পারসেপশন প্যারাডক্স: জনগণের অনুধাবন ও রাষ্ট্রের বাস্তবতা
ইসলামী চিন্তাধারা থেকে গণতন্ত্র: জনগণের ইচ্ছা ও শাসকশ্রেণীর দ্বন্দ্ব
ইসলামী চিন্তাধারায় বলা হয় যে, “যেমন জনগণ, তেমন শাসক”। অর্থাৎ, যদি জনগণ ন্যায়পরায়ণ হয়, তবে তাদের শাসকরাও ন্যায়পরায়ণ হবে; অন্যথায়, তারা একইভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হবে। একটি দেশের জনগণ যেমন হবে তাদের শাসকশ্রেণীও তেমন হতে বাধ্য। পবিত্র আল-কোরআনে সূরা আল-মায়িদার ৭৯ নং আয়াতে এই বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের শাসক নির্বাচনের ভূমিকা নির্ধারণ করে ঐ রাষ্ট্রের জনগণ মূলত কেমন? “গণতন্ত্র হলো, জনগণের, জনগণের জন্য ও জনগণের দ্বারা নির্বাচিত (For the people, of the people, by the people = Democracy)” — আব্রাহাম লিংকনের প্রদত্ত এই গণতন্ত্রের সংজ্ঞা সাড়া বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও সমালোচিত। আবার ইসলাম ধর্মের একদল এই ‘গণতন্ত্র’ এর পক্ষে এবং আরেকদল এই ‘গণতন্ত্র’ এর বিপক্ষে অবস্থান করছেন যুগ যুগ ধরে। তাই ‘গণতন্ত্র’ একটি মীমাংসিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা কোনোভাবেই নয়।
গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদ মিলে এমন একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয় যেখানে ‘টাকা’ সবকিছু নির্ধারণ করতে শুরু করে। টাকা নির্ধারণ করতে শুরু করে আমাদের অস্তিত্বের গুরুত্ব পর্যন্ত। আমরা কতটুকু ‘অর্থপূর্ণ/মূল্যবান’ এই বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দেয় ‘টাকা’। একটি গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদে জর্জরিত রাষ্ট্র বস্তুবাদ ও ভোগবাদের দিকে ধাবিত হতে পারে।
এই ধরণের রাষ্ট্রে শাসকশ্রেণী যা বলছেন তা জনগণ শুনতে চায়। মিডিয়া যা দেখাচ্ছে জনগণ তা দেখতে চায়। বুদ্ধিজীবী মহল (শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার) যা কিছুই লিখছে জনগণ সেসব পড়তে চায়। সংক্ষেপে, আমরা ওটাই শুনতে, জানতে, দেখতে ও পড়তে চাই যেটা আমরা অনুধাবন করি। আমাদের মতের অমিল হলে বা একটু ব্যতিক্রম হলে সেটা আমরা চাই না। আমরা তা সহ্য করতে পারিনা। তাই আমাদের ইচ্ছার-ই একধরনের পরোক্ষ প্রতিফলন ঘটে এই সমস্ত জায়গায়।
আমাদের রাজনৈতিক দল গঠিত হয় এই জনগণের মন ভরানোর জন্য। তারা যখন কোন সমাবেশ করে এবং ঐ সমাবেশে ওটাই বলে এই জনগণ যেটা শুনতে চায়। মিডিয়া আবার ঐ সমাবেশ তখনই সরাসরি সম্প্রচার করবে যখন জনগণের ঐ সরাসরি সম্প্রচার দেখার ইচ্ছা তৈরি হবে। বুদ্ধিজীবী মহল আবার ঐ সমাবেশে কি ঘটলো তা নিয়ে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দুই কলম লিখতে পারে যদি জনগণ সেটা চায়।
কিন্তু সার্বক্ষণিক এই জনগণের মন ভরানোর জন্য কাজ করতে হয় কেন? প্রথম কারণ হলো, ক্ষমতা এবং দ্বিতীয় কারণ হলো, প্রাসঙ্গিকতা। এবং এই সবকিছুর মূলে আছে ‘টাকা’। রাজনৈতিক দল এমন ক্ষমতা নিয়েই বা কি করবে যেখানে ‘টাকা’ নাই? একটি টেলিভিশন চ্যানেল এত কষ্ট করে ব্যয়বহুল কোনো সরাসরি সম্প্রচার কেন করবে যদি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘টাকা’ উপার্জন করতে না পারে? একজন বুদ্ধিজীবী মহলের কেউ ঘন্টার পর ঘন্টা ঐ সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করে তারপর পড়াশোনা করে এই পুঁজিবাদী সমাজে ‘টাকা’ ছাড়া কেন লিখবেন? কারো হাতেই তো অঢেল সময় নাই। তাই নয় কি?
বাংলাদেশ একটি মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে গড়ে উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে আছে উৎপাদনমুখী শিল্প ও রেমিট্যান্সের উপর; যা মূলত পুঁজিবাদী। আবার আমরা যে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করে থাকি সেটাও পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ফলাফল হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
সুতরাং একটু আগে যে ‘টাকা’ সম্পর্কে বললাম রাষ্ট্র সেই ‘টাকা’ উপার্জন করে ঐ রাষ্ট্রের জনগণের থেকে। সংক্ষেপে, আমরা টাকা উপার্জন করে রাষ্ট্র কে পরিচালনা করে থাকি। এখন যেহেতু আমাদের টাকায় রাষ্ট্র চলে সেহেতু রাষ্ট্র কে আমাদের কথা শুনতে হবে, আমাদের মত করে চলতে হবে, আমাদের মত করে ভাবতে হবে।
বিষয়টি শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের টাকায় যেহেতু রাষ্ট্র চলতে পারছে সেহেতু রাষ্ট্রের শাসকসহ রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত যাবতীয় কলকব্জা কেও আমাদের অনুধাবন অনুযায়ী চলতে হবে।
পুরো বিষয়টি শুনে একটুও কি ভয় লাগছে না? একটি রাষ্ট্রের শাসকশ্রেণী সহ তার যাবতীয় কলকব্জা যদি আমাদের ‘অনুধাবন/উপলব্ধি (Perception)’ অনুযায়ী চলে তাহলে কি সেটা কম বিপদের কথা! এই ধরণের রাষ্ট্র কতটুকু সত্যের উপর চলতে সক্ষম? কতটুকু ভালো শাসক নির্বাচন করতে সক্ষম? কতটুকু ভালো বুদ্ধিজীবী মহল উপহার দিতে সক্ষম?
সৃজনশীল হলেই সেটা নান্দনিক হয়ে ওঠে না। সৃজনশীল হলেও সেটা ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে, যেমন: পারমাণবিক বোমা ও ভবিষ্যত এআই। বিশেষ করে যে রাষ্ট্রের মূল ধারণা নির্ভর করে আছে শুধুমাত্র ‘টাকা’ এর উপর।
এই ধরণের রাষ্ট্রে সার্বক্ষণিক জনগণের মন ভরাতে গিয়ে নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে বেহাল দশা ঘটে শাসকশ্রেণীর, মিডিয়ার ও বুদ্ধিজীবী মহলের। আমরা দিনে দিনে খুবই ভুলভাল মানুষদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব দিয়েছি যারা আমাদের মূর্খ বানিয়ে রেখেছে। অথবা, আমরা নিজেরাই মূর্খ থাকতে চাই তাই রাষ্ট্রের সকল কলকব্জা কে সচল থাকতে গিয়ে মূর্খ হতে হয়েছে বা হচ্ছে।
আমরা প্রয়োজনীয় সৃজনশীল নই তাই রাষ্ট্রও সৃজনশীল হতে চায় না। আমাদের রুচির সমস্যা তাই রাষ্ট্রের সিনেমাপাড়া থেকে মিডিয়ার কোন অংশ আজও রুচিশীল হতে পারে নাই। আমরা প্রয়োজনীয় বিবেবকান নই তাই মব জাস্টিস আজ নিত্যকার ঘটনা।
আমি একটি উদাহরণ টানছি: অপু ভাই, টিকটক, অপু ভাইয়ের সুন্দরী মেয়েবন্ধু এবং অপু ভাইয়ের ল্যাম্বরগিনি। গত কয়েকদিনে এই বিষয়ে এত এত আর্টিকেল লেখা হয়েছে যে, আপনি শুধু ফেসবুকে বা গুগলে ‘অপু ভাই’ লিখে সার্চ করলেই তার নমুনা পেয়ে যাবেন। আপনি এটাকে কি বলবেন? বুদ্ধিজীবী মহলের দৈন্যদশা! না, এটা মিডিয়া বা বুদ্ধিজীবী মহলের দৈন্যদশা নয়।
এই দৈন্যদশা আমাদের সবার (অধিকাংশের)। মূর্খরা যখন সঠিক সমস্যা কে বের করে সমাধান করতে না পারে তখন তারা একে অন্যের সাথে তর্ক করে। শুনে থাকবেন, মূর্খদের অন্যতম অস্ত্র-ই হচ্ছে তর্ক/কু-তর্ক করা।
একজন শিক্ষক, লেখক, ব্লগার, কন্টেন্ট রাইটার, ইউটিউবার তার তার মাঠে যখন প্রাসঙ্গিক থেকে টাকা উপার্জন করতে চাইবেন তখন তিনি বিভিন্ন অনলাইন টুলস্ এবং বাংলাদেশ-ট্রেন্ডস্ বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেবেন। ঐ অনলাইন টুলস্ এ বাংলাদেশের ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে আছে ‘অপু ভাই’, ‘টিকটক থেকে টাকা উপার্জনের উপায়’, ‘ল্যাম্বরগিনির দাম কত’, ‘গার্লফ্রেন্ড কীভাবে পটানো যায়’ ইত্যাদি।
ধরে নিলাম, অপু ভাইয়ের বিষয় কিছু মানুষ এড়িয়ে গেলেন কিন্তু সার্বক্ষণিকভাবে ঐ সমস্ত অনলাইন টুলস্ ও বাংলাদেশ-ট্রেন্ডস্ এ আবর্জনা যুক্ত টপিকে আমরা ভরিয়ে তুলেছি। তাই সবসময় এই টপিকগুলো বুদ্ধিজীবী মহল ও মিডিয়ার পক্ষে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এখন এই রাষ্ট্রে ওমন বুদ্ধিজীবী কোথায় পাবো যেসব বিদেশি বুদ্ধিজীবীদের দেখে আমরা বারবার ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যাই? এই আর্তনাদ ও মায়াকান্নার শেষ কোথায়?
এই বিষয়টি কিন্তু আরো গভীর। রাষ্ট্র তার প্রয়োজনে তার অনুধাবন অনুযায়ী ইতিহাস তৈরি করে থাকে। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন সেটা কেন করে থাকে? কারণ আমরা জনগণ ‘অনুধাবন/উপলব্ধি (Perception)’ কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি ‘সত্য (Truth)’ এর চেয়ে।
আরো সোজা বাংলায়, যেহেতু আমার টাকায় রাষ্ট্র চলে সেহেতু এই রাষ্ট্রের ইতিহাসও লেখা হবে আমি কি অনুধাবন/উপলব্ধি করি তার উপর; সত্যের উপর নয়। মুশকিল হচ্ছে, আমরা যা অনুধাবন/উপলব্ধি করি তা সবসময় সত্য নাও হতে পারে এমনকি সময় সময় তা ডাহা মিথ্যাও হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ: স্বৈরাচার শেখ হাসিনা (বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী) আমাদের অনুধাবন/উপলব্ধি কে দীর্ঘদিন সার্ভ করতো। তাই শেখ হাসিনা একজন স্বৈরাচার হতে পেরেছিলেন। আজও কেউ কেউ ইনিয়ে বিনিয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে লিখছেন কারণ ঐ লেখা সমর্থন করার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক জনগণ এদেশে রয়েছেন। এবং, প্রায় প্রায় শুনবেন তার দল (আওয়ামীলীগ) পুনরায় নির্বাচনে ফিরবেন। হোক সেটা আগামী ১০ বছর পর! তবুও ফিরবেন।
এই ‘অনুধাবন/উপলব্ধি (Perception)’ দুই পক্ষের জন্যই ফাঁদ। এখানে দুই পক্ষ হলো, জনগণ ও রাষ্ট্রের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রথমে মানুষের মন জয় করে এমন একটি ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়। এই ন্যারেটিভ তৈরিতে জড়িয়ে পড়ে রষ্ট্রের শাসকশ্রেণী, মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী মহল। একটি নির্দিষ্ট সাইকেলের মত করে তিনটি ধাপে এটা কাজ করে,
- ধাপ-১: প্রথমে পাবলিক সেন্টিমেন্ট যা অনুধাবন/উপলব্ধি করে সে হিসেবে কথা বলা ও অভিনয় চালিয়ে যাওয়া।
- ধাপ-২: দ্বিতীয় ধাপে কথা বলা বা ভণিতা করার মধ্যে এটা আর সীমাবদ্ধ থাকে না। তখন এই বিষয়ে শক্ত বক্তিতা ও অ্যাকশন নেওয়া হয়।
- ধাপ-০৩: পুনরায় ন্যারেটিভ যাচাই করা হয় বাস্তবতা ও অনুধাবন/উপলব্ধি এর মধ্যে। এবং, এবার এমন একটি ন্যারেটিভ প্রদান করা হয় যেটা জেনে বা পড়ে বাস্তবতা আর অনুধাবনের/উপলব্ধির মধ্যে পার্থক্য করা যায় না এবং এই সাইকেল চলমান থাকে।
প্রথমে এই ন্যারেটিভের শক্তিতে শাসকশ্রেণী, মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী মহল নির্ধারণ করে জনগণ কীভাবে তার পৃথিবীকে দেখবে। আবার যখন এই ন্যারেটিভ শক্তভাবে জনগণের মনে গ্রথিত হয় তখন শাসকশ্রেণী, মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী মহল সেভাবেই আচরণ করতে বাধ্য হয়। মানে দুই পক্ষই এক ধরণের ফাঁদে পড়ে যায়। এই ‘লুপ (Loop)’ এর মধ্যে ঘুর্নায়মান সবকিছু একটি ‘অনুধাবন/উপলব্ধি (Perception)’ ভিত্তিক রাষ্ট্র উপহার দেয়; সত্য ভিত্তিক নয়, বাস্তবতা ভিত্তিক নয়।
আর আমি এতক্ষণ যে একটি বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি সেটা হলো, ‘পারসেপশন প্যারাডক্স (Perception Paradox)’। শাসকশ্রেণী যখন তাদের সমাবেশে বলে, আমরা ক্ষমতায় গেলে চালের দাম হ্রাস করবো। কিন্তু যখন তারা ক্ষমতায় গিয়ে চালের দাম হ্রাস তো দূরের কথা আরো বাড়িয়ে দেয় তখন মানুষ সেটাকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। মানুষ ভাবতে শুরু করে, আমরা ভুল মানুষদের শাসক নির্বাচন করেছি। তখন আবার এই একই শাসকশ্রেণী ‘Doubles Down’ ন্যারেটিভ উপস্থিত করে যে, বৈশ্বিক সমস্যা চলছে (যেমন: যুদ্ধ চলছে)।
মিডিয়া এই শাসকশ্রেণীর সমাবেশে গিয়ে দেখে অনেক মানুষ। সুতরাং তার ভিত্তিতে মিডিয়া নির্ধারণ করতে পারে, এই দল অনেক জনপ্রিয়। কিন্তু সমাবেশের অধিকাংশ লোক টাকা খেয়ে উপস্থিতও হতে পারেন। কিন্তু ঐ শাসকশ্রেনী যখন ক্ষমতায় যায় তখন এই একই ন্যারেটিভ চালিয়ে যেতে হয়।
বুদ্ধিজীবী মহলও প্রবন্ধের পর প্রবন্ধ, ব্লগের পর ব্লগ, কলমের পর কলম লিখে যান যেটা জনগণ সত্য বলে অনুধাবন/উপলব্ধি করছেন। আমি এই প্রবন্ধে সেটাও স্পষ্ট করে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি। অবশ্য ন্যারেটিভ তৈরি করাই এদের দায়িত্ব নয়। ন্যারেটিভ তৈরি হয়ে গেলে সেটার ফাঁদেও এদের পড়তে হয়। ঐ ন্যারেটিভের দায়িত্ব এদের নিতে হয়।
সর্বশেষ, বাস্তবতা ও সত্যের আলোকে সামনে যেতে হবে; অনুধাবনের আলোকে নয়। অনুধাবন সবসময় সত্য হয় না। সুতরাং বারবার রিয়েলিটি চেক দিতে হবে। যা আমরা ক্লেইম করছি তার বাস্তব উপস্থিতি কি সত্যিই আছে? যদি না থাকে তাহলে আমরা ভুল করছি আমাদের সত্যের সন্ধান করতে হবে।