঘাতে লুটিয়ে পড়েন সেখানেই৷ পরে সহযোদ্ধারা তাঁর মৃতদেহটি উদ্ধার করেন৷
যশোর জেলার কাশিপুর গ্রামে শায়িত আছেন এই বীর
মুক্তিযোদ্ধা৷
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
মতিউর রহমান ঠিক করেছিলেন, একটি বিমান ছিনতাই করবেন এবং যোগ দেবেন বাংলাদেশর মুক্তিযুদ্ধে,যাতে বাঙালীরা মোহ্মম জবাব দিতে একধাপ এগিয়ে থাকে।
সেই চিন্তা মতাবেক ২০ আগস্ট,১০৭১, মতিউর রহমানের তত্ত্বাবধানে করাচির মশরুর বিমানঘাঁটি থেকে T-33 বিমান উড়তে শুরু করার পরেই বিমানটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিজ হাতে নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি৷
প্রাণপণে চেষ্টা করার পরও ব্যর্থ হন তিনি এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হয় ভারতীয় সীমান্তের কাছে কাছে গিয়ে।
সেখান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে সমাহিত করা হয় মশরুর বিমানঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কবরস্থানে৷
পরবর্তীতে তার দেহাবশেষ ২০০৬ এর ২৪ জুন পাকিস্তান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং পূর্ণ মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
মুন্সী আব্দুর রউফ
তিনি ১৯৬৩ সালের ৮ মে সমকালীন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস এ যোগদান করেন যার বর্তমান নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার পর তিনি অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাথে যুক্ত হন এবং স্বাধীননতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ।
৮ এপ্রিল ১৯৭১ এ রাঙ্গামাটি জেলার মহালছড়ি নৌপথের বুড়িঘাট এলাকায় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ চলাকালে শত্রুর প্রবল গোলা বর্ষণের মুখেও মুন্সী আব্দুর রউফ নিজের অবস্থানেই স্থির ছিলেন এবং থেকে ২ প্লাটুন শত্রু সৈন্য সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে সক্ষম হন।
সংঘর্ষ চলাকালে হঠাৎ শত্রুপক্ষের একটি মর্টারের গোলা তাঁর অবস্থানে আঘাত করলে তিনি আঘাত প্রাপ্ত হন এবং সেখানেই শাহাদাৎ বরণ করেন ।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এই সাহসী ভূমিকা এবং তার মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরশ্রেষ্ঠ মর্যাদায় ভূষিত করেন।
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল
১৯৭১ সালে তৎকালীন সেক্টর কমান্ডারে মেজর খালেদ মোশারফের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন৷
প্রথম দিন মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হঠলেও পরের দিন শত্রুরা চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে তাঁদের৷
যতক্ষণ পর্যন্ত গুলি শেষ হয়নি ততক্ষণ পর্যন্ত একাই লড়াই চালিয়ে বাঁচিয়ে দেন তার সহযোদ্ধাদের৷কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর টিকে থাকতে পারেননি। এক পর্যায়ে তিনি মারাত্মকভাবে আহত অবস্থাতে ধরা পড়েন পাকিস্তানিদের হাতে৷
পাকিস্তানিরা তাকে নৃশংসভাবে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন৷যুদ্ধ শেষ হলে পাকিস্তানি হানাদারেরা যখন চলে যায় তখন গ্রামবাসীরা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মোস্তফা কামালকে সমাহিত করেন৷
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হকের অধীনে ৭নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন৷যুদ্ধ ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখানোর জন্যে রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের দায়িত্ব পড়ে তার উপর।
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রায় ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের পশ্চিমে বারঘরিয়ায় অবস্থান নেন৷
পরদিন অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর সেখানে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর গোলাবর্ষণ করার কথা ছিল৷ কিন্তু সেটি না হওয়াতে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর একাধিকবার ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর৷
পরে সিদ্ধান্ত নেন একাই কোন সহযোগিতা ছাড়া শত্রুদের অবস্থানে আক্রমণ করবেন।সেটা করছিলেন ও।কিন্তু পাকিস্তানি হানাদারদের আধুনিক অস্ত্রমুখে বেশীক্ষন টিকতে পারেননি তিনি,এবং যুদ্ধরত অবস্থতে শহীদ হন তিনি৷
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ চত্বরে এই মহান সাহসী যোদ্ধাকে সমাহিত করা হয়৷
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
সর্বকনিষ্ঠ বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন যশোর জেলার মহেশপুর উপজেলার খর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে৷
তিনি যুদ্ধ করেন ৪নং সেক্টরে৷ ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে হামিদুর রহমান ১ম ইস্টবেঙ্গলের সি কোম্পানির হয়ে ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখল করার অভিযানে অংশ নেন৷
২৮ অক্টোবরের ১৯৭১, ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পাকিস্তান বাহিনীর ৩০-এ ফ্রন্টিয়ার রেজিমেন্টের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়৷
হামিদুর রহমান পাহাড়ি খালের মধ্য দিয়ে বুকে গ্রেনেড নিয়ে হেঁটেই পাক বাহিনীর মেশিনগান পোস্টে অতর্কিত আক্রমণ শুরু করেন৷
একপর্যায়ে দুটি গ্রেনেড সফলভাবে মেশিনগান পোস্টে আঘাত হানলেও,শেষ পর্যন্ত হামিদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন সেখানেই।তাতেও তিনি ক্ষান্ত হননি।
গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তিনি পাক বাহিনীর মেশিনগান পোস্টে গিয়ে সেখানকার দুই জন পাকিস্তানী সৈনিকের সাথে হাতাহাতি যুদ্ধে লিপ্ত হন।
এভাবে প্রাণপণ চেষ্টা করার পর একপর্যায়ে হামিদুর রহমান পাক বাহিনীর মেশিনগান পোস্টকে অকার্যকর করে দিতে সক্ষম হন৷
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে ফাঁড়িটি দখল করতে সক্ষম হয় হামিদুর রহমান এর এই মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে।
কিন্তু ততক্ষণে হামিদুর রহমান আর বেঁচে নেই৷
এরকম আরও বিভিন্ন চাকরি বিষয়ক আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন
Frequently Asked Question
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব কয়টি
৪ টি
বীর উত্তম কতজন
৬৯ জন
বীর প্রতীক কতজন
৪২৬ জন
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম মনে রাখার কৌশল
“সাত হাজার মোম আন”