যৌনতা: সমাজের অন্ধকার দিক এবং অবদমিত ইচ্ছার বাস্তবতা

Disclaimer: This article discusses sensitive topics related to sexuality, relationships, and societal norms. The views expressed are those of the author and do not reflect any official stance. Reader discretion is advised. Intended for mature audiences.

মেয়েদের মানসিক ক্ষমতা ছেলেদের তুলনায় বিভিন্ন দিক থেকে বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মেয়েরা সাধারণত ভাষাগত দক্ষতা, সহানুভূতি, এবং সামাজিক যোগাযোগে ভালো হতে পারেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে হয়তো এমনকিছু দেখেছেন বা জেনেছেন, একজন মেয়ে আপনাকে বহু আগে একটি কথা বলেছিলেন। সে সময়ে তার ঐ কথা অনর্থক মনে হলেও পরবর্তীতে গভীর, জটিল, বিশ্লেষণধর্মী এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মনে হতে পারে। আমার ব্যক্তি অভিজ্ঞতা থেকেও বিষয়টি খেয়াল করেছি।

মেয়েরা যে পরিমাণ সময় নিয়ে এবং চিন্তা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান একজন ছেলে হিসেবে বলতে পারি খুব সম্ভবত আমাদের ক্ষেত্রে আমরা ছেলেরা হয়তো একই বিষয়ে অর্ধেক সময় দিতেও নারাজ। আমাদের বেশ কিছু মানসিক দক্ষতা অর্জন করতে হয় কিন্তু মেয়েরা জন্মগতভাবে এই মানসিক দক্ষতাগুলো জীনগত কারণে অনেকক্ষেত্রে পেয়ে থাকেন।

তাই মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় আমি অন্তত সবসময় সাবধান থাকি। একইসাথে ছেলে হয়ে এ-সব দক্ষতা অর্জনে ‘Feminine’ অংশের যথাযথ ব্যবহার করলে এসব দক্ষতা আপনি আয়ত্ত্ব করতে পারবেন। এখানে ‘Feminine’ কোয়ালিটি নিজের মধ্যে নিয়ে এসে আধা-মেয়ে হওয়া নয়, বরং ছেলে হয়েও একধরনের ‘Softness’ থাকা তো অন্যায় নয়।

কিন্তু তাই জন্যে ছেলেদের কোনরুপ মানসিক দক্ষতা থাকে না এমন নয়। শুনেছি মেয়েরা যতটা আবেগী ছেলেরা কিন্তু ঠিক ততটাই বাস্তববাদী। আরো একটি বিষয় হচ্ছে, আমরা যখন ছেলে ও মেয়েকে আলাদা করে ভাববো তখন খুব সম্ভবত আমরা একে অপরকে ‘মানুষ’ হিসেবে একটু কম এবং ‘শুধু শরীর’ হিসেবে ছেলে বা মেয়ে বিবেচনায় সামনে আসবে।

আর এ-কারণেই ছেলে ও মেয়ে (পুরুষ ও মহিলা) একে অন্যের পরিপূরক বিষয়টি থেকে আমরা পিছিয়ে যেতে থাকবো। এই সম্পর্ক অনেক সুন্দর। আমাদের বাবা-মায়ের দিকে তাকালে বুঝতে পারি। তাদের মধ্যে ভালোবাসা দেখলে আমাদের সন্তান হিসেবে ভালো লাগে কিন্তু একটু ঝগড়া হতে দেখলে আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে এত বকবক করার কারণ হলো ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ট্রেন্ড দেখছি যে, একজন ছেলের ব্যক্তিত্ব নির্ধারণ করা যেতে পারে তার পছন্দের মেয়েটির উপর। মানে এত সরলীকরণ করার পরেও মানুষের পারসেপশন হলো, “ও! মধু! এতদিন তো আমি এটাই শুনতে চেয়েছিলাম।” দেখুন এটা অনেক সরলীকরণ করা তার উপর ভয়ংকর ভুল হতে পারে। কীভাবে? আপনাকে কোন ধরণের মেয়ে/মেয়েরা পছন্দ করে ওটাই হলো আপনার ব্যক্তিত্ব বা আপনার ব্যক্তিত্বের গভীরতা। মানে পুরো বিষয়টি উল্টো।

এখন একটি নির্দিষ্ট বয়স পর প্রতিটি ছেলে ও মেয়ের পরিবার থাকে, আত্মীয়-স্বজনও থাকে তবুও একধরণের শূন্যতা দুজনের মনে কাজ করে। প্রকৃতির নিয়ম। পাশে বসে থাকা বন্ধু/বান্ধবী কে নিয়ে, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী নিয়ে, প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে নিজের ভালোলাগার ছেলেটি/মেয়েটি কে নিয়ে অদ্ভুত কিছু চিন্তা হরমোন অনুযায়ী শরীরে খেলে যায়। আরো স্পষ্ট করে বললে, যৌনতার তীব্র ইচ্ছে উভয়ের মনে বারবার ঘুরেফিরে আসে। আমরা প্রেম করি যৌনতার কিছুটা ‘Legitimacy’ গোপনে পেতে। এতেও সমাজের অনেক বাধা-বিপত্তি থেকে যায়। এবং এতেও একাধিক ছেলে-মেয়ে হেনস্তার স্বীকার হয়েছেন এবং হচ্ছেন। যেটাকে মোরাল পুলিসিং বললে হয়তো ভুল বলা হবে না।

আমার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অভিভাবক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্ণারে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছিলেন, যা এখনও আছে। সিসিটিভি ক্যামেরা নিরাপত্তার জন্যে হলেও সন্ধ্যা হলেই হয়তো প্রেমিক/প্রেমিকার ঠোঁটে এইমাত্র চুমু খেয়েছেন তো আপনাকে সরাসরি সার্চ লাইটের সামনে পড়ে বিব্রত হতে হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণ দেওয়া যায় যে, একজন বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবক নির্ধারণ করে দিতেন যে, আপনি কারো সাথে ক্যাম্পাসে যৌনতা তো অনেক দূরের বিষয় নিজের পার্টনারের সম্মতি নিয়ে জড়িয়ে ধরে চুমুও খেতে পারবেন না। কি অদ্ভুত নিয়ম তাই না! তখন মনে হয় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় নয় বরং একটি স্কুলে পড়াশোনা করছি। তাই এখানে ‘M+M’ লিখলে হুজুর/স্যার ধরে বহুত পেটাবেন বা ঝাড়বেন।

যৌনতার বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার হওয়া উচিত। দেশের বর্তমান জনসংখ্যার জন্যে হলেও, ছেলে ও মেয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গেলেও, সমাজে স্থিতিশীলতা আনতে হলেও আমাদের যৌনতা নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত।

আমি বরং আমাকে দিয়ে শুরু করি, ২০১১ সালে নিজেকে পরিপূর্ণ ছেলে হিসেবে আবিষ্কার করি। আজ ২০২৪ সাল চলমান, আমি এখনো অবিবাহিত। অন্যদিকে আমি ‘LGBTQ+’ কমিউনিটির কেউ নই, আমি ‘স্ট্রেইট’ এবং আমার মধ্যে প্রকান্ড না-হলেও প্রয়োজনীয় যৌন ক্ষুধা আছে। গত ১৪ বছর ধরে আমি আমার এই যৌন ক্ষুধা কে খুব কষ্ট করে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, নিজের চরিত্রের দিকে খেয়াল রেখেছি, স্বীকার করছি কিছু ভুলচুক হয়তো হয়ে গেছে নিজের অজান্তেই।

আরো স্বীকার করতে চাই, আমার হাতে সুযোগ ছিলো অবাধ যৌনতা করার তাও একাধিক মেয়ের সাথে। কিন্তু কারো সাথেই বিছানা অবধি যাই নাই। একবার ভাবুন তো, কি পরিমাণ আত্ম-নিয়ন্ত্রণ লাগে অন্তত এতটুকু স্বচ্ছ ও সহনশীল পর্যায়ে থাকতে? আরো ভাবুন, আমি নেহাৎ সাধারণ একজন ছেলে। বাকিদের জন্য আরো বেশি সুবিধে ছিলো। তারা কীভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছেন গত এক যুগ ধরে? আমি সত্যিই জানিনা।

একবিংশ শতাব্দীতে এসে যেখানে বলা হচ্ছে, “Marriage is a failed institution in the 21st century.”। কথাটি কি একেবারে ভিত্তিহীন? না ভিত্তিহীন নয়, কিন্তু আমার যৌনতা দরকার এবং এজন্য স্বীকৃত উপায় আমার হাতে কি কি আছে? আপনি বলবেন, এই লোক ‘Egoism’ এ বিশ্বাসী লোক, সমস্যা নাই বলুন তবুও আমার স্বীকৃত যৌনতা লাগবে।

আমরা যারা স্ট্রেইট আছি এবং আমাদের প্রয়োজনীয় যৌন ক্ষুধা আছে অন্তত আমাদের স্বীকৃতভাবে যৌনতার সুযোগ দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরের বেশি সময় পরেও নির্লজ্জের মত যে বলতে হচ্ছে তাতে আমি নিজেকে মোটেই নির্লজ্জ ভাবছি না। কারণ এই ইচ্ছেটা শুধু আমার একার নয়। এই ‘urge’ আমার একার নয়। এই ‘urge’ নিয়ন্ত্রণ কিছু সময়ের জন্যে সম্ভব হলেও যুগ জুড়ে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

এখন এক নির্দিষ্ট মহল আসবেন এবং কিছু প্রশ্ন তুলবেন,

১. সেটেল্ড হও তারপর না-হয় বিয়ে করো?

২. বিয়ে করে বউকে কি খাওয়াবে?

৩. তোমার জীবনে কি বিয়েই একমাত্র উদ্দেশ্য?

এই কথাগুলো এত ননসেন্স কেন মনে হয় আমার? এই কথাগুলোর ভিত্তি পাই না কেন? মানে আপনাকে আমি যদি পাল্টা প্রশ্ন করি, “প্রথমত আমাকে এই ‘সেটেল্ড’ হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করুন? এটা খায় না মাখে?”, “আপনি কি গ্যারান্টি দিতে পারবেন আমি আগামী দশ বছর কি বেঁচে থাকবো?”, “আপনি কি গ্যারান্টি দিতে পারবেন আমি চাকুরী পেতে পেতে আমার আরো এক যুগ লাগবে না?”, “আপনি কি গ্যারান্টি দিতে পারবেন আমি চাকুরী পেলেও তা অবশ্যই টিকবে?”

আসলে আপনি ভন্ড। আপনি জানেন এদেশে পরিমিত কর্মসংস্থান নাই। সবার চাকুরী নিশ্চিত করা এখানে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আপনাদের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে কর্মজীবনের দা-কুমড়া সম্পর্ক। টেকনিক্যালি আপনি কোনো-না-কোনো ভাবে আমাদের বুঝাতে চাইছেন যে, যৌনতা হচ্ছে একধরণের বিলাসিতা এবং যৌনতা সবার জন্য নয়। কিন্তু এটা জেনেও বলছেন না, যৌনতা না পেলে সমাজের নৈতিকতা জাহান্নামে যাক, এবং ধর্ষণ সহ রক্ষিতার সংখ্যা বেড়ে যাক, আরো পতিতালয় এদেশে ইন্ট্রিডিউস হোক।

এখন তো ছেলে পতিতাও বাজারে পাওয়া যায়, আমাদেরও তাহলে লাইসেন্স দিয়ে দেন। হাসি পায় আপনাদের মত শয়তানদের দেখলে। আপনাদের চেতনা জাগে, আমাদের (ছেলে/মেয়ে) অন্যকিছু জাগে। আমাদের প্রয়োজন হয় ভাই। আপনার প্রয়োজন কেন হয় না সেজন্য না-হয় সর্বোচ্চ ডাক্তার দেখালেন। আর যদি সেটাও না পারেন তাহলে ‘LGBTQ+’ কমিউনিটির সদস্যপদ গ্রহণ করুন।

এই মহল থেকে বাঁচার পর আরেক তথাকথিত মহল বাংলাদেশে আছে। আমি এটাকে বলি ‘তথাকথিত সমাজ’। অবশ্য আমাদের এবং বর্তমান প্রজন্মের সমাজ নহে। এরা যৌনতা কে এমন চোখে দ্যাখে যাতে মনে হয় যৌনতা বিশাল বড় জঘন্য কাজ। ওদিকে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি + ছাড়িয়ে গেলো। হ্যাঁ, বুঝলাম, বিয়ের পূর্বে ইসলাম ধর্মে যৌনতা অনেক বড় গুনাহ্‌ (স্বীকার করছি)। কিন্তু বিয়ে ছাড়া তো আমাদের স্বীকৃত যৌনতা মিলছে না, তাই না? তাহলে বিয়ে এত কঠিন কেন করে তুলেছেন?

এই তথাকথিত সমাজও বিয়ের খরচ অনুযায়ী আমাদের কিন্তু একই জিনিস বুঝাচ্ছে যে, যৌনতা হলো বিলাসিতা এবং সবার জন্য নয়। অন্তত কিছু লাখ টাকা নিয়ে এসো (বর-কনে দুই পক্ষ) তাহলে আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করবো। মুরুব্বি, আমার পছন্দের মানুষের চিন্তা নাই আমি তাকে কি খাওয়াবো, যেহেতু আমার পছন্দের মানুষকে আসতে দেবেন না সুতরাং আপনি এসেন? আমরা স্ট্রেইট থেকে গে হয়ে যাই? এবং এটা শুধু এই নির্দিষ্ট মুরুব্বীদের জন্য অফার। আপনার পায়ুপথ তৈল দিয়ে তৈয়ার রাখুন।

এখন ছেলে ও মেয়ে গত্যন্তর না পেয়ে একটু পার্কে, একটু রেস্টুরেন্টে, একটু গোপনে একেবারেই তাদের ‘Temptation’ ধরে রাখতে না পেরে একটু চুমু খেতে গেছে তো জাত চলে গেছে, মুরুব্বীদের মাথায় হাত। মুরুব্বী এখন বাংলা সিনেমার ভিলেনের মত করে চিল্লান দিচ্ছে, “এই বংশের ছেলে/মেয়ে হয়ে নিজ বংশের নাম নষ্ট করতে পারলে কীভাবে?” ভাবখানা এমন তিনি এসবের কিছুই বুঝেন না, জানেন না। কিন্তু ঐ মুরুব্বীর জীবন যদি দাড়িপাল্লায় তোলা যায় তাহলে অবিশ্বাস্য রকমের অশ্লীল যৌনতার চর্চা পাবেন। আমি গ্যারান্টি। তাই বলি কি মুরুব্বী, আমরা দুইজন যদি না খেয়ে থাকতে হয় তাহলে না খেয়ে থাকবো। আপনি না-হয় অন্তত সাক্ষী দিয়ে আমাদের একটু রেহাই দেন। এটাই তো সংসারের নিয়ম। বাঙালী/বাংলাদেশীদের সমাজ।

এই মহলের পর আরেক মহল আছে। তাঁরা উচ্চশিক্ষিত। তাদের কাছে আছে একটি খুব সুন্দর প্রশ্ন কম একপ্রকার অস্ত্র হচ্ছে, “তোমার জীবনে বিয়েই কি একমাত্র উদ্দেশ্য?”, “কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছো কি প্রেম করার জন্য?” সুন্দর প্রশ্ন! না, আমার জীবনে বিয়েই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, যৌনতা আমার প্রয়োজন। আমাদের আপনারা যৌনতার একটা সুযোগ করে দেন? আমরা আর কত পার্ক, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, কারো আত্মীয়ের বাড়ি মাথা হেঁট করে যাবো এবং পুলিশের মোরাল পুলিশিং দ্বারা অসম্মানিত হবো? আমরা হাতে হাত রাখলেই মানুষ ‘হা…’ করে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে যেন কোন জীবজন্তু দেখছেন! ভাগ্যিস জাদুঘরে নিয়ে যায় না।

দেখুন, জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য তো বিয়ে করা নয়, কিন্তু যৌনতা আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আরো এক যুগ অপেক্ষা করবার মত ইচ্ছে করে না, তখন হয়তো ছেলে/মেয়ের চেতনা আর তেমন করে জাগবেও না।

মানছি, স্ট্রেইট হলেও সবাই খুব বেশি বা প্রয়োজনীয় যৌনতা অনুভব করেন না। কিন্তু প্রয়োজনীয় যৌনতা অনুভব করেন এমন মানুষদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আপনি সুশীল বা মহান বা সাধু বা শায়েখ বলবেন, “এসব দেহের আকর্ষণ, Lust!” হ্যাঁ, ভাই, আমাদের ‘Lust’ -ই দরকার। আমাদের দেহের-ই দরকার। আমাদের মহান হওয়ার কোনরুপ ইচ্ছা নাই। আর এই দরকার শুধু ছেলেদের নয়, মেয়েদেরও। সবার সাধু/সন্নাসী/শায়েখ হওয়ার প্রয়োজন নাই। আমরা রোজা রাখলে তো আরো উত্তেজনা বাড়ে। আপনারা দূর্ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রেখে দিচ্ছেন। বিয়ে নিয়ে শুধু সমালোচনা-ই করলেন, বিয়ের কি একটিও ভালো দিক নাই? সব ভুল? তাহলে তো আমাদের বাবা-মা ও ভুল। ওদের ডিভোর্স দিতে বলেন যেহেতু বিয়েতে খুব বেশি একটা ফায়দা মিলছে না।

আর একটা বিষয় জানাতে চাই, যৌনতা কি শুধুই পুরুষতান্ত্রিক? মানে পুরুষের ইচ্ছাই কি যৌনতা? তাহলে নারীর তো যৌনতার প্রয়োজন নাই। নারীর রোমান্স হলেই চলছে। একসাথে সি-বীচে ঘুরতে যাওয়া, সমুদ্র ও পাহাড় নিয়ে কুইজ খেলা, রাতের বেলা লুডু খেলা, মেঠোপথে দুজনে হাত ধরে হেঁটে চলা… এগুলো একজন নারী তার বাপের বাড়ি থেকে আরামে করতে পারেন। এসবের জন্য ডেডিকেটেড একজন পুরুষ কেন গোলামী করবে? মানে পুরুষদের আর কোনো খেয়ে দেয়ে কাজ নাই, তাই না? নারীদের দেহে যে হরমোনগুলো আছে এসব এমনি এমনি যেমন,

১. Estrogen – ইস্ট্রোজেন
২. Progesterone – প্রোজেস্টেরন
৩. Testosterone – টেস্টোস্টেরন (অল্প সংখ্যক)

যে দুই একজন মেয়ের সাথে পরিচয় তারা ভাগ্যিস লেসবিয়ান ছিলো না। তারা যৌনতা কে আহামরি জীবন থেকে আলাদা কিছু দ্যাখেন না। বরং যৌনতাও যে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সেটা স্বীকারে কোনরুপ দ্বিধাবোধ করতে দেখি নাই। মানে আমরা যারা স্ট্রেইট। আমরা মানি, যৌনতা একমাত্র বস্তু নয় যার মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যে একধরণের সুন্দর সম্পর্ক তৈয়ার হবে। আরো অনেক উপাদান থাকে। কিন্তু যৌনতা কে আরো সহজভাবে দেখা জরুরী। যৌনতার ব্যাপারে আমাদের স্পষ্ট হওয়া জরুরী। কারণ একজন স্ট্রেইট ব্যক্তি শুধু সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েন না। মানে একজন স্ট্রেইট ছেলে একজন নরসুন্দর স্ট্রেইট/গে/বাই ছেলের প্রেমে পড়েন না, পড়তে পারেন না, ক্লিয়ার?

আর আমি ‘LGBTQ+’ কমিউনিটির সদস্য হতে চাই না, আপনার বিয়ে নিয়ে যদি অনেক আপত্তি থাকে তাতেও আমরা যারা স্ট্রেইট আছি তাদের কোনো আপত্তি নাই, আমরা আমাদের মত করে বিয়ে করে নেবো। আর আপনাদের জন্য ‘LGBTQ+’ কমিউনিটি বিদ্যমান। এছাড়াও নামে যখন আপনারা মুসলিম অন্তত এজন্য হলেও ফেসবুকে পার্টনারের যেমন সুন্দর চুমুর দৃশ্যের ছবি ছাড়ছেন, প্রেমকে নরমালাইজ করছেন তাতেও আমার আপত্তি নাই, ধোয়া তুলসীপাতা তো আমিও নই! কিন্তু সবকিছুরই একটা ‘কাট-অফ’ বয়স থাকে। এবার না-হয় বয়েস হয়েছে সেজন্য হলেও বিয়েটাকেও নরমালাইজ করবেন আশা করি।

ধন্যবাদ


Discover more from অভিযাত্রী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Leave a Reply

Discover more from অভিযাত্রী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading