- Advertisement -
- Advertisement -
মনোবিজ্ঞান

আত্ম-সংরক্ষণের কৌশল: ফ্রয়েডের ডিফেন্স মেকানিজমের বিভিন্ন প্রকারভেদ

- Advertisement -
- Advertisement -

Disclaimer: The information provided in this article is for educational purposes only and is based on the psychological theories of Sigmund Freud and the subsequent work by his daughter, Anna Freud. The concepts of the conscious and unconscious mind, including the id, ego, and superego, as well as the various defense mechanisms, are complex and subject to interpretation within the field of psychology. The examples and explanations given are intended to simplify these concepts for general understanding and should not be taken as definitive psychological advice or diagnosis. Readers are encouraged to consult professional psychological resources or services for personalized support and information.

আধুনিক মনোবিজ্ঞানের জনক সিগমন্ড ফ্রয়েড (Sigmund Freud) আমাদেরকে প্রথম ডিফেন্স মেকানিজম (Defense Mechanism) এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি মূলত ছিলেন একজন অস্ট্রিয় মানসিক রোগ চিকিৎসক এবং মনস্তাত্ত্বিক। যদিও এই কনসেপ্ট সিগমন্ড ফ্রয়েডের দেওয়া কিন্তু পরবর্তীতে এটা নিয়ে আরো কাজ করেন তার মেয়ে আনা ফ্রয়েড (Anna Freud)।

Conscious & Unconscious

আমি ধরেই নিচ্ছি, আপনি ‘Conscious & Unconscious’ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখেন। কিন্তু ‘Unconscious’ বিষয়টি নিয়ে বহুভাবে আলোচনা করা যায়। সিগমন্ড ফ্রয়েড আমাদের এই ‘Unconscious’ কে ৩ ভাগে ভাগ করেছেন,

১. ইড (Id): Id creates demands, Pleasure Principle

২. ইগো (Ego): It adds the needs of reality.

- Advertisement -

৩. সুপার ইগো (Super Ego): It adds morality to the Actions.

এখানে ইগো (Ego) কখনো কখনো সমস্যায় পড়ে যায় আমাদের ইড (Id) এবং সুপার ইগো (Super Ego) এর দ্বারা। ‘ইড’ যখন তার কিছু অবাস্তব ইচ্ছা ধারণ করে এবং এর সাথে ‘সুপার ইগো’ নৈতিকতা যুক্ত করে তখন ‘ইগো’ তার ভূমিকা নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়ে যায়।

যখন এই সমস্যা ক্রমাগত চলতেই থাকে এবং ‘ইগো’ কোনোভাবেই এসব থেকে মুক্তি পায় না তখন ‘ইগো’ এক ধরণের ‘ডিফেন্স মেকানিজম (Defense Mechanism)’ তার মধ্যে তৈরি করে নেয়। বিশেষ করে ‘Unreasonable Desires’, ‘Pressures From Outside world’ & ‘Morality’ থেকে একরকম পাশ কাটিয়ে যাবার জন্য।

ডিফেন্স মেকানিজম (Defense Mechanism) কি?

‘ইগো’র ডিফেন্স মেকানিজম বাহ্যিক দুনিয়া থেকে নিজের অনুভূতির ক্ষেত্রে এক ধরণের ‘ঢাল’ হিসেবে কাজ করে। ডিফেন্স মেকানিজম একজন মানুষের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর। এটা আমাদের ভাবমূর্তি এবং নিজের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াতে সাহায্য করে।

এর সংজ্ঞা অনেকটা এরকম, “We use it to protect ourselves from feelings of anxiety or due to our id or superego or when we feel threatened. This is a normal and natural process to boost self-esteem and self-image.”

ডিফেন্স মেকানিজম (Defense Mechanism) প্রকারভেদ

১. Sublimation (পরমানন্দ)

  •  Satisfying an impulse with substitute in a socially acceptable way.
  • Redirecting bad or unacceptable behavior or emotions into positive behavior.

সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতে, এটাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং স্বাস্থ্যকর ‘ডিফেন্স মেকানিজম’, বাকিসব নয়। আমাদের মধ্যে যে প্রবৃত্তির খেলা ঘটে সেটা সবসময় সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে এজন্য এই ধরণের প্রবৃত্তিকে অন্য কোন কাজে ব্যয় করা যেটা সামাজিকভাবে অনুমোদন পায় বা স্বীকৃতি পায়।

উদাহরণস্বরুপ, যদি আমরা কোন নির্দিষ্ট কাজে ব্যর্থ হই, সন্তুষ্ট না হই অথবা ভালো না করতে পারি তবে আমরা সেই আবেগকে অন্য দিকে ব্যয় করতে পারি। যদি কেউ প্রেমে ব্যর্থ হয় তাহলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, উক্ত ব্যক্তি এই ব্যর্থতার ভার নিতে পারছেন না ফলে তিনি তার এই আবেগ অন্য কাজে বাহিত করছেন বা কাজে লাগাচ্ছেন।

২. Displacement (স্থানচ্যুতি)

এটাও আমাদের আবেগ কে স্থানান্তরিত করে থাকে। তবে, এই আবেগের স্থানান্তর একটু ভিন্ন ভাবে হয়। ধরুন, ব্যক্তিগত জীবনের ব্যর্থতার জন্য যেসব বিষয় বা ব্যক্তি দায়ী সেসব কে লাল চোখ না দেখিয়ে তুলনামূলক কম শক্তি সম্পন্ন কোন রাস্তার ভিক্ষুকের সাথে খারাপ আচরণ করা। প্রায় প্রায় আমরা বলি অথবা শুনে থাকি, “আজকে আমাদের স্যারের মন খারাপ এবং খুব রেগে আছেন কারণ সকালবেলা বউয়ের কাছে ঝারি খেয়েছেন।” আমরা কি এসব শুধু বলার জন্যই বলি!

না, আসলে কাজের ক্ষেত্রে ‘বস’ যখন আমাদের দুটো কথা শোনায় তখন যে রাগটা হয় সেটা কিন্তু আর অফিসে কাউকে বুঝানো যাচ্ছে না। ফলে এই রাগটা পড়তে পারে নিজের বউ/স্বামীর উপর অথবা, সম্পর্কের উপর।

৩. Denial (অস্বীকার)

  • Failure to accept reality.
  • Blocking external events from awareness.
  • Refuse to admit that something stressful has happened.

যেমন ধরুন, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অ্যালকোহল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু যে ব্যক্তি এসব পান করেন তিনি কিছু অদ্ভুত যুক্তি দেখান, “কই! ওমুক তো ৯০ বছর ধূমপান করেও বেঁচে আছে। আর ড্রিংস্ক তো শুধুমাত্র অ্যালকোহল নয়, ঔষধও বটে…” ইত্যাদি। মানে ইনি সত্যটা জানেন কিন্তু সত্যটা মানতে নারাজ।

- Advertisement -

৪. Compensation (ক্ষতিপূরণ)

  • Covering a weakness by overachieving in another area.

ধরুন, আপনি সংগীতে ভালো নন তাই রেডিও জকি হয়ে গেলেন। খেলাধূলায় ভালো নন হয়তো তাই ঐ পুরো এনার্জি লেখালেখিতে খরচ করলেন। এতে করে আপনি ভালো রেডিও জকি বা লেখক হয়েও যেতে পারেন। আর ডিফেন্স মেকানিজমে এটাকে ‘Compensation (ক্ষতিপূরণ)’ বলা হয়।

৫. Regression (প্রত্যাবৃত্তি)

  • To move back in psychological time when faced stress.
  • যখন কোনো কাজের চাপ আসে তখন এই ধরণের ব্যক্তি ঐ সমস্যাটাকে স্কিপ করতে শুরু করে। অথবা, মানসিকভাবে পেছনের সময়ে চলে যায় এবং বাচ্চাদের মত আচরণ শুরু করতে পারে। যেমন, স্ট্রেস নিতে না পারায় গালিগালাজ করা, জিনিসপত্র ভেঙ্গে ফেলা, বাচ্চাদের মত আঙুল চোষা ইত্যাদি কান্ড ঘটাতে পারেন।

৬. Repression (দমন)

  • Subconsciously blocking out unpleasant memories in unconscious mind.

ফ্রয়েড এটাকে সিলেক্টিভ ডিফেন্স মেকানিজম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আমাদের সাথে ভালো মুহূর্ত, খারাপ মুহূর্ত সবই ঘটে থাকে। কিন্তু অনেকসময় এত খারাপ মুহূর্ত সামনে চলে আসে তখন আমাদের পক্ষে তা সহ্য করা প্রায় কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

এমন সময় যে ডিফেন্স মেকানিজম ব্যবহার করে আমরা নিজেদেরকে এসব থেকে ভুলিয়ে রাখি সেটাকেই ‘Repression (দমন)’ বলা হয়। যেমন ধরুন, কোন মেয়ের সাথে ধর্ষণের মত খুব খারাপ কিছু ঘটেছে। এক্ষেত্রে এই স্মৃতি ভুলে যাবার জন্য ঐ মেয়েটা এই ধরণের ডিফেন্স মেকানিজম নিজের মধ্যে তৈরি করতে পারেন।

৭. Reaction Formation (প্রতিক্রিয়া গঠন)

  • Expressing emotions that are exact opposite of what you feel.

এর মানে হচ্ছে, নিজের প্রকৃত অনুভূতি বুঝতে না দেওয়া। আপনি হয়তো কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে অপছন্দ করেন কিন্তু আচরণে দেখাচ্ছেন যে, “আপনি সেটা খুব পছন্দ করেন।”

৮. Daydreaming/Fantasy (দিবাস্বপ্ন)

  • Escaping from an unpleasant situation by using your imagination.
  • Avoiding reality by retreating to a safe place within one’s mind.
  • Living in a Fantasy World.

এর অর্থ হচ্ছে, বাস্তবে যা হচ্ছে না তা কল্পনায় নিয়ে আসা। এবং কল্পনায় নিজের একটি কাল্পনিক পৃথিবী তৈরি করা যেখানে একজন ব্যক্তির সব স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। আরো একটি বিষয় হচ্ছে, নিজেকে সুরক্ষিত অনুভব করা।

- Advertisement -

যেমন ধরুন, জীবনে কিছুই ঠিকঠাক চলছে না। তো, নায়ক জসিমের মত লটারি পাওয়ার কল্পনা আপনি করতেই পারেন।

৯. Projection (অভিক্ষেপ)

  • See their own unacceptable thoughts, feelings and motives to another person.

এই ধরণের মানুষ নিজের সমস্যাকে বিচার না করে অন্যর সমস্যাকে বিচার করে। নিজের জীবনে কিছুই ঠিকঠাক নেই কিন্তু অন্যর জীবন নিয়ে মাতামাতি। এর সহজ উদাহরণ এরকম হতে পারে, “হয়তো আপনি কাউকে পছন্দ করেন কিন্তু আপনার মনে হয় সে আপনাকে পছন্দ করে।”

১০. Rationalization (যুক্তিকতা)

যেমন ধরুন, কারিনা মহামারীতে বহু মানুষ মারা গেল। কিন্তু কিছু মানুষ এই ধরণের এই শূন্যস্থান পছন্দ করবেন না। তারা বলবেন, “এটা উপর আল্লাহ্‌র গজব ছিলো।” সত্য তো এটাই, অনেক মানুষ মারা গেছে। আর বিশ্ব সৃষ্টিকর্তা পরিচালনা করেন -এটা সত্য। কিন্তু এই বিশ্বাস দিয়ে ওই শূন্যস্থান পূরণ করবার কোন মানে হয় না।

এছাড়াও নিজের ব্যর্থতার জন্য অন্য কাউকে দায়ী করা অথবা, চারপাশের পরিবেশকে দায়ী করা।

১১. Intellectualization (বুদ্ধিবৃত্তিককরণ)

  • Blocking stressful emotional situation and thinking only about facts.

খারাপ সময় চলছে কিন্তু সেটাকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে জাস্টিফাই করা যে, “ভালো সময় পার করছি।” এমনকি কেউ জীবন থেকে চলে গেছে সেটাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়ে তার পেছনে কিছু যুক্তি স্থাপন করা যেসব মূলত ফ্যাক্ট।

- Advertisement -

এছাড়াও ‘ডিফেন্স মেকানিজম (Defense Mechanism)’ এর আরো কিছু প্রকার রয়েছে,

  • Identification
  • Withdrawal/Giving Up
  • Sympathies
  • Undoing
  • Introjection
  • Substitution

এই ছিলো সিগমন্ড ফ্রয়েডের ‘ডিফেন্স মেকানিজম (Defense Mechanism)’ নিয়ে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন। আশা করি আপনি এই অনুচ্ছেদ থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ

- Advertisement -
- Advertisement -

মেহেদি হাসান

পরিচয়: আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নামে মি. বিকেল। আমি একজন বহুমুখী ব্যক্তি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমার পেশাগত জীবন বিস্তৃত। লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, অডিও ও ভিডিও সম্পাদক, ছবি সম্পাদক, ইউটিউবার এবং নাট্য পরিচালক হিসেবে কাজ করি। মাইক্রোসফটের একজন ডেভেলপার এবং অ্যাপ ডেভেলপারও আমি। More »

Related Articles

Leave a Reply

- Advertisement -
Back to top button