স্বাস্থ্য

সফট ড্রিংক: স্বাদে মিষ্টি, শরীরে বিষ

কোকাকোলার গোপন রেসিপি আর তার ভয়াবহ প্রভাব

বিজ্ঞাপন

Disclaimer: The information provided in this article is for general informational purposes only and should not be considered as professional advice. The content is based on the author’s personal opinions, observations, and research. Readers are encouraged to consult with relevant professionals or experts before making any decisions or taking any actions based on the information provided in this article.

The author acknowledges that the consumption of soft drinks, including popular brands such as Coca-Cola, Pepsi, Seven Up, and Red Bull, is a common practice. However, the article highlights the potential health impacts of these drinks on the body. It emphasizes that while these drinks may provide an instant energy boost, their regular consumption can lead to long-term adverse effects on health.

The article discusses the ingredients found in a typical soft drink, such as carbonated water, sugar, phosphoric acid, caramel, and caffeine. It points out that these are artificial substances and consuming them regularly may contribute to various health issues, including dental problems, digestive issues, and disruptions in the cardiovascular system.

Readers are urged to be aware of the potential risks associated with the consumption of soft drinks and to make informed choices regarding their dietary habits. The author suggests considering alternative beverages that are less processed and contain natural ingredients for maintaining a healthier lifestyle.

It’s essential for readers to recognize that individual health conditions may vary, and consulting with healthcare professionals for personalized advice is recommended. The author disclaims any responsibility for the consequences of readers’ decisions based on the information presented in this article.

বিজ্ঞাপন

আমরা প্রতিনিয়ত সফট ড্রিংক গ্রহণ করে থাকি কিন্তু আমরা কি জানি এইসব ড্রিংক এর উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে? আমাদের পান করা সব ড্রিংক গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হলো কোকাকোলা, পেপসি, সেভেন আপ, রেড বুল। এছাড়া আরো অনেক ধরনের জনপ্রিয় ড্রিংক বাজারে উপস্থিত ।আমরা সময় অসময়ে অথবা শখের বসে অনেক সময় এই ড্রিংকগুলো গ্রহণ করে আসছি। কিন্তু আমরা জানি না এই ড্রিংকগুলো আমাদের শরীরের কি রকমের প্রভাব ফেলতে পারে। এই ড্রিংকগুলো আমাদের শরীরে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি বুস্টার হিসাবে কাজ করে।এইগুলো গ্রহণ করার পর আমরা সল্প সময়ের জন্য অনেক শক্তি পাই বলে মনে হয়।

সবাই আমরা কোকাকোলার নাম শুনেছি। এটি আমাদের সব ড্রিংক এর মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। একটা কোকাকোলা কি কি দিয়ে তৈরি হয়? কোকাকোলার এই রেসিপি একটি সিক্রেট রেসিপি।শোনা যায় এর রেসিপি এরা কারো কাছে শেয়ার করে না। কিন্তু হ্যাঁ আমরা কোকাকোলা গায়ে লাগানোর স্টিকার থেকে দেখতে পারি একটি কোকাকোলার মধ্যে সাধারণত কি কি উপাদান থাকে।

সাধারণত একটি কোকাকোলা তৈরি হয় কার্বনেটেড ওয়াটার, চিনি, এসিডিটি রেগুলেটর-ফসফরিক অ্যাসিড, রঞ্জক-ক্যারামেল এবং ক্যাফিন দ্বারা।এই পদার্থগুলো সবগুলোই কৃত্রিম উপাদান। প্রতিনিয়ত আমরা এই  উপাদান গুলো আমাদের শরীরে এই সকল সফট ড্রিংক এর মাধ্যমে প্রবেশ করতেছি।এগুল শরীরে স্বল্প সময়ের জন্য শক্তি জোগালেও দীর্ঘ মাত্রায় এই সকল ড্রিংক এর ব্যবহার আমাদের শরীরে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে পারে।

কার্বনেটেড ওয়াটার-এটি একটি উচ্চ অম্লীয় পানি, আমাদের দাঁতের ক্ষতিসাধন করে, হজমের অস্বস্তি ঘটায়, হাড়ের ঘনত্ব কমায়,আমাদের শরীরের হাইড্রেশনেও এর ভূমিকা আছে। এটি আমাদের রক্তে কার্বনেশন বাড়ায় এবং আমাদের শরীরের সার্বিক সামগ্রীক তরল কমিয়ে দেওয়ার একটি অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।এই পানির নিয়মিত পিএইচ ৩ থেকে ৪ এর মধ্যে যেটা কিনা আমাদের শরীরের অ্যাসিডিক ভূমিকা পালন করে। এর আরেকটি নাম রয়েছে সোডা ওয়াটার বা স্পার্কলিং ওয়াটার।

ফসফরিক এসিড-কার্বনেটেড পানির  সাথে অনেক মিল আছে এর। এছাড়াও এটি কিডনি কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। বিপাকীয় ভারসাম্যতা বিনষ্ট করতে পারে। এর পিএইচ এর মান ২.৮ অর্থাৎ এটি আমাদের শরীরে এসিডিটি বাড়াতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ক্যাফেন-এটি আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, নার্ভাসনেস বাড়াতে পারে, আমাদের হৃদয় স্পন্দন অসম্ভাব্যরূপে বাড়াতে পারে এবং আমাদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম আছে এই সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, হজমের সমস্যা ঘটাতে পারে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা ক্যাফেইন দ্বারা সাধারণত হয়ে থাকে।এর ব্যবহার সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের পাকস্থলীকে প্রভাবিত করতে পারে।এর পিএইচ এর মাত্রা ৪ থেকে ৫ এর কাছাকাছি যেটা আমাদের শরীরের গ্রহণযোগ্য মাত্রায় আছে। কিন্তু তারপরেও এর অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

এছাড়াও এই সকল ড্রিংকে বিভিন্ন ধরনের কৃত্তিম পদার্থ ব্যাবহার করা হয় এবং এই  জাতীয় পদার্থ আমাদের শরীরে অনেকঅনাকাঙ্ক্ষিত এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে। একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে কোকাকোলা এর পিএইচ মান ২.৬ থেকে ২.৭পর্যন্ত। যেটা কিনা হাইড্রোক্লোরিক এসিডের পিএইচ এর মান থেকেও কম এবং বেশি এসিডিক। আর আমরা সবাই জানি হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড কত ভয়ংকর রুপ নিতে পারে।

তো আমরা বলতে পারি, সে ক্ষেত্রে আমরা হাইড্রোক্লোরিক এসিডের থেকেও বেশি শক্তিশালী এসিড প্রতিনিয়ত কোকাকোলা সহ অন্যান্য সফট ড্রিংকের  মাধ্যমে গ্রহণ করতেছি যা আমাদের শরীরে বর্তমানে কোন ধরনের সমস্যা না ঘটালেও ভবিষ্যতে সমস্যা ঘটাতে পারে।

তাই আমরা যত কম পারবো তত এই কৃত্রিম পদার্থ গুলো এড়িয়ে চলা চেষ্টা করবো তাহলেই আমরা একটি সুস্থ সুন্দর জীবন উপভোগ করতে পারব।

ছবি: Image by wirestock on Freepik

বিজ্ঞাপন


Discover more from অভিযাত্রী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

চন্দ্রকান্ত সেন

ছাত্র, জ্ঞান আহরোণের প্রয়াসে আছি। অধ্যায়নরত আছি-নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কলেজ, যশোর (২য় বর্ষ)। জেলা: নড়াইল।

Related Articles

Leave a Reply

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from অভিযাত্রী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading