আত্মহত্যার প্রবণতা: কারণ ও প্রতিকার

Disclaimer: The information provided in this article is for educational and informational purposes only. It is not intended as a substitute for professional advice, diagnosis, or treatment. Always seek the advice of your physician or other qualified health provider with any questions you may have regarding a medical condition. If you or someone you know is experiencing suicidal thoughts, please seek immediate help from a mental health professional or contact emergency services.

আত্মহত্যার পরিসংখ্যান

পৃথিবীতে যত মানুষ আত্মহত্যা করে তার চাইতে দশ গুণ বেশি মানুষ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। আর ১০০ গুণ বেশি মানুষ আত্মহত্যা করার চিন্তা করেন। আমরা আশেপাশে সচরাচর যে আত্মহত্যা দেখতে পাই তার পাশাপাশি আরও অনেক রকম আত্মহত্যা আছে। অনেকে আত্মহত্যা করার জন্য ডাক্তারকে অনুরোধ করে। অনেকে দেশের জন্য প্রাণ দেয় আবার অনেকে প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজের গায়ে নিজেই আগুন দেয়।

বাংলাদেশে আত্মহত্যার হার

আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো আমাদের আশেপাশে সচরাচর যে আত্মহত্যা হয় তার কারণ। পৃথিবীতে প্রচুর মানুষ আত্মহত্যা করে তার মধ্যে বাংলাদেশে গত ১০ বছরে প্রায় দশ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেছে অর্থাৎ দিনে ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষ আত্মহত্যা করে।

আত্মহত্যার কারণ

যখন মানুষ আত্মহত্যা করে তখন তার কারণ বের করতে অনেক সময় ভুল করি। আমরা মনে করি, মানুষ পরীক্ষায় খারাপ করার কারণে বা ঝগড়া করার কারণে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণে আত্মহত্যা করে থাকে। ধরুন, বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দেয় তার মধ্যে ১০% পরীক্ষায় খারাপ করে অর্থাৎ এক লাখ। কিন্তু এই এক লাখের আবার ১০% আত্মহত্যা করে থাকে। এজন্য পরীক্ষায় খারাপ করা কে দায়ী করা বোধহয় ঠিক হবে না। এই ১০ থেকে ১৫ জনের মধ্যে আলাদা কোন বিষয় আছে যার জন্য তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

আত্মহত্যার ঝুঁকি

আমরা যখন আত্মহত্যার মেডিকেল মডেলের কথা চিন্তা করি তখন আত্মহত্যার কিছু ঝুঁকি আছে আর আত্মহত্যার কিছু ফ্যাক্টর আছে। ধরুন, আপনার বাবা-মার কারো মধ্যে ডায়াবেটিস আছে তাহলে আপনার মধ্যে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর উপর যদি এমন হয়, ধরেন, আপনার ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস খুব বেশি তাহলে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা আরো কয়েকগুণ বেশি হয়ে যায়। যদি এরকম হয় আপনি একটু মোটাসোটা মানুষ তাহলে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার চান্স বেড়ে যায়। আর যদি এরকম হয় আপনি কোন এক্সারসাইজ করেন না তাহলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অর্থাৎ আগে থেকে আপনার যে নেতিবাচক ঝুঁকি আছে তার সাথে নতুন নতুন ঝুঁকি যুক্ত হয়ে আপনার ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।

ঠিক সেরকম আমরা যখন আত্মহত্যার মেডিকেল মডেলের কথা চিন্তা করি তখন এরকম অনেকগুলো ঝুঁকি আছে। একটার পর একটা ঝুঁকি যুক্ত হয়ে মানুষের আত্মহত্যা করার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এই ঝুঁকি গুলোকে মূলত আমরা তিন ভাগে ভাগ করে থাকি:

১. শারীরিক বা জৈবিক ঝুঁকি: যেমন পরিবারে কারো আত্মহত্যা করার ইতিহাস আছে কিনা।

২. মানসিক ঝুঁকি: যেমন কিছু মানসিক রোগ যা মানুষকে আত্মহত্যা করার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

৩. সামাজিক ঝুঁকি: যেমন বেকারত্ব, দরিদ্রতা, এবং সামাজিক মূল্যবোধের অভাব।

আত্মহত্যার প্রতিকার

মানুষ যখন জীবনের মূল্য খুঁজে পায় তখন তার মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা কমে যায়। ধর্ম মানুষের জীবনকে বড় একটা হায়ার মিনিং দেয় এবং আত্মহত্যা করার প্রবণতা থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। যারা আত্মহত্যা থেকে দূরে থাকে তাদের একটা বড় অংশ ধার্মিক হওয়া আবার যে দেশগুলোতে ধর্ম পালন করার প্রবণতাও বেশি সে দেশে আত্মহত্যা করার প্রবণতাও তত কম।

ছবি: Image by mdjaff on Freepik


Discover more from অভিযাত্রী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Leave a Reply

Discover more from অভিযাত্রী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading