বর্তমানে দেশে পাঁচটি ইউরিয়া সার কারখানা রয়েছে, তবে গ্যাস সংকটের কারণে একের পর এক এই কারখানাগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই পাঁচটির মধ্যে চারটি কারখানায় উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া, ডলার সংকটের কারণে সার আমদানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
সারের মজুদ ও চাহিদা
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে দেশের যে পরিমাণ সার মজুদ রয়েছে, তা দিয়ে চলমান আমন, আউশ ও অন্যান্য ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হবে। সব মিলে, মজুদকৃত সার দিয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ চালানো যাবে। কিন্তু ডিসেম্বর মাস থেকে দেশে সবচেয়ে বড় রবি ও বোরো মৌসুম শুরু হবে, যেখানে সারের চাহিদা অনেক বেশি থাকবে।
জরুরি ভিত্তিতে আমদানি ও কারখানা চালু
এর জন্য জরুরি ভিত্তিতে ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সার আমদানি করা প্রয়োজন এবং কারখানাগুলি চালু করা অপরিহার্য। অন্যথায়, খাদ্য নিরাপত্তা একটি বড় হুমকির মুখে পড়বে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
কারখানার বর্তমান অবস্থা
জানা গেছে, সর্বশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের হজরত শাহজালাল সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ছয় মাস আগে জামালপুরের সরিষাবাড়ী যমুনা সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়। একই সময়ে বন্ধ হয় আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন। এর আগে, চট্টগ্রামের সিইউএল সার কারখানার উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে শুধু ঘোড়াশাল (পলাশ) সার কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম চালু রয়েছে।
Discover more from অভিযাত্রী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.