সত্যের ছদ্মবেশে মিথ্যার খেলা: ‘Self-justification’ আমাদের কীভাবে ধ্বংস করে?
Disclaimer: The information presented in this article is for educational and informational purposes only and is not intended as a substitute for professional psychological advice, diagnosis, or treatment. The views and opinions expressed herein are those of the author and do not necessarily reflect the official policy or position of any mental health institution or authority. The article discusses the concept of ‘Self-justification’ and its potential negative impacts, including ‘Cognitive Dissonance,’ and emphasizes the importance of truthful living. Readers are advised to consult qualified health professionals regarding any questions or concerns about mental health conditions. The author’s insights are meant to encourage self-awareness and introspection, not to provide a definitive analysis of psychological behavior. The medical treatments and drugs mentioned should only be used under the guidance of a licensed healthcare provider. The article also includes personal opinions and interpretations, which may not align with established psychological theories or research. Readers should exercise critical judgment and seek additional sources when evaluating the information provided.
আমরা সবাই নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে চাই। কিন্তু ‘Self-justification’ বা ‘আত্ম-ন্যায়ায়ন’ এর মাধ্যমে আমরা ক্রমশ মিথ্যার জালে জড়িয়ে পড়ি। এই আর্টিকেলে জানুন ‘Self-justification’ এর ক্ষতিকর প্রভাব, ‘Cognitive Dissonance’ এর সাথে মোকাবিলা করার উপায় এবং সত্যবাদী জীবনযাপনের গুরুত্ব।
আমরা সত্য বা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকি নিজেকে নিজের বিবেকের কাঠগড়ায় “আমি অপরাধী নই” শর্তে বিচার করার জন্য। আমরা যখন সত্য বলি সেখানে নিজের লাভ আছে বলেই বলি, আর আমরা যখন মিথ্যা বলি তখনও সেখানে নিজের লাভ থাকে বলেই বলি। আর এই ‘Self justification’ করতে করতে একদিন নিজেকে খুঁজে পেতে কষ্ট হয়। একদিন নিজেকে নিজের কাছে অপরিচিত বলে মনে হয়।
সাধারণত যখন আমরা নিজেদের বিশ্বাস এবং মূল্যবোধ কে ভেঙ্গে কিছু বলি। যেমন, আপনি হয়তো আপনার বন্ধু কে মিথ্যা বলেছেন কিন্তু নিজেকে আপনি একজন সৎ মানুষ হিসেবে ভাবেন। এখানে একরকম মানসিক দ্বন্দ্ব তৈরি হতে বাধ্য। আর এটিকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘Cognitive Dissonance’।
কাউকে ঠকাচ্ছেন কিন্তু নিজের ভাবমূর্তি ঠিক রাখার জন্য হয়তো নিজের মনের কোনো একটি বিশেষ আবেগ কে শক্তি যোগাচ্ছেন। কারণ যে কোনো আবেগ ঠিক ততটাই শক্তিশালী হয়, যতটুকু শক্তি আপনি সেই আবেগ কে দিয়ে থাকেন। আপনি হয়তো নিজেকে ভাবাচ্ছেন,
(ক) ওমন মানুষকে ঠকানোই উচিত।
(খ) আজকাল এসব হরহামেশাই চলে।
(গ) যদি ঠকিয়েও থাকি তবুও আমি তার জন্যে অনেক কিছু করেছি।
(ঘ) আর আমি যদি ও কে না ঠকাতাম তাহলে ও বাস্তব জীবন কে বুঝতে পারতো না।
এরকম অসংখ্য যুক্তি মন কে শিখিয়ে তাকে একটি ইতিবাচক শক্তি প্রদান করা যায়। শুধু তাই নয়, এতে করে আপনার বাহ্যিক ভাবমূর্তিও ইতিবাচক থাকে। মানসিক শান্তি এবং ইতিবাচক মনোভাব সর্বদা রাখার জন্য এবং ‘Cognitive Dissonance’ এর সাথে পিষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আধুনিক মানসিক চিকিৎসা বা যারা সাইকোলজিস্ট তারা মূলত এই অংশটুকুই নিয়ে কাজ করেন আপনার অনুভূতি কে ‘Restore’ করার জন্য, ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আনার জন্য। তারা চেষ্টা করেন আপনার মধ্যে নতুন নতুন বিশ্বাসের এবং মূল্যবোধ কে জাগ্রত করার।
এই পেনিট্রেশন এক সময় হয়তো আপনাকে ভালো থাকতেও শেখায়, কিছু ঔষধ আছে যা আপনার অনুভূতি কে জাগ্রত হবার সুযোগ দেয় না। খেয়াল করে দেখবেন, সাইকিয়াট্রিস্ট দ্বারা ঔষুধের কার্যাবলী। Bing এ একটু জিজ্ঞাসা করলেই পাবেন। কারণ একজন মানুষ কখনোই আপনার অতীতে গিয়ে সমস্ত বিষয়ে নিখুঁত সমাধান দিতে পারবেন না, পারেন না। তিনি ফিক্স করবার চেষ্টা করেন, কিছুটা মেরামত বলতে পারেন।
নতুন যে ট্রেন্ডিং ‘পডকাস্ট’; আরো বড় ধোকা আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। আমি গত ২-৩ বছর প্রায় নিয়মিত পডকাস্ট শুনছি। “এখানে কিচ্ছু নেই” – সেটা বলার সাহস আমার নাই, উচিতও নয়। কিন্তু ভুল অনুপ্রেরণার সবচেয়ে বড় ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গড়ে উঠছে। সিনেমায় শুধু বাকি রয়েছে বাছাইকৃত কিছু ওয়েব সিরিজ; বার্বিদের জন্য আলাদা করে কিছু বলার নেই।
কিন্তু এর নেতিবাচক দিক কিন্তু অনেক ভয়াবহ। সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা নিম্নে তুলে ধরা হলো,
১. ‘Self-Justification’ আমাদের ক্রমান্বয়ে এক পাক্ষিক হতে শেখায় পাশাপাশি “আমি ভুল হতে পারি না/আমার ভুল হতে পারে না” এই শর্তে প্রতিক্রিয়াশীল হতে শেখায়।
২. যখন আপনি আপনার প্রতিটি ভুলের জন্য নিজের আইনজীবী হয়ে পড়বেন এবং ছোট্ট একটি ‘দুঃখিত’ বলবেন না তখন সেসব ভুল থেকে আপনি কিছু শিখবেনও না।
৩. এটি আপনাকে ব্যক্তি হিসেবে দিনদিন নিজের চারপাশে একজন ক্ষতিকর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। কাউকে মিথ্যে বলে, কারো সাথে অন্যায় করে, কাউকে ঠকিয়ে আপনি ‘Self-justication’ বারবার যদি করেই যান তাহলে একদিন কাউকে হত্যা করতেও হয়তো আপনার কাছে প্রয়োজনীয় যুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
আজকাল ব্যক্তিজীবনে চায়ের আলাপ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেন জানিনা ঠিক এদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে সঠিক প্রমাণ করবার এক দৃঢ় প্রচেষ্টা! আচ্ছা, আপনি যদি সত্যিই সঠিক হয়ে থাকেন তাহলে বারবার উঠে দাঁড়িয়ে জানান দেবার তো বিশেষ প্রয়োজন নাই। তাহলে কেন? কে জানতে চাইছে! আপনি ঠিক না কি বেঠিক!
সত্যি বলতে আপনি যেমন এসব বিষয় নিয়ে অন্যকে তেমন একটা পাত্তা দেন না, ঠিক তেমন করে আপনাকেও এসব বিষয় নিয়ে অন্যরা আপনাকে পাত্তা দেন না।
ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
Discover more from অভিযাত্রী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.