আমাদের জীবনে অর্থের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যদি আমাদের আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করি, তাহলে ঋণের ফাঁদে পড়ে যেতে পারি, যা অত্যন্ত কষ্টকর। তাই আমাদের উচিত সঞ্চয় এর দিকে নজর দেওয়া।
এখানে কিছু কৌশল তুলে ধরা হলো:
১. হিসাব করে চলা: আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখুন এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলুন।
২. প্রয়োজনীয় খরচের টাকা সরিয়ে রাখা: মাসিক খরচের জন্য নির্দিষ্ট অংশ বরাদ্দ করুন।
৩. অতিরিক্ত টাকা না খরচ করা: অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়িয়ে চলুন এবং সঞ্চয় বাড়ান।
আমি নিজে দেখেছি, টাকা সেভ না করলে কত ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। একটি গল্পের মাধ্যমে এর গুরুত্ব বোঝানো যাক,
আমার এক বন্ধু ছিল, যিনি ভালো জব করতেন এবং তার আয় অনেক ছিল। কিন্তু তিনি তার সমস্ত আয় খরচ করে ফেলতেন, যার ফলে করোনার মহামারীর সময় তিনি বিপদে পড়েন। তার কোনো সঞ্চয় ছিল না, এবং তার আত্মীয়-স্বজনরা তার দুর্দিনে তার পাশে দাঁড়াননি। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, আমরা বুঝতে পারি যে সঞ্চয় কতটা জরুরি।
এবার আসি কিভাবে টাকা জমানো যায়:
১. বাজার খরচ হিসাব করা: মাসিক বাজার খরচের একটি হিসাব রাখুন এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস কিনুন।
২. বাজে খরচ বন্ধ করা: অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলুন এবং বার্গেনিং করে টাকা বাঁচান।
৩. পেট ভরে বাজারে যাওয়া: বিজ্ঞানীদের মতে, ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাজারে গেলে অপ্রত্যাশিত জিনিস কেনা বেশি হয়।
৪. সেভিংস আলাদা করা: আপনি কতটুকু সেভ করতে পারবেন তা হিসাব করে সেই টাকা আলাদা করে রাখুন।
টাকা বাড়ানোর জন্য শুধু সেভ করলেই হবে না, সেই টাকা যথাযথ কাজে লাগানো উচিত। সঠিক পরিকল্পনা ও চিন্তা-ভাবনা করে কাজ করলে, আপনি অবশ্যই সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। এই সঞ্চয়ের অভ্যাসটি যেকোনো বয়সে শুরু করা যায়, এবং এটি আপনার জীবনের সব পর্যায়ে উপকারী হবে। ধন্যবাদ