উপন্যাস: দত্ত পরিবার

উপন্যাস: দত্ত পরিবার (পর্ব – ০২)

অদ্ভুত প্রস্তাব, প্রেম এবং ভ্যাম্পায়ারের আক্রমণ

Disclaimer: This novel is entirely fictional. It has no resemblance to reality. If by chance any character or any particular event of this novel matches with anyone’s life, then this novel will not be responsible for that in any way. Moreover, this novel is not written to hurt anyone’s religious and political sentiments.

দরজার সামনে কফি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে লম্বা আর কালো চুলের তামাটে বর্ণের এক যুবতী। কি নিষ্পাপ দেখতে! উচ্চতায় ৫ফুট ৬ইঞ্চি মত হবে। মানে ঐশ্বরিয়া রায়। আমাকে খালি গায়ে দেখেও খুব বেশি একটা তোয়াক্কা করছে না। তারপর এই রাজকন্যা নিজেই কথা বলা শুরু করলো,

– হাসান সাহেব, আমাদের পরিচিতি পর্ব এখনো হয়নি। মা বললেন আপনার সাথে অন্তত একবার দেখা করা উচিত। তাছাড়া আপনি এই বাড়ির অতিথি বলে কথা।

– সে না হয় বুঝলাম। কফি হাতে কি তবে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবেন?

– ওহ্… দুঃখিত! আপনার জন্যই কফিটা করেছি। তাছাড়া আপনিও তো ভেতরে প্রবেশ করবার অনুমতি দিচ্ছেন না।

– ওহুম… প্লিজ! ভেতরে আসুন… মিস…

– হ্যাঁ, মিস… মিস স্নেহা দত্ত

– মানে আপনার সাথে লাল শাড়িটা দারুণ মানিয়েছে। কিন্তু স্নেহা দত্ত নামটা বেঢপ।

– আপনি মনে হয় যা বলার মুখেই বলে দেন। কফিটাও মুখে নিলে অত্যুক্তি হবে না আশা করি।

– আপনি এখুনি চলে যাবেন আমাকে এই ভয় দেখাচ্ছেন?

– না, ভয় পাচ্ছি। আপনার চোখ দুষ্টু কিছু বলছে। ওখানে অনুরাগ আছে, টানও আছে।

এরপর স্নেহার প্রস্থান ঘটলো। আর আমার হার্ট দ্রুত বিট করছে। বুঝতে পারলাম প্রেমে পড়ার লক্ষণ। অনেকটা কলেজ জীবনে প্রথমে ভর্তি হয়ে প্রথম দিনের ক্লাসে কাউকে দেখে সেই প্রেমে পড়ে যাবার মতন।

তারপর প্রায় প্রতিদিন সকাল সকাল এক কাপ কফি করে দিত স্নেহা। রুমে প্রবেশের অনুমতিও নিত না। মনে হয় এটা ওর নিজেরই রুম। হ্যাঁ, আমি উড়ে এসে জুড়ে বসেছি। তবুও তো একটা ‘কার্টেসি’ বলে বিষয় থাকবে না কি!

আজ একটা বিষয়ে আমি সহমত না হয়ে পারছি না আর তা হলো, “মানুষ অনেককিছু ছাড়া বাঁচতে পারে তবে ভালবাসা ছাড়া নয়।” হতে পারে এই উক্তিটি সত্য। মিসেস দত্ত কি অদ্ভুতভাবে আমার জীবনে আসলেন। আর তারপর আমার সংকীর্ণ জীবন আরো সংঙ্কুচিত না হয়ে পাখা মেলে ধরেছে যেন। স্নেহার কথা আলাদা করে তুলতে চাইছি না।

ও কে দেখার পর থেকে আমার মাথার মধ্যে সবসময় ওর ছবি একের পর এক স্লাইড শো’র মত করে এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে কিন্তু এই ‘স্লাইড শো’ শেষ হচ্ছে না। মিসেস দত্ত খুব সম্ভবত ‘স্নেহা’র দিকে তাকিয়ে জীবনের বাকি দিনগুলো পার করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

অবশ্য বৃদ্ধ হলে মানুষের হাত থেকে সব বন্ধু ফসকে যায় অথবা ওপারে না কি চলে যায় তাই বাকি সময় একা একা জীবন কাটিয়ে দিতে হয়। হোক সে কোন জমিদার বা কোন প্রতিপত্তিশালী। তাতে কিচ্ছু আসে বা যায় না!

একদিন কি যেন দরকারে মিসেস দত্ত আমায় ডাকলেন। কাছে যেতেই প্রশ্ন করলেন,

– চাকুরী পেলে কোথাও?

– চেষ্টা করছি কিন্তু এখনো কোথাও হয় নি মিসেস দত্ত।

– এখন তবে কি করবে ভাবছো?

– সত্যি বলতে গত তিন মাস এখানেই শুয়ে বসে কেটে গেল। বাকি কিছুদিন যদি একটু সময় দিতেন!

– সময় নিয়ে ভাবতে হবে না। তুমি তোমার চেষ্টা অব্যাহত রাখো।

– মাফ করবেন! একটা প্রশ্ন করতে পারি?

– নিশ্চয়, করতে পারো।

– বাংলা ভাগের পর রাজবাড়ি -তেই যে থেকে গেলেন? কখনো মনে হয়নি ওপার বাংলায় পুনরায় ফিরে যাবার কথা?

– ইচ্ছে হয়নি তেমন নয়। কিন্তু ইচ্ছের ওপর ভালবাসা ছিলো এই মাটির প্রতি; এখানে আমার স্বামী ছিলেন। ওর স্মৃতি আর স্পর্শ এই বাড়ির দেয়ালের প্রতিটা অংশে লেগে আছে যেন।

– আমি দুঃখিত, মিসেস দত্ত

– এই দেখো, তুমি আবার দুঃখিত কেন? চলো স্টোর রুমে যাই তোমাকে কিছু দেখাবো।

করিডর পেরিয়ে বাড়ির শেষ মাথায় একটি স্টোর রুম আছে। একটি বৃহদাকার স্টোর রুম। দেখে মনে হচ্ছে শতবর্ষের পুরনো।

আমি মুখ ফসকে বলে ফেললাম,

– মিসেস দত্ত, এই স্টোর রুম তো দেখছি বিশাল একটা আর্কাইভ। আমার স্মার্টফোনের বত্রিশ জিবি স্টোরেজের চেয়েও বড় মনে হচ্ছে।

– হাসালে… তুমি বরং পেইন্টিংগুলো দেখো।

– এমা সেকি! এখানে তো দশটা মহামানবের ছবি আছে। কে এসব? সবগুলোই কি আপনার স্বামী ছিলেন?

– বজ্জাত কোথাকার! শেষের এই যে পেইন্টিং দেখছো এটা হচ্ছে আমার স্বামীর। বাকিগুলো তাঁর পূর্ব পুরুষদের।

– ওহ্, অদ্ভূত তো! কেউ এসব ট্রাডিশন এখনো অনুসরণ করেন?

– কেউ করেন কি না জানিনা, তবে দত্ত পরিবার করে আসছে…

– এক মিনিট! মিসেস দত্ত, ঐ ৬ষ্ঠ লোকটা কে?

– একদম তোমার মত দেখতে তাই না?

– ঠিক তাই! শুধু রাজকীয় এই পোষাক ছেড়ে শার্ট-প্যান্ট পরিয়ে দিন দেখবেন আমাদের মধ্যে হুবহু মিল খুঁজে পাবেন। আর সাথে দাঁড়ি-গোঁফ এত বড় কেনো? এসবের ক্লিন শেভ করাতে হবে।

– উঁহু! পেইন্টিং এ তা সম্ভব নয়। একটা কথা জানো তো, যেদিন তোমাকে দেখলাম সেদিন আমি একরকম চমকে উঠেছিলাম। মনে হয় তোমার পুনর্জন্ম হয়েছে।

– আহা! আমি মুসলিম। এসব জন্মান্তরে আমি বিশ্বাসী নই। একটাই জীবন আর মরবোও একবার।

– সেটা তোমার বিশ্বাস। আমি তো সেখানে আঘাত করছি না! আমি আমার বিশ্বাসে তোমাকে খুঁজে পেয়েছি।

একসময় মাথা ধরলো। মিসেস দত্ত কে বিদায় জানিয়ে নিজের রুমে ফিরে আসলাম। কি অদ্ভূত এক বাড়িতে আমার আগমন। মনে হচ্ছে মন্ত্রমুগ্ধের মত আমাকে টানছে এই বাড়ির সমস্তটুকু। ৬ষ্ঠ পূর্ব পুরুষের ছবি দেখে অবাক না হয়ে পারিনি।

আচ্ছা! সত্যিই কি আমি আজ থেকে দুইশত বছর পূর্বেও ছিলাম। তখন কার শাসন চলছিলো? মুঘল আমলে! আর তখন আমার ভূমিকা কি ছিলো? না কি এ সমস্ত সবই মিথ! বাস্তবতা নয়। আস্তে আস্তে এক সময় রাত ঘনিয়ে আসলো, ঢলে পড়লাম ঘুমের ঘোরে।

ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালাম। এখন সময় সন্ধ্যা ৬টা। বিকেলের ঘুম আমার স্বাস্থ্যর জন্য ভাল নয় টের পেলাম। কিন্তু আমি তো সন্ধায় ঘুমিয়ে ছিলাম। তাহলে আবার সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠলাম কীভাবে!

মাথার নিউরন আস্তে আস্তে স্মৃতিগুলো গুছিয়ে দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে; কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে বটে। হঠাৎ দরজার বাইরে এক আলোক রশ্মি দেখতে পাচ্ছি। কেউ হয়তো টর্চ-লাইট জাতীয় কিছু নিয়ে আছে আর সেই আলোটা ঠিক আমার চোখে তাক করে ধরেছে। আস্তে আস্তে আলোর তীব্রতা বাড়ছে। ঠিক যেন ক্রমাগত আলোর ঐ রশ্মি আমার আরো কাছে আসছে।

উঠে দাঁড়ালাম, পাশে পড়ার টেবিলে একটা ছুরি দেখলাম। স্নেহা আমার রুমে এসে প্রায় ওটা দিয়ে আপেলের টুকরো করতো আর আমাকে ওর নিজ হাত দিয়ে খাইয়ে দিত। ওটা আস্তে করে জিন্স প্যান্টের ডান পকেটে ঢুকালাম।

এরপর এক পা এক পা করে সামনে এগুতে লাগলাম। দরজার নিকটে যেতেই ভয় লাগা কাজ করতে শুরু করলো। নিজেকে সায় দিলাম। আমাকে এটার মুখোমুখি হতে হবে। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়েই দরজাটা ধ্রাম করে খুলে দিলাম।

কিন্তু আমি অবাক হলাম। প্রত্যাশার বাইরে কিছু দেখছি। হ্যাঁ, স্নেহা দত্ত। সাদা ড্রেসে পরীর মত লাগছে আজ ও কে। আর তার সঙ্গে চাঁদের আলোর প্রতিফলন পড়ার কারণে আলোর এমন অসাধারণ বিচ্ছুরণ ঘটেছে।

চোখে মুখে স্নেহার হাসি। আর সাথে মাথা ঘুরানো যৌন আবেদন। প্রথমে স্নেহা মুখ খুললো,

– ভেতরে আসবো?

– তুমি এখানে সন্ধ্যায় কি করছো?

– “তুমি” -তে এসেছেন শেষমেশ… কেন? সন্ধ্যায় আসা বারণ না কি?

– নাহ্, তা নয়।

– লক্ষ্য করছি আমার প্রতি আপনার গুরুত্ব পূর্বের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে। হতে পারে আমার একটু বয়েস কম। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিশ্চয় আপনার চেনা সুন্দরী রমণীদের মত নই আমি। পুরোটা ফর্সাও বোধহয় নই। তাই তো?

– সেটা ব্রিটিশদের দোষ। কিন্তু এই রঙে আমার কোনো আপত্তি নেই।

– হাহ্! স্পর্শ করতে বোধহয় খুব আপত্তি আছে। এতগুলো দিন একসাথে থাকছি অথচ একবার আমার হাতটাও ধরলেন না। আমার মধ্যে নিশ্চয় কোন কমতি থাকতে বাধ্য।

– স্নেহা আমি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছি। আর তুমি ভুলে যাচ্ছো আমি একজন পুরুষ মানুষ আর মিসেস দত্ত এসব জানলে ভালোভাবে কিছুতেই নেবেন না।

– মি. হাসান, আপনি এখনো বালক… হা হা হা… পুরুষ হলে এতক্ষণে ভিতরে সাগ্রহে নিমন্ত্রণ জানাতেন।

– প্রমান চাই! তাই তো? তবে তাই হোক।

এরপর স্নেহার হাতে ভয়ে ভয়ে হাত রাখলাম। স্নেহার হাতে হাত রাখতেই মাথায় বিদ্যুৎ চমকালো যেন। ওর কোমর স্পর্শ করতেই বুঝতে পারলাম ওর শরীর তুলোর মত নরম। যা আমাকে আরো বেশি পুলকিত করছে। এরপর এক হেঁচকা টানে স্নেহাকে কোলে তুলে নিলাম। স্নেহা অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তখন তাকিয়ে আছে। কি ভয়াবহ সুন্দর সে দুটো চোখ! আর আবেদনে ভর্তি! তৃষ্ণার্ত চিবুক! আমাকে পাগল করে তুলছে যেন!

আমি ও কে হালকা করে খাটে শুইয়ে দিলাম। এরপর ওর গোলাপ রাঙা ঠোঁটের দিকে এগুতে শুরু করলাম। ওর ঠোঁটে ঠোঁট রাখতেই বুঝলাম আমি হারিয়ে যাচ্ছি। আমার মধ্যে সচেতন বা জাগ্রত থাকার মত আর অবস্থা নেই। আমি ওকে চুমু খেতে লাগলাম। বেশ কয়েকবার চুমু খেলাম। প্রত্যুত্তরে সেও আমায় চুমু খেতে লাগলো। এক সময় স্নেহা আমাকে জড়িয়ে নিলো। তারপর আমরা বন্য হয়ে একে অন্যকে যেন রীতিমতো ছিঁড়ে খেতে আরম্ভ করলাম।

ঠিক যেন ওর রতিক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন হবার আগেই আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। যৌনমিলনের অভিজ্ঞতায় এত বাজে পারফরম্যান্স আমার ছিলো না। যেহেতু স্নেহা তখনো তৃপ্ত নয়। তাই সে হঠাৎ আমার ঠোঁটে গালে অসংখ্য চুমু খেতে লাগলো।

টের পেলাম স্নেহা হিংস হয়ে উঠছে। ও কে তৃপ্ত না করতে পারায় বোধহয়। একসময় সে আমার বুকে চেপে বসলো তারপর ওর দাঁতগুলো লম্বা হতে শুরু করলো। অনেকটা ভ্যাম্পায়ার জাতীয় কোন নর-খাদকের মত। তখন আমার কিছুটা ঘুমের বিভোর কেটেছে এবং আমি সতর্ক হয়ে উঠছি।

কিন্তু এক সময় ওর দাঁতগুলো নেমে আসতে লাগলো আমার চোখের দিকে। দরজা দিয়ে বেয়ে আসা চাঁদের আলোয় সেটা অস্পষ্ট হলেও আমি নিশ্চিত ছিলাম। তাই এবার ওকে এক পাশে ছুঁড়ে ফেললাম। কিন্তু হলো তার উল্টো মানে সে অন্য পাশে গিয়ে পড়লো। ব্যাপারটা বুঝে উঠার আগেই সে আবার আমার উপর আক্রমণ করে বসলো।

লম্বা দাত দিয়ে একসময় আঁচড় কাটলো আমার শরীরে। শরীর থেকে টপটপ করে রক্ত পড়তে লাগলো। এর মধ্যে জিন্স প্যান্ট এক পাশে সরিয়ে রেখেছিলাম। সেটা খুঁজতে যাওয়া বোকামি হবে। তাই নিজেকে রক্ষা করার কোন বুদ্ধি খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

এক সময় ধস্তাধস্তি শুরু হলো আমাদের মধ্যে। এবং আমাকে টেনে আবার বিছানায় শুয়ানো হলো। ওর হাতে এত শক্তি যে আমি কোনভাবেই নিজেকে সামলাতে পারছি না। এক পর্যায়ে সে আমার গলা টিপে ধরলো। এমন ভাবে টিপে ধরেছে যেন, “কোন অদম্য অশরীরী শক্তি আমার উপর ভর করেছে।” আমি বুঝলাম আজ আমার মৃত্যু হতে যাচ্ছে, তাই একসময় আত্মসমর্পণ করে হাতদুটো ছড়িয়ে নিলাম।

হঠাৎ টের পেলাম আমার হাতের পাশেই সেই ছুরিটা। আর এবার কিছু না ভেবেই আমি স্নেহার গলায় ছুরিটা চালিয়ে দিলাম। ওর রক্তে ভেসে যেতে শুরু করলো আমার শরীর। একসময় পুরো শরীর গরম রক্তে জাপটে ধরলো এবং মনে হলো জীবনে আরো একটা খুন করলাম।

কিন্তু একটুবাদেই, স্নেহার ঘর থেকে কোন একজনকে ডাকতে শুনলাম,

“মি. হাসান?… মি. হাসান?… আপনি কি ঠিক আছেন?”

কিন্তু ওটাও তো স্নেহার কন্ঠ! তবে আমার উপর যে লাশ পড়ে আছে সেটা কার? স্নেহার কি কোন জমজ বোন আছে? যে কিনা কোন যাদুমন্ত্রে সিদ্ধহস্ত?

দত্ত পরিবার উপন্যাসের প্রথম পর্ব পড়ুনঃ উপন্যাস: দত্ত পরিবার (পর্ব – ০১)

মেহেদি হাসান (বিকেল)

I'm MD Mehedi Hasan, also known by my pen name Mr. Bikel. I'm the admin of the site Ovizatri - News & Magazine. I am a versatile individual with a professional life that spans various fields. I work as a writer, actor, social worker, radio jockey, web developer, web designer, editor, presenter, blood donor, audio and video editor, photo editor, YouTuber, and drama director. I am also a developer and app developer at Microsoft.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এছাড়াও চেক করুন!
Close
Back to top button