ধ্রুবের অনুসন্ধান, স্মৃতির পারাপার
স্মৃতিহীন ধ্রুবের অদ্ভুত জীবন: দেউলিয়া থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক!
ঘুম থেকে উঠে ধ্রুব দেখে নিজেকে ব্যস্ত ফুটপাতে, স্মৃতিহীন। এক মহিলার সাহায্যে জানে তার নাম ধ্রুব সরকার এবং তার উপর ১ কোটি টাকার ঋণ। ঋণ পরিশোধের চেষ্টায় সে পথে ভিক্ষা করে। এক বৃদ্ধার সাহায্যে নতুন জীবন শুরু করে একটি গ্রামে। সেখানে মৃদুলা চৌধুরী নামে এক মহিলার সাথে বিয়ে করে। মৃদুলা একটি কোম্পানির সহ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ধ্রুবকে তার কাজে সাহায্য করতে বলে।
আমি ঘুম থেকে উঠে নিজেকে এক ব্যস্ত ফুটপাতে আবিষ্কার করলাম। আমার গায়ে একটি সাদা শার্ট, ময়লায় জরাজীর্ণ। আমি কখন বা কীভাবে এখানে এসেছি তা ঠিক মনে করতে পারছি না। আমি জানিনা আমার নাম কি, আমার বয়স কত, কোথায় বাড়ি, কোথা থেকে এখানে এসেছি। সময়ের ধারণা আছে, হাতে এক সস্তা কালো রঙের ঘড়ি। সময় দেখাচ্ছে সকাল ন’টা।
চারপাশে ভয়ানক দূষিত বাতাস এসে নাকে লাগছে, একবার বমি হবার উপক্রম হলো। তার উপর মানুষের আনাগানো এবং বিভিন্ন গাড়ির হর্ণে মাথা ধরতে শুরু করলো। সময় যত গড়াচ্ছে তত বেশি চারপাশে মানুষের আনাগোনা এবং গাড়ির জ্যাম বাড়ছে। ফুটপাতে আমাকে দেখারও কারো হাতে সময় নাই। কেউ কেউ একলাফে আমাকে পাড়ি দিয়ে সামনে চলে যাচ্ছে, আবার কেউ কেউ আমার হাত-পা-বুক এর উপর পা দিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
মনে হচ্ছে আমি অনেক ক্ষুধার্ত। আমি উঠে দাঁড়ালাম। হঠাৎ করে আমার মাথায় একটি শব্দ খেলে গেল, ‘এটিএম বুথ’। অবশ্য বেশি খুঁজতে হলো না, মাত্র ১২০ মিটার দূরেই একটি ‘ATM’ লেখা একটি বাক্স আছে। সেখানে প্রবেশ করতেই এক মেয়ের সাথে ধাক্কা খেলাম আর আমার শার্টের পকেট থেকে একটি কার্ড মাটিতে পড়ে গেল, সাথে ঐ মেয়েটিও। ধাতস্থ হতে একটু সময় লাগলো। মেয়েটি ঐ কার্ডসহ উঠে দাঁড়ালো এবং বিনয়ের সাথে বললো, “আপনার ক্রেডিট কার্ড!” কার্ডটি হাতে ধরিয়ে দিয়েই বাকিদের মত করে মেয়েটাও ফুটপাতে কিছু একটার জন্য অপেক্ষা করছে।
কিন্তু আমি এই মেয়েটিকে যেতে দিতে পারি না কারণ এখানে সবাই এত ব্যস্ত হয়তো কেউ-ই আমাকে সাহায্য করবে না। তাই মেয়েটার কাছে গেলাম আর আমার কার্ড তার দিকে ধরিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “আচ্ছা, ক্রেডিট কার্ড মানে কি?” মেয়েটা বেশ কিছুসময় ধরে আমার দিকে তাকালো। খুব সম্ভবত আমি মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করছে কিন্তু আমি এটাও বা কীভাবে জানি!
মেয়েটি জিজ্ঞেস করলো, “কে আপনি? আপনার নাম কি?” এসব প্রশ্নের ফলে আমি নিজেকে বেশ একা পেলাম আর এ পর্যন্ত ঘটা সব সত্য তাকে বলে দিলাম। কারণ আমার হাতে এছাড়া আর কোন অপশন নেই। মেয়েটা ঘড়ি ধরে পাঁচমিনিট সময় নিয়ে বললো, “আপনার নাম হচ্ছে ধ্রুব সরকার। আর আপনার এই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে নিশ্চয় আপনি কোন লোন নিয়েছিলেন যা আপনার অ্যাকাউন্টে থাকার কথা।” আমি লোনের ধারণা জানি কিন্তু ক্রেডিট কার্ডের ধারণা বা সিস্টেম জানিনা। তাই মেয়েটিকে সাহায্যের জন্য বললাম।
মেয়েটি খুব গোছানো জামা পরেছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক অভিজাত পরিবারের কেউ একজন। মেয়েটি ফের বললো, “আমার নাম মৃদুলা চৌধুরী। আর ক্রেডিট কার্ড কীভাবে কাজ করে সেটা দেখিয়ে দিতে পারি। কিন্তু আমি সরাসরি এটা আপনার হয়ে অপারেট করতে পারবো না, কারণ এসব সিক্রেট। তাছাড়াও আপনার পিন কোড আপনার মনে আছে তো?” প্রত্যুত্তরে বললাম, “হ্যাঁ, পিন কোড তো মনে আছে।” মেয়েটি অবাক হয়ে বললো, “পিন কোড মনে আছে কিন্তু ক্রেডিট কার্ড কীভাবে কাজ করে সেটা জানেন না! অদ্ভুত! চলুন আমার সাথে?”
আমি মেয়েটির পিছে পিছে একটি এটিএম বুথে গেলাম। কিছুসময় পর মেয়েটি জিজ্ঞেস করলো, “আপনার পিন কোড বলুন? চার ডিজিটের…” আমি, “ওকে, ৬৬৬৬ হচ্ছে আমার ক্রেডিট কার্ডের পিন কোড।” কিন্তু পিন কোড দেবার পরেই স্ক্রিনে একটি সংখ্যা ভেসে উঠলো ‘- ১,০০০০০০০ BDT’। দেখলাম মেয়েটির হাত কাঁপছে, খুব নিচু স্বরে বললো, “আপনি দেউলিয়া হয়ে গেছেন, আপনার থেকে ব্যাংক পায় ১ কোটি টাকা। আর এই টাকা পরিশোধের সময়ও খুব কম, মাত্র ছ’মাস। এছাড়াও প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ইন্টারেস্ট আপনার মোট ঋণের সাথে যুক্ত হতে পারে।”
আমি আবার কি করতাম যে দেউলিয়া হয়ে গেলাম! তাও ১ কোটি টাকা! আর তাছাড়াও আমি এখানে একেবারে নতুন, একটু আগে নিজের নাম পর্যন্ত জানা ছিলো না। মৃদুলা আবার মুখ খুললো, “দেখুন, আমি জানিনা আপনি কে! আমার পক্ষে যেটুকু সম্ভব সেটুকু আমি আপনাকে জানালাম। আর একটা কথা, যদি সময়মত আপনি এই টাকা না পরিশোধ করতে পারেন তাহলে আপনাকে জেলও খাটতে হতে পারে। আর আমাকে যেতে হবে। আপনি আমার এই কার্ড রাখতে পারেন।”
একটুবাদে দেখলাম মৃদুলা একটি রিক্সা ডাকলো এবং দ্রুত প্রস্থান নিলো। হাতে দেওয়া ওর কার্ড, ‘মৃদুলা চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ABC Garments Factory, হাউজ ৬, রোড ৬, নিকেতন, ঢাকা ১২১২, বাংলাদেশ’। কার্ডের সাথে একশত টাকার নোটও ছিলো। খুব সম্ভবত আমার সকালের খাবারের জন্য। কিন্তু খাবার শেষে আরো বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লাম। এত টাকা আমি কীভাবে পরিশোধ করবো? এখানে আমাকে কেউ কি কোন কাজ দেবে? আমার তো কোন যোগ্যতাও নাই! সার্টিফিকেটও নাই!
সামনে একটি ওভারব্রিজ দেখলাম। ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তার ওপাশে পার হতে দেখলাম কিছু মানুষ থালাবাটি হাতে নিয়ে মানুষের কাছে টাকা চাচ্ছে। আর কিছু মানুষ তা দেখে টাকাও দিচ্ছে। তাই আমি আর দেরি করলাম না, আমি আমার শার্ট খুললাম তারপর রাস্তায় বসে পড়ে আমার সাদা শার্ট বিছিয়ে দিলাম। এভাবে সারাদিন মানুষের কাছে হাত পাতালাম। কেন জানিনা অন্যদের তুলনায় মানুষ আমাকে বেশি টাকা দিচ্ছিলো। মানে, যে ব্যক্তি এখানে বসে থাকা প্রায় দশজন কে টাকা না দিলেও আমাকে দিচ্ছে।
রাতে এক বৃদ্ধ বুড়ি আমাকে শীতে কাঁপতে দেখে বললো, “তুমি কি এখানে নতুন?” আমি মাথা নাড়ালাম। তারপর ঐ বৃদ্ধ বুড়ি আমাকে নিয়ে এক বস্তির মতন জায়গায় তার কুঁড়েঘরে নিয়ে গেল। কিছু খাবার দিল আর ভাঙ্গা এক ছোট খাট ইশারা করে নিজে মেঝেতে শুয়ে পড়তেই ঘুমিয়ে গেল। আমার শার্ট এখন অনেক টাকা-পয়সায় ভরে গেছে মনে হচ্ছে। বুড়িটা সব গুছিয়ে রেখেছে। আমি শার্টটা কাছে এনে শার্টের গিঁট খুললাম, এখানে পয়সা অনেক বেশি। খুব সম্ভবত এজন্যই ভারি বলে মনে হচ্ছিলো।
এরপর গণনা শুরু করলাম, আমি জানিনা আসলে আমার মধ্যে কিছু গুণ আগে থেকেই কীভাবে আছে কিন্তু কোন স্মৃতি নেই। যাকগে, গণনার শেষ পর্যায়ে দেখলাম, মোট ৫০০ টাকা। অবশ্য আমি অর্ধেকবেলা ওখানে ছিলাম। সুতরাং পুরো বেলা থাকলে ১ হাজার টাকা পেতাম। কিন্তু আমার ঋণ আছে ১ কোটি টাকা! সুতরাং এভাবে যদি আমি মানুষের কাছে হাতও পাতি তাহলে ১ কোটি টাকা জমাতে আমার সময় লাগবে আনুমানিক ১০ হাজার দিন মানে ২৭.৪০ বছর! না এভাবে তো একজীবন ঋণশোধ করতেই চলে যাবে। এসব ভাবতে ভাবতে আমি কখন জানি ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালবেলা বৃদ্ধ বুড়িটা আমার জন্য এক কাপ চা নিয়ে এসে বললো, “তোমার মত রাজপুত্র আমাদের সাথে ভিক্ষা করলে খারাপ দেখায়! বাড়িতে চলে যাও। বাবা-মায়ের প্রতি রাগ করো না, ওরা এমনিই একসময় সব ভুলে যায়। হাজারহোক তোমার বাবা-মা, তোমাকে জন্ম দিয়েছে।” আমার চোখে জল আসলো আর আমি খুবই আবেগী হয়ে পড়লাম। এই বাবা-মা আবার কি জিনিস! এই আইডিয়াও তো আমার মাথায় নাই, শুধু বুঝলাম এমন কেউ পৃথিবীতে থাকেন যারা হয়তো আমাদের সবসময় ভালোটাই চান।
আমি বুড়ি মাকে সব বলে দিলাম। ঋণের কথাও বললাম। আর এটাও বললাম, “এজন্য আমাকে জেল খাটতে হতে পারে।” কিন্তু এই বৃদ্ধ বুড়ি এসব শুনে ‘হা…’ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। শুধু বললেন, “আমাকে একটু সময় দাও, বেশি নয়, এক ঘন্টায় চলে আসবো।”
একঘন্টা পর বুড়ির হাতে এক বাসের টিকিট। হাতে করে এক চিরকুটও এনেছে। আমাকে দিয়ে বললেন, “তোমাকে জেল তো আর খাটতে দিতে পারিনা, তুমি এখান থেকে পালাও।” আমি নির্বিকার হয়ে বললাম, “কিন্তু কোথায়? আমাকে তো খুঁজে বের করবেই!” বুড়ি বললো, “বাংলাদেশের মধ্যে এখনো এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বিদ্যুৎ নাই, আধুনিক চিকিৎসা সেবা নাই, হাতে হাতে স্মার্টফোন নাই, ঠিক তেমন করে কোন জেলও নাই। তুমি একেবারে নেটওয়ার্কের বাইরে যাচ্ছো, ঠিকাছে?”
আমি কৌতুহল থেকে জিজ্ঞেস করলাম, “কিন্তু আমি এখন কোথায় আছি? মানে আপনি বলছেন আমি বাংলাদেশে আছি, তাহলে এদেশের কোন শহরে আছি?” বুড়ি চট করে উত্তর দিলো, “এটা ঢাকা শহর, এখান থেকে দ্রুত পালাও। আর শোন? আমি তোমার নতুন নাম দিচ্ছি, তুমি এই এড্রেসে গিয়ে বলবে তুমি বিশ্বাস চৌধুরী। আর আমার বাক্সে একটা ফোন আছে, ওটার সিম আমার নামে রেজিস্ট্রেশন করা তাই যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে চিরকুটে লেখা এই নম্বরে জানাবে। আর একটা শার্ট এনেছি এটা পরে নাও তবে গোসল করে, ঠিকাছে?”
গোসল করে বুড়ির দেওয়া নতুন শার্ট পরে আমাকে বেশ গোছানো লাগছে। বুড়ির মুঠোফোন হাতে নিয়ে শুধু বললাম, “আপনি আমার জন্য এতকিছু কেন করছেন?” বুড়ি শুধু উত্তরে বললো, “আমি এসব আমার জন্যই করি। আমার ভালো লাগে। কিন্তু তোমাকে এখন পালাতে হবে।” হ্যাঁ, বুড়ি ঠিকই বলেছে। এই দূষিত শহরে এত বড় ঋণ কাঁধে নিয়ে কীভাবেই বা টিকে থাকবো। কীভাবেই বা একা সব কিছুর সাথে লড়াই করবো। কিন্তু বুড়ির এই সাহায্য আমি আজীবন মনে রাখবো। বিকেল ৩টায় বাস। বাসে উঠে দিয়ে বুড়ি আমাকে শুধু বললেন, “কখনোই কাউকে আমাদের সম্পর্কে জানিয়ো না, আমি যখন চলে যাবো তখন আমার দিকে তাকাবে না!”
অবশেষে শান্তিপুর নামক এক গ্রামে এসে পৌঁছালাম। কিন্তু চিরকুট টা ভালো করে পড়াই হয়নি। গ্রামের মানুষকে জিজ্ঞেস করছি, “মৃদুলা চৌধুরী কোথায় থাকেন বলতে পারবেন?” কিন্তু আমি তো মৃদুলা চৌধুরীকে চিনি মানে প্রথমে দেখা তো ওর সাথেই। এক ভদ্রলোক এসে ধমকের স্বরে বললেন, “মৃদুলার কে হও তুমি?” আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম। তাহলে কি শেষমেশ এর হাতে ধরা খেলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই সিনেমাটিক ভঙ্গিতে আমাদের সামনে হাজির মৃদুলা, “কি আক্কাস! এই এলাকার মেম্বার হলা কবে থাইকা?”
ফের মৃদুলা চৌধুরীর সাথে দেখা হবে ভাবিনি। কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে এই পুরো জাল মৃদুলার তৈরি করা। মানে কোন এক বুড়ির সাথে হঠাৎ দেখা থেকে শুরু করে এই শান্তিপুর গ্রামে আসা। মৃদুলা আমাকে সামনের মেঠোপথ ধরে হাঁটার জন্য ইশারা করলো। কিন্তু আমার মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন এবং কৌতুহল।
আমি: মৃদুলা, তুমি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছো, তাই না?
মৃদুলা: টেকনিকালি তো তাই!
আমি: কিন্তু কেন?
মৃদুলা: তোমার তো কোন স্মৃতি নাই। স্মৃতিহীন মানুষকে আমার খুব ভালো লাগে। কারণ এই স্মৃতি আমাদের হাসায় আবার আমাদের কাঁদায়।
আমি: কিন্তু মনোবিজ্ঞান অনুযায়ী তুমি আমাকে এখানে এনেছো কারণ আমি দেউলিয়া।
মৃদুলা: ওহ! বাবা… তুমি মনোবিজ্ঞান কি জিনিস বুঝো?
আমি: নাহ্, হুট করে মাথায় আসলো।
এরপর গ্রামের এক মাটির বাড়িতে আমি মৃদুলাকে বিয়ে করে থেকে যাই। সময় সময় কি যেন কাজে মৃদুলা আজকাল খুব ব্যস্ত থাকে। পরে বুঝলাম, মৃদুলা আমার পুরো পরিচয় বিশ্বাস চৌধুরী নামে পাল্টে ফেলেছে। আমার জাতীয় পরিচয়ও এখন বিশ্বাস চৌধুরী, কে কে জানি আমার মৃত বাবা-মা হিসেবেও আছেন। একদিন মৃদুলা শুধু বললো, “আমার অফিসে একটা পদ আছে, খুব গুরুত্বপূর্ণ, সহ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তুমি কাজটি করতে চাইবে? বর্তমানে আমাদের এআই ভিত্তিক কিছু মেশিন তৈরির কাজ চলছে, তুমি পাশে থাকলে আমার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।”
আমি শুধু ভাবছিলাম, যাদের জন্ম হয় কোটি টাকার ঋণে তারা যদি সবাই এমন একটা মৃদুলা চৌধুরীকে পেত তাহলে জীবন কিছুটা হলেও সহজ হত!
Discover more from অভিযাত্রী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.