বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার নতুন দিগন্ত
উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে নতুন অধ্যায় শুরু
বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন: নীতিগত অনুমোদন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রথম প্রকাশ: ১২ মে, ২০২৩
অবশেষে ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে পুরো শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দ। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহরে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বগুড়াবাসী।
ইতিহাস
এটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ৫৪ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০১ সালের ১৫ জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। আইন অনুসারে ২০০১ অনুযায়ী বগুড়া জেলার জামালপুর নামক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন হবে।
প্রজ্ঞাপন জারি
গত ১০ মে ২০২৩ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়, ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১-এর ক্ষমতাবলে সরকার ২২ মে থেকে এই আইনটি কার্যকর করার তারিখ নির্ধারণ করেছে।’
শিক্ষার প্রসার
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার প্রসার আরো বেশি হবে। একই সঙ্গে এই এলাকার তরুণরা উচ্চ শিক্ষায় আরো বেশি আগ্রহী হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
উপসংহার
বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার মান উন্নত হবে এবং তরুণ প্রজন্মের উচ্চ শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হবে।
Discover more from অভিযাত্রী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.