বিকাশ (bKash) কি?
বিকাশ হচ্ছে আপনার জরুরি টাকার প্রয়োজনে মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে বেছে নিতে পারেন এমন একটি মাধ্যম। বাংলাদেশের সবথেকে বড় মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশ কে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
কোম্পানির নাম | bKash |
পরিচালক পরিষদ | কামাল কাদির, চেয়ারম্যান |
সেবা সমূহ | মোবাইল ব্যাংকিং, মানি ট্রান্সফার, বিল পেমেন্ট, এয়ারটাইম রিচার্জ এবং আরও অনেক কিছু |
প্রতিষ্ঠানের বছর | ২০১০ |
সেবার উপস্থিতি | বাংলাদেশ সম্পূর্ণে |
নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা | ৪৫ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী |
সময় টা ছিলো ২০১১ সাল বাংলাদেশের ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও আমেরিকার ম্যানি ইন মোশন (এলএলসি) এর উদ্যোগে তৈরি হয় বিকাশ। বিকাশ এমন একটি শব্দ যা উন্নয়ন এর কথা বলে। বিকাশ এর যাত্রাকাল থেকেই সকল শ্রেণীর মানুষ স্বাধীনভাবে তাদর অর্থ লেনদেন শুরু করে। এবং বিকাশ তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়।
বিকাশ দেশজুড়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে কার্জকর করতে তারা সহজ ও নিরাপদ এবং সময় সাশ্রয়ী ডিজিটাল লেনদেন করে। তাই এখন ডিজিটাল টাকা লেনদেন এর সর্মাথক শব্দ হয়ে গেছে বিকাশ। এবং তারা নিরবিচ্ছিন্ন মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদান করে। মানুষের স্বপ্নপূরণের সহযোগী। একই সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশে অভিযাত্রার সহযাত্রী হয়ে উঠছে।
বিকাশ এর ডিএনএ-তে রয়েছে যাত্রার শুরু থেকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি। বিকাশ জনবান্ধব সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশজুড়ে চালু করে ৩ লাখ এজেন্ট ও ৩ লাখ মার্চেন্টের বিশাল বড় এক নেটওয়ার্ক। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর সাথে অংশিদারিত্ব নিয়ে ডিজিটাল আর্থিক ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।
এর ফলে সাড়ে ৬ কোটি গ্রাহকের আস্হা নিয়ে চলতে থাকে বিকাশ। বিকাশ এপ্রিল ২০১৩ সালে বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের সদস্য। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্স্যাস কর্পোরেশন (আইওএফসি) তার সাথে বিল মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ২০১৪ সালে বিকাশ এর বিনিয়োগকারী হয়। আ্যন্ট গ্রুপ এবং সফ্যট ব্যাংক ভিশন এর যৌথ মালিকানাধীন বিকাশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক ডিজিটাল সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
বিকাশের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সম্মাননা
বিকাশ এর অগ্রযাত্রায় তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করেছে তার ভিতর হলো বিশ্বখ্যাত ফরচুন ম্যাগাজিন এর চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড (২০১৭) বিশ্বসেরা ৫০টি কোম্পানির ভিতর বিকাশ স্হান পায়। ২৩ তম স্হান অর্জন করে বিকাশ ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রদান এর কারণে বিকাশ এই সম্মাননা অর্জন করে।
বিকাশ ২০১৯, ২০২০, ২০২১, ২০২২ আসলে টানা চারবার বাংলাদেশ ব্রান্ড ফোরাম জরিপে সেরা ব্রান্ডের পুরস্কার পায়। এবং ২০২০, ২০২১, ২০২২ সালে টানা তিনবার বহুজাতিক কোম্পানির মধ্যে সেরা এমপ্লয়ার নির্বাচিত হয়। দ্যা ডেইলি স্টার – বাংলাদেশ বিজনেস আ্যওয়ার্ড পায় বিকাশ।
২০২২ সালে দেশের মোবাইল সেবাদাতা আর্থিক কোম্পানির মধ্যে প্রথমবার এশিয়া মণির বেস্ট ফর ডিজিটাল সল্যুসিন্স ইন বাংলাদেশ পুরস্কার অর্জন করে সারাদেশে।
বিকাশ অ্যাপ উদ্ভাবন
বিকাশের বিশাল নেটওয়ার্ক আছে। তাই তাদের সুবিধার জন্য বিকাশ অ্যাপ বানানো হয়, যাতে করে সহজ ও সময় সাশ্রয় হয়। অ্যাপ দিয়ে এজেন্টরা যেমন সুবিধা পাবেন তেমন সাধারণ ব্যবিহারকারী পাবেন নানা রকম সুবিধা।
বিকাশ অ্যাপ এ আপনারা পাবেন সেন্ড মানি একদম ফ্রি যে কোনো নাম্বারে। আর ক্যাশ আউট মাত্র ১৫ টাকা প্রতি হাজারে। তাই অ্যাপ টি অনেক উপকারে আসে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার এর জন্য। আপনার একটি স্মার্টফোন থাকতে হবে। আর আপনি যদি স্মার্ট ফোন না থেকে তাহলে বাটন ফোনে *২৪৭# ডায়াল করলে আপনি বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন বিকাশের।
বিকাশ অ্যাপ এর নিরিবিচ্ছিন ইন্টারনেট এর প্রয়োজন পড়বে এবং একটি সক্রিয় বিকাশ আইডি থাকতে হবে।
বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম কি? এবং কেন আপনি বিকাশ ব্যবহার করবেন?
বিকাশ ব্যবহারে জন্য আপনাকে একটি বিকাশ আ্যকাউন্ট থাকতে হবে তাই আপনাকে আগে একটি অ্যাকাউন্ট বানাতে হবে। বিকাশে রেজিষ্ট্রেশন করতে আপনাকে যে কোনো একটি বাংলাদেশি সিম এর প্রয়োজন হবে, ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে, ভোটার আইডি কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট থাকতে হবে।
যে ব্যক্তি রেজিষ্ট্রেশন করবে তার বয়স ১৮ বছর হতে হবে, আর আপনি চাইলে বিকাশ এজেন্ট থেকে খুলে নিতে পারেন তা হলে নিজে বাড়িতে বসে খুলতে পারবেন। এরপর বিকাশ খোলা হয়ে গেলে আপনি বিভিন্ন রকম অপশন দেখতে পাবেন যেমন ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড ম্যানি বিভিন্ন এনজিওর ডোনেশন অপশন, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল ইত্যাদি অপশন দেখতে পাবেন।
প্রধান কথা হলো, আপনি কেন বিকাশ ব্যবহার করবেন?
বিকাশ এমন একটি ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান যে আপনি মূহুর্তের মধ্যে দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঝামেলা ও সহজ উপায়ে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। বিকাশের মাধ্যমে এ আপনি ঝামেলা ছাড়া বিভিন্ন রকম অনলাইন প্লাটফর্মে কেনাকাটা করতে পারবেন। বেশি কেনাকাটা করলে আপনাকে বিকাশ ডিসকাউন্ট দিবে।
আপনি বিকাশের দ্বারা বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবেন, আপনি সিটি কর্পোরেশন এর পানির বিল দিতে পারবেন, আপনি বিদেশ থেকে টাকা দিতে পারবেন বিকাশে। আপনি বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম এনজিও তে টাকা দান করতে পারবেন। আর মূলকথা হলো যে, সবথেকে কম সময়ে আপনি টাকা লেনদেন করতে পারবেন কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই, তাই এটি বাংলাদেশের সবথেকে বড় মোবাইল ব্যাংকিং।
Discover more from অভিযাত্রী
Subscribe to get the latest posts sent to your email.