CEPA agreement
|

CEPA Agreement কী?

দুটি দেশের মধ্যে ব্যবসা, বিনিয়োগ ও
যোগাযোগ বাড়ানোর কৌশলগত উদ্যোগ বা ধারণাই CEPA । এতে দুই দেশের সুবিধা অনুযায়ী, অবাধ বাণিজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন
আদমশুমারী ২০২২ এর সকল আপডেট তথ্য

SEPA Meaning কি

CEPA Comprehensive Economic Partnership Agreement.

বাংলাদেশের CEPA চুক্তি

বিশ্বের অনেক দেশেই সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (EU) দেশগুলোর মধ্যেও এ চুক্তি রয়েছে।

বর্তমানে ভারতের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার CEPA TREATY রয়েছে। আর কানাডা ও বাংলাদেশের সাথে সেপা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলমান। বাংলাদেশ এখনো কারও সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর করে নাই।

আরও পড়ুন
পদ্মা সেতু সম্পর্কে চাকরির পরিক্ষায় আসা সকল সাধারণ জ্ঞান

ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের সঙ্গেই প্রথম স্বাক্ষরিত হবে এই চুক্তি। এই চুক্তির পথ ধরে জাপান, চীন ও EU’র সাথেও CEPA’র সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য CEPA এর গুরুত্ব

২৪ নভেম্বর ২০২৬ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (LDC)
৪ তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। উন্নয়নশীল। দেশে উত্তরণের পর শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যের সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা বাংলাদেশ পাবে না। এতে করে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন
একসাথে শেখ মুজিবর রহমানের সকল উপাধি সমূহ

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক জোটের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের পণ্য সেসব দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে না।

CEPA India Bangladesh

বাংলাদেশ ও ভারত ৪ দুই দেশই বর্তমানে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির I (SAFTA) আওতায় রয়েছে। এর অধীনে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে।

LDC থেকে উত্তরণের ফলে ২০২৬ সালে SAFTA’র বিদ্যমান সুবিধা পাবে না। তখন দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য বাড়াতে নতুন দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রয়োজন হবে।

তাছাড়া ভারত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য সহযোগী। চীনের পর সবচেয়ে বেশি পণ্য ভারত থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ।তবে রপ্তানি সে তুলনায় নগণ্য।

উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতিও অনেক বেশি।
যা প্রায় ১,২০০ কোটি মার্কিন ডলার । ভারত তাদের বাজারে বাংলাদেশের অধিকাংশ পণ্যেই শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও নন- ট্যারিফ বাধার কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছে না।

আরও পড়ুন
রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস মনে রাখার কৌশল

সে হিসাবে দেশটির বিশাল বাজার ধরতে CEPA Treaty সহায়ক হবে। বাংলাদেশ-ভারত সেপা চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০% এবং বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি ১৮৮% বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাংলাদেশ ও ভারতের GDP’তে যথাক্রমে ১.৭২% এবং ০.০৩% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।

About Author

Similar Posts