জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক একটি অধ্যায়। কিছু অধ্যায় আনন্দে ভরা, কিছু বেদনায়। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই ইতির গল্প, যে কিনা একজন ক্যান্সার রোগী।
ইতির জীবন
ইতি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্রী, যার জীবনের পথচলা ছিল সবার জন্য অনুপ্রেরণা। ডিগ্রি পাশ করে তিনি চাকরির প্রস্তুতি নেন এবং প্রাইমারি জব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয় যখন তিনি চাকরি পান এবং ছয় মাসের মধ্যে বিয়ে হয়। তার স্বামী ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং তারা ছিলেন সুখী পরিবার। বিয়ের ছয় মাস পর, ইতি মা হন একটি সুন্দর ফুটফুটে মেয়ের।
জীবনের পরিবর্তন
কিন্তু জীবনের এই সুখের মুহূর্তগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মেয়ের দেড় বছর বয়সে, ইতি একদিন স্কুলে মাথা ঘুরে পড়ে যান। এরপর থেকে তার শরীর দুর্বল হতে থাকে এবং অবশেষে ডাক্তারের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার লিভার জন্ডিস এবং পরবর্তীতে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ
ইতির জীবনের যুদ্ধ শুরু হয় ক্যান্সারের সাথে। কেমোথেরাপির যন্ত্রণা, একাকীত্ব, এবং আশেপাশের মানুষের নেতিবাচক কথাবার্তা তার মনোবল ভেঙে দেয়। তার পরিবারের লুকানো কান্না, বাবার চাপা কষ্ট এবং ছোট্ট মেয়ের দিকে তাকানোর অক্ষমতা তাকে আরো ভেঙে দেয়।
ইতির পরাজয়
সাত বছর ধরে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করার পর, ইতি তার জীবনের যুদ্ধে হার মানেন। তার গল্প আমাদের শিক্ষা দেয় যে, আমাদের উচিত কোনো অসুস্থ মানুষের মনোবল ভেঙে দেওয়া নয়, বরং তাদের পাশে দাঁড়ানো।
এই গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান এবং আমাদের উচিত সবসময় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলা।
Discover more from অভিযাত্রী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.