Disclaimer: The information provided in this article is for general informational purposes only. The views expressed are the personal opinions of the author and do not constitute professional advice.
The article discusses various tips and suggestions for managing body weight, particularly addressing concerns related to abdominal fat. It is important to note that individual results may vary, and the effectiveness of the suggested strategies depends on various factors, including but not limited to, personal health conditions, lifestyle, and adherence to the recommendations.
The article mentions lifestyle changes, dietary adjustments, and physical activity as potential ways to address abdominal fat. However, readers are advised to consult with qualified healthcare professionals or nutritionists before making significant changes to their diet or exercise routines, especially if they have underlying health conditions or specific dietary needs.
Furthermore, the article refers to the potential impact of certain foods on weight management, such as the avoidance of trans fats and an emphasis on a balanced diet. While efforts are made to provide accurate and up-to-date information, it is essential for readers to conduct their own research and consider individual factors when making decisions about their diet.
The article also briefly mentions the association between stress and weight gain, suggesting stress management as a potential strategy. Readers are encouraged to explore stress management techniques that suit their individual preferences and, if necessary, seek professional advice.
The article highlights the importance of adequate sleep, the role of proteins and omega-3 fatty acids in the diet, and the potential risks associated with excessive sugar intake. However, it is crucial for readers to interpret this information in the context of their overall health and dietary needs.
In conclusion, while the article provides general guidance, readers are encouraged to approach any lifestyle changes with caution and seek personalized advice from healthcare professionals to ensure the recommendations align with their specific health conditions and goals. The author and the website disclaim any liability for adverse effects or consequences resulting from the implementation of the suggestions provided in the article. Readers are urged to use their discretion and consult with relevant professionals before making significant health-related decisions.
পেটের মেদ বা ভুঁড়ি বর্তমানে একটা উল্লেখযোগ্য সমস্যা। খাবার গ্রহণে অতিমাত্রায় বিলাসিতা, শারীরিক শ্রমের প্রতি অনিহা ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে উদাসীনতা সব মিলিয়ে দিনের পর দিন পৃথিবীতে যেমন স্থুলতা বাড়ছে ঠিক তেমনি তাল মিলিয়ে পেটের মেদ বা ভুঁড়ি বেড়ে চলেছে।
ভুঁড়ি বাড়লে মানুষের শারীরিক সৌন্দর্য যেমন দৃষ্টিকটু দেখায় তেমনি শারীরিক ভাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে নারীদের অতিরিক্ত মেদ তাদের শারিরিক ফিটনেস কে নষ্ট করে দিচ্ছে। এমনকি কিশোরদের মধ্যেও এই সমস্যা বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়।
এছাড়া পেটের মেদ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধির জন্য দায়ী। আমরা সামান্য কিছু কৌশল অবলম্বন করে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। আসুন জেনে নিন কি সব কৌশল যা আমাদের পেটের মেদ বা ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করে।
১. ট্রান্সফ্যাট খাবার খাওয়া বন্ধ করা
ট্রান্সফ্যাট মানে হলো উদ্ভিজ্জ খাবারের সাথে হাইড্রোজেন যুক্ত হওয়া এবং এই খাবার গুলো বারবার তেলে ভাজা হয় তখন তার ক্ষতিকর প্রভাবের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। ট্রান্সফ্যাট খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কেক, কুকিজ, ফ্রোজেন খাবার, ভাজা পোড়া খাবার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রাইড চিকেন ইত্যাদি।
বাদড়ের উপর একটা গবেষণা করা বৈজ্ঞানিকেরা এই অনুসিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ট্রান্সফ্যাট খাবার গ্রহণের ফলে প্রায় ৩৫% শতাংশ এর মতো ভুঁড়ি বেড়ে যায়। এছাড়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এসব খাবার।
২. উদ্বেগ বা স্ট্রেস দূর করা
উদ্বেগ করার ফলে মানুষের পেটের চর্বি বা মেদ বেড়ে যায়। স্ট্রেসের ফলে আমাদের দেহে কর্টিসল নামক হরমোন নিঃসৃত হয় যা মূলত স্ট্রেস হরমোন নামেও পরিচিত। এই হরমোন নিঃসৃত হবার ফলে দেহে চর্বির পরিমান বৃদ্ধি হয়। তাছাড়া এটি ক্ষুধার উদ্রেক করে যা অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে উৎসাহিত করে।
তাই উদ্বেগ কমানোর জন্য এমন কিছু কাজ করা উচিত যা আমাদের উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে যেমন পরিবারের সাথে সময় কাটানো, পছন্দের সিনেমা দেখা, বাগান করা অথবা যে কোন ধরনের খেলাধুলো যা আপনার মধ্যে শান্তির অনূভুতি সৃষ্টি করে।
৩. চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করা
চিনি আমাদের দেহের মেদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া চিনি ক্রনিক রোগ বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে বৈজ্ঞানিকেরা মনে করেন। এখানে উল্লেখ্য যে কোমল পানীয়ের মিষ্টি স্বাদ তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা সাধারণ মিষ্টি দ্রব্যের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিকারক তাই কোমল পানীয় ব্যবহার যত দ্রুত সম্ভব পরিহার করুন।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য উপাদান। আমরা ঘুমের বিষয়টাকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না যা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ পতনের জন্য অনেকাংশে দায়ী। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যারা ৬ ঘন্টার কম ঘুমান তাদের ওজন অস্বাভাবিক রকম বেড়ে গেছে তাদের তুলনায় যারা ৬/৭ ঘন্টার বেশি ঘুমান।
৫. সাদা কার্বোহাইড্রেট খাবার কমানো
সাদা কার্বোহাইড্রেট বলতে সাদা রঙের শর্করা যেমন সাদা ভাত, সাদা রুটি ইত্যাদিকে বোঝায়। গবেষণায় প্রমাণিত যে স্থুল ব্যক্তিরা যদি ৫০ গ্রামের কম সাদা কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ তাহলে তাদের ওজন উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। সাদা কার্বোহাইড্রেটের বিকল্প হিসেবে আপনি ব্রাউন কালার কার্বোহাইড্রেট গ্রহন করতে পারেন যেমন ময়দার রুটি, লাল চালের ভাত। এতে প্রায় শতকরা বিশ ভাগ চর্বি জমানো হ্রাস পায়।
৬. বেশি পরিমাণে আশযুক্ত খাবার খাওয়া
আশযুক্ত খাবার বলতে আমরা বুঝি বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি, ফল, ডাল ইত্যাদি। এসব খাবার অল্প খেলেই শারিরিক ক্ষুধা নিবারণ হয়ে যায় তাই বেশি পরিমাণ প্রোটিনের প্রয়োজন হয় না যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
৭. প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া
প্রোটিন কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় অধিক পরিমাণে মানুষের ক্ষুধা নিবারণে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রোটিন বেশি গ্রহণ করে তাদের মধ্যে পেটে মেদ বা চর্বি জমার পরিমাণ যারা কম প্রোটিন খায় তাদের তুলনায় অনেক কম।
৮. দৌড়ানোর অভ্যাস করুন
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত যে পেটের চর্বি বা মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো, দৌড়ানো। যদিও কিছু গবেষণায় দেখা গেছে হাই ইনটেনস ব্যায়াম বেশি কার্যকর। এটার কার্যকারিতা নির্ভর করে আপনি কত সময় ধরে নিয়মিত ব্যায়াম করছেন তার উপর।
৯. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
মাছের তেলে পর্যাপ্ত পরিমান এই ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। এছাড়া বাদামেও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে মাছের চর্বি লিভার ও হার্টের চর্বি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাসকরণে সাহায্য করে।
এছাড়া আমরা অনেক সময় সকালের নাস্তা না খেয়ে দুপুর বেলা একবারে অতি ভোজন করে ফেলি যা আমাদের ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। খাবার মনোযোগ দিয়ে খান, চিবিয়ে চিবিয়ে খান। আনমনে খাবার গ্রহণ যেমন টিভি দেখতে দেখতে খাবার খাওয়া, খাবার সময় বেশি কথা বলা, সৌজন্য বোধের খাতিরে খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। রুচি নষ্ট করে এমন খাবার পরিহার করুন।
পরিশেষ
উপরোক্ত পরামর্শ গুলো বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত তাই আপনি যদি বিশ থেকে একুশ দিন উক্ত পরামর্শ গুলো মেনে চলেন তাহলে আপনি নিজেই আপনার নিজের পরিবর্তন উপলব্ধি করতে পারবেন।
ছবি: Image by Anastasia Kazakova on Freepik
Discover more from অভিযাত্রী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.