স্বাস্থ্য

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য এই ১০টি অভ্যাস আপনার শত্রু

আধুনিক জীবনযাত্রার মস্তিষ্কের উপর প্রভাব

- Advertisement -

Disclaimer: The content provided in this article is intended for informational purposes only. The views expressed are the personal opinions of the author and do not constitute professional financial or legal advice. The inclusion of Google AdSense on this website is for the purpose of generating revenue. While we strive to adhere to Google AdSense policy guidelines, we cannot guarantee its continuous compliance. Google AdSense policies are subject to change, and we may not have control over policy updates made by Google. Readers are advised to independently verify and check Google AdSense policies to ensure the latest guidelines are followed. The author and the website shall not be held responsible for any adverse consequences, financial losses, or account suspension resulting from the failure to comply with Google AdSense policies. It is recommended that readers exercise their own judgment and seek professional advice if needed when dealing with issues related to Google AdSense and online advertising. We appreciate the understanding of our readers as we strive to provide valuable content while also relying on advertising revenue sources.

আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন অভ্যাস চর্চা করি। কিছু কিছু অভ্যাস আমাদের জন্য খুব ভালো আবার তেমনি কিছু কিছু অভ্যাস আমাদের জন্য ক্ষতিকর তবুও সেসব অভ্যাসগুলো আমরা চর্চা করে চলি। কিছু অভ্যাস আছে আমরা আমাদের অজান্তেই দীর্ঘদিন ধরে লালিত-পালিত করে আসছি যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। এমন ১০টি বদ অভ্যাস সম্বন্ধে আমরা আজ জানবো।

১. মাদকাসক্তি

বিভিন্ন ধরনের মাদক যেমন তামাক, জর্দা, সিগারেট, গাজা, ফেন্সিডিল, হিরোইন, ইয়াবা ইত্যাদি। এসব মাদক যখন আমরা গ্রহণ করি বিশেষত সিগারেট সহ সব মাদক দ্রব্য আমাদের ব্রেইনে পৌঁছায় এবং ব্রেইনে গিয়ে এক ধরণের কেমিক্যাল নিঃসরণ করে। এই কেমিক্যাল ডোপামিন ও সেরোটোনিনের নিঃসরণ ঘটায়। যার ফলে আমরা ভালো বোধ করি।

কিন্তু এই নিঃসরন ব্রেইনের স্বাভাবিক কার্যক্রম কে ব্যহত ঘটিয়ে জোরপূর্বক নিঃসরিত হয় যা আমাদের ব্রেইনের স্থায়ী ক্ষতি সাধন করে। এসব মাদক গ্রহণের ফলে বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগ যেমন উদ্বিগ্নতা ও বিষন্নতা দেখা দেয়। এছাড়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে।

২. অপর্যাপ্ত ঘুম

আজকের আমরা ঘুমটাকে বাড়তি জিনিস মনে করি। মনে করি ঘুমটা যদি না হতো ভালো হতো, সারারাত চ্যাটিং করা যেতো, সিনেমা বা ভিডিও গেম খেলা যেতো। কিন্তু বাস্তবে ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য একটা বিষয়। ঘুম আমাদের মস্তিষ্কের অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলোকে মুছে দেয় এবং প্রয়োজনীয় সংযোগগুলো স্থাপন করে। এছাড়া ঘুমের সময় কিছু হরমোন নিঃসরিত হয় যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

- Advertisement -

৩. শারীরিক সচলতা না থাকা

আমরা আজকাল আয়েশী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। বিজ্ঞানের চমকপ্রদ আবিস্কার গুলো আমাদের জীবনকে এতোটাই প্রভাবিত করে যে আমরা হাঁটার বদলে বাইক বা কারের ব্যবহার করছি। লিফটের বদৌলতে আমরা সিড়ি বেয়ে উঠা বন্ধ করে দিয়েছি।

এইরকম হাজারো উদাহরণ দেয়া সম্ভব। কিন্তু এই শারীরিক সচলতা না থাকা ব্রেইনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি অভ্যাস। আমরা যখন শারিরীক ভাবে পরিশ্রম করি তখন ব্রেইনের মধ্যে অক্সিজেন প্রবাহ বেড়ে যায় যা ব্রেইনের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়।

৪. রাতের বেলা না ঘুমানো

আমাদের ইয়ং জেনারেশনের মধ্যে এই ব্যাপারটা বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। এরা প্যাঁচার মতো সারারাত জেগে কাজ করে আর দিনের বেলা ঘুমায় যা আমাদের শরীরের জৈবিক ঘড়িকে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করে। আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি হরমোন হলো মেলাটোনিন। এই হরমোনটি রিম ঘুমের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। মজার ব্যাপার হলো এই হরমোন টি শুধুমাত্র রাতের বেলায় নিঃসৃত হয়।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে আমাদের উপমহাদেশে ঘুমের উপযুক্ত সময় হলো রাত ৯-১০ টা। কেননা এসময় অধিক পরিমাণে মেলাটোনিন নিঃসৃত হয়। রাত বাড়ার সাথে সাথে এই নিঃসরণের মাত্রা টা কমে যায়। তাই ব্রেইনকে সুস্থতা দানের জন্য এই বদ অভ্যাসটা আমাদের পরিহার করতে হবে।

৫. স্ক্রিনটাইম বেশিক্ষণ ধরে থাকা

স্ক্রিন টাইম বলতে আমরা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ডিসপ্লে তে অধিক পরিমাণে তাকিয়ে থাকা কে বোঝায়। যদি কেউ অধিক পরিমাণে স্ক্রিন টাইমে থাকে তাহলে তার ব্রেইনের সম্মুখভাগ যেটা দিয়ে সে চিন্তা করে, যুক্তি দাঁড় করে ও সিদ্ধান্ত নেয় সেটি সংকুচিত হয়ে যায় অর্থাৎ বেশিক্ষণ স্ক্রিনে থাকা টা আমাদের ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর।

- Advertisement -

৬. বেশি বেশি চিনি খাওয়া

অনেকেই হয়তো এই অভ্যাস টা ছাড়তে চাইবেন বিশেষ করে যারা মিষ্টান্ন প্রিয়। যদিও চিনি বা গ্লুকোজ আমাদের ব্রেইনের একমাত্র খাবার কিন্তু এর পরিমাণ বেশি হলে তা ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর। যারা বেশি বেশি চিনি খান তাদের একটা সমস্যা হলো তারা অন্য কিছু খেতে চান না যার ফলে শরীর তার প্রয়োজনীয় খাবার থেকে বঞ্চিত হয়।

৭. অধিক পরিমাণে নেতিবাচক খবর দেখা

আমরা আজকাল সারাক্ষণ অনলাইনে থাকি এর ফলে যা হয় বিভিন্ন নেচিবাচক সংবাদ আমাদের চোখে পড়ে। এসব নেচিবাচক সংবাদ যেমন হত্যা, ধর্ষণ, গুম, দুর্নীতি, ঘুষ, সন্ত্রাস আমাদের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তাই আমাদের অনলাইনে কি দেখবো আর কি দেখবো না তা সতর্কতার সাথে নির্বাচন করা উচিত।

৮. অতিরিক্ত হেডফোন বা ইয়ারফোনের ব্যবহার

আমরা আজকাল হেডফোন ব্যবহার করে গান শুনতে পছন্দ করি। অনেকেই দেখা যায় রাস্তা ঘাটে কানে হেডফোন লাগিয়ে চলতে যার ফলে অধিক পরিমাণে দুর্ঘটনা ঘটছে। কেউ যখন হেডফোন ব্যবহার করে তখন সে আশেপাশের কিছুই শুনতে পায় না, তার সেন্সরে ‘ড্রেপিভাইজেসন’ ঘটে যার ফলে ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বাহিরে হেডফোন ব্যবহার করা অনুচিত এছাড়া এর পরিমিত মাত্রায় ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার।

৯. সামাজিক মেলামেশা না করা

গবেষণায় দেখা গেছে যারা স্বাভাবিক মেলামেশা করেন তাদের ব্রেইন যারা ভার্চুয়াল জগতে থাকেন তাদের চেয়ে বেশি সুস্থ ও সতেজ থাকে। তাই ব্রেইনকে সুস্থ রাখতে হলে ভার্চুয়াল জগত ছেড়ে বাস্তব ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন।

১০. সকালের নাস্তা না খাওয়া

এটি অনেকেই চর্চা করে থাকেন বিশেষ করে ইয়াং জেনারেশন যারা ওজনের ব্যাপারে সচেতন তারা সকালে নাস্তা খান না। সারারাত না খেয়ে থাকার কারণে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। এ অবস্থায় কেউ যদি সকালের নাস্তা না করেন তাহলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা আরো কমে যাবে এবং ব্রেইন তার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বন্ধিত হবে তাই আপনি যদি সুস্থ স্বাভাবিক ব্রেইন চান তাহলে অবশ্যই সকালের নাশতা খাওয়া নিশ্চিত করুন।

- Advertisement -

ছবি: Image by Freepik

- Advertisement -
- Advertisement -

আল-মামুনুর রশিদ সাগর

আমার জীবনের লক্ষ্য হলো পৃথিবীকে এগিয়ে নেয়া। আমি জলবায়ু পরিবর্তন, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা, ক্রীড়া উন্নয়ন, প্রকৃতি ও পরিবেশের উন্নয়ন, দারিদ্র্য বৈষম্য এবং দুর্নীতি রোধে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি, আমি আগামীর শিশুদের জন্য একটি টেকসই ব্যবস্থা রেখে যেতে চাই। আমি পুরুষ, নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গ সবার জন্য সমান গ্রহণযোগ্যতা আনয়নে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- Advertisement -
Back to top button