অমর্ত্য সেন এর জন্মের পর রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন তার মা অমিতাকে, ছেলের অতিপ্রচলিত নাম রাখা এক একঘেয়েমি ব্যাপার হবে। রবীন্দ্রনাথের দেওয়া অপ্রচলিত নামকরণ হলো – ‘অমর্ত্য’। মানে যার মৃত্যু নেই। ‘মর্ত্য’ এসেছে ‘মৃত্যু’ থেকে। ‘অমর্ত্য’ মানে “মৃত্যু নেই”।
যদি নেওয়া হয় একটু সংলাপে?
- বাড়ি কোথায়?
– আমার শৈশব ঢাকায়। শান্তিনিকেতনে জন্ম, বড় হয়ে ওঠা, এখনো নিয়মিত সেখানে গিয়ে থাকি।
- আপনার বাড়িটা ঠিক কোথায়?
-
আমেরিকার কেমব্রিজের হার্ভার্ড ইউনিভারসিটি ও ইংল্যান্ডের ট্রিনিটি কলেজ। স্নাতক, গবেষক, রিসার্চফেলো আবার শিক্ষক, সে সব আমার বাড়ি। আবার ভারত ও আমার নিজের বাড়ি মনে হয়। বাড়ি সেটাই যাতে স্বচ্ছন্দে থাকা যায়।
অমর্ত্য সেন এর সঙ্গে এমনই কথা হয়। তার প্রিয় খাবার কি? জবাব থাকতো, “তালিয়ালিনি কন ভনগোলে, সেঝুয়ান ডাক, আর অবশ্যই ইলিশ মাছ যেটা ঠিকঠাক পদ্ধতিতে ঢাকাই প্রণালীতে সর্ষে বাটা দিয়ে রান্না হবে।
তিনি বলেন, তার মানে এই নয় যে, এ সব পছন্দ করি বলেই এ সব খাওয়াকে মূল্যবান মনে করি, আমার আরও খাবার থাকতে পারে সেগুলো হয়তো আমার পছন্দের তালিকায় অনেক নিচে। পছন্দের আর মূল্যায়নের এই তফাৎ মুলধারার অর্থনীতি -তে করা হয় না।
দুর্ভিক্ষ – সেই কুখ্যাত তেতাল্লিশের বাংলার মন্বন্তর। ১৯৪৩ এ অমর্ত্য প্রথম দুর্ভিক্ষ দেখেছিলো। একদিন শান্তি নিকেতনে অমর্ত্য এক অসংলগ্ন ব্যক্তিকে দেখে কথা বলে জেনেছিলো, তিনি প্রায় একমাস অনাহারে রয়েছেন। তখনই সেখানে এক শিক্ষক এসে যাওয়ায় তাঁর কাছে অমর্ত্য জানলো, দীর্ঘ অনাহার মানসিক ভারসাম্য্য নষ্ট করে দিতে পারে।
সেই বাড়া বাড়ি দুর্ভিক্ষে দিদিমার নির্দেশে এক টিনের কৌটো চাল দুর্ভিক্ষ পীড়িতদের দেওয়া হচ্ছিল। বালক অমর্ত্যর মনে হলো, এতে তো তাদের পেটের এক কণাও না ভরলেও, বহু সংখ্যায় সাহায্য করা যাবে।
অমর্ত্য তখন মাত্র দশ বছর। সে তখন অর্থনীতির কিচ্ছু জানে না, দুর্ভিক্ষ কাকে বলে সম্যক জানে না, তবু সেই বয়সেই এটা বুঝতে পেরেছিলো, মানুষের আয়ের তুলনায় খাবারের দাম বেড়ে গেলে মানুষ অনাহারের কবলে পড়ে, মারাও যায়।
পারিবারিক বিপর্যস্তের আলোচনা শুনতে শুনতে অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছিলো। তখন এই প্রশ্নের উদয় হয়েছিলো, কি কারণে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে চাল, যা বাংলার প্রধান খাবার সেটা এতো বাড়ন্ত হয়ে গেলো! এর ফলেই এতো ত্রাস!
এর তিরিশ বছর পরে অমর্ত্য নিশ্চিত করেছিলেন দুর্ভিক্ষ, বিশেষ করে বাংলার দুর্ভিক্ষ নিয়ে তিনি গবেষণা করবেন। ১৯৭০ সালে তিনি আংশিক ভাবে হলেও দুর্ভিক্ষ কি ভাবে ঠেকানো যায় তা নিয়ে গবেষণা করতে শুরু করলেন।
তাঁর মনে প্রশ্ন এলো, কেন এটা ঘটতে দেওয়া হয়েছিল, “বুম ইকনমি” অর্থাৎ যুদ্ধ জনিত আকষ্মিক দামবৃদ্ধি। সেই সময় জাপান সেনা বর্মা – ভারত সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছিলো। জাপানি সেনার একটা অংশ ব্রিটিশ বিরোধী আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে ছিল ভারতেই, ইম্ফলে।
ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী, ব্রিটিশ সেনাবাহিনী, আর পরে আমেরিকার সেনাবাহিনী সকলেই খাবার কিনছিলো তাদের জন্য এবং যুদ্ধে নিযুক্ত আরও অসংখ্য লোক ও যুদ্ধ সংক্রান্ত নির্মাণ কার্যে লোকজনের জন্য খাবার দরকার হচ্ছিল।
চাহিদাবৃদ্ধির ফলে বিপুল মুদ্রাস্ফীতিতে আতঙ্ক ও ফাটকাবাজি বেড়ে গিয়েছিলো। ১৯৭০ এ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা করতে গিয়ে অমর্ত্য সেন এর উপলব্ধি – খাবারের লভ্যতার বদলে তা কিনতে পারার সুযোগের ওপর নজর দেওয়া হয়নি। অনাহার মানে বাজার থেকে যথেষ্ট খাবার কিনতে না পারা, বাজারে যথেষ্ট খাবার না থাকা নয়।
এই বুনিয়াদি বিশ্লেষণ জটিলও নয়, নতুনও নয়। যুদ্ধকালীন অর্থনীতিতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম শ্রমিক শ্রেণীর নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিলো। উচ্চবিত্ত কিন্তু মোটামুটি ঠিকাঠাক ছিলো।
অমর্ত্য এর জন্মের পর রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন তার মা অমিতাকে, ছেলের অতিপ্রচলিত নাম রাখা এক একঘেয়েমি ব্যাপার হবে। রবীন্দ্রনাথের দেওয়া অপ্রচলিত নামকরণ হলো – ‘অমর্ত্য’। মানে যার মৃত্যু নেই। ‘মর্ত্য’ এসেছে ‘মৃত্যু’ থেকে। ‘অমর্ত্য’ মানে “মৃত্যু নেই”।
শান্তিনিকেতনে জন্ম তাঁর, দিদিমা কিরণবালা ধাত্রী হিসাবে অসাধারণ ছিলেন অমর্ত্য যখন ‘প্রসুতি ও শিশুমৃত্যু এবং রুগ্নতা’ নিয়ে গবেষণা করছিলেন, তখন স্মরণে এসেছিলো – রান্নাঘরে মোড়ায় বসে দিদিমার কথা শোনা- প্রয়োজনীয় এন্টিসেপটিক ব্যবহারে মৃত্যুর হার অনেক কমানো যায়।
১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত বর্মায় অবস্থানকালে স্মৃতিমেদুরতা- কলকাতা থেকে রেঙ্গুনে রওনা হওয়া আর জেটিতে দাঁড়ানো দিদিমার অবয়ব ছোট হতে থাকায় জাহাজটাকে থামানোর জন্য পাগলের মতো ডাকাডাকি করা।
বর্মার কয়েকটা নাম তাঁর স্মৃতিতে জ্জ্বলজ্জ্বলে- রেঙ্গুন, পেগু, পাগান, ভামো, মায়নিমা আর চিন দেশ থেকে সাগর পেরিয়ে বজ্রের মতো নেমে আসে ভোর- রাডিয়ার্ড কিপলিং। অমর্ত্যর পিতার পিএইচ ডি ডিগ্রি তাই তিনি ড. সেন নামে পরিচিত আর তাই চিকিৎসা প্রার্থীরা তাঁর কাছে আসলে সাধ্যমতো তাদের দেখিয়ে দিতে হয় সরকারী হাসপাতালের খোঁজ।
অমর্ত্যর পিতৃপুরুষের আদি বাড়ি মাণিকগঞ্জ জেলায় “মত্ত” নামে এক ছোট গ্রামে ঢাকা থেকে তার দুরত্ব তেমন নয়। কিন্তু তখন তাঁর বাল্যকালে এই নদী সেই নদী করে গোটা দিন চলে যেতো। আজকাল যা কয়েক ঘন্টায় পৌঁছনো যায়।
অমর্ত্য তাঁর মা, বাবার বিয়ের বিবরণ চমৎকার ভাবে মনে করেছেন। মা অমিতা সেন এর পরিবারের খুব কাছের মানুষ রবীন্দ্রনাথ। অমিতা এক নতুন নৃত্যশৈলীর শিল্পী। যা আধুনিক নৃত্য বলা চলে। বাবা আশুতোশ সেন অতি চমৎকৃত হয়েছিলেন জেনে যে রবীন্দ্রনাথের প্রচুর নৃত্যনাট্যে অমিতা প্রধান নারী চরিত্রের অবতারণ।
এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে উচ্চাঙ্গের নাটকে অবতীর্ন হওয়া এক বিরল ঘটনা। অমিতা, আশুতোষের বিবাহের পুর্বে সিনেমা দেখতে যাওয়াও এক অতি বিরল ঘটনা। অমর্ত্যর জীবনে আউয়াংআন সুকি এর পরিচয় একটি বিশেষ ঘটনা। সুকি ১৯৬২ সালে বর্মায় হিংসাত্মক অভ্যুত্থানে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধগত সাহসের সঙ্গে নেতৃত্ব দেন।
সুকি কিন্তু অসহায় এক বাংলাভাষী মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে অস্বীকার করেছিলেন। অমর্ত্য সেন আশ্চর্য হয়েছিলেন বর্মীবাসীদের ব্যবহারে। যে দয়াপ্রেমী বর্মীদের দেখেছিলেন তারা কি ভাবে সংঘটিত হয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতা, অত্যাচার ও হত্যা করতে পারে।
সেনাবাহিনীর প্রচারের দৌলতে বর্মার নাম বদলে হয়ে গেছে মায়নামার। বর্মার বিষয়ে একটি শিক্ষা যে, এক শান্তশিষ্ট লোক সমষ্টি প্ররোচনার ফলে ভয়ংকর রুপান্তরিত হতে পারে। অমর্ত্যর শিক্ষা শুরু বর্মায় স্কুল সেন্ট গ্রেগরিজ।
সেটি একটি আমেরিকান ফাউন্ডেশন দ্বারা চালিত। তাদের প্রনাউন সেশন মাঝে মাঝে বুঝতে অসুবিধে হতো – আমেরিকান ইংরেজি। হেড মাষ্টার ব্রাদার হুড এর প্রিয় শব্দ “শাইন করা” অমর্ত্যর সহ্য হয় নি, তিনি অতো ঝকঝকে হতে চান নি।
১৯৯৮ সালে নোবেল পাওয়ার পর অমর্ত্য যখন ঢাকায় গেছেন একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে, তখন কার হেডমাষ্টার বললেন- ছাত্রদের উৎসাহ দিতে আপনার পরীক্ষা খাতা খুঁজতে গিয়ে হতাশ হয়েছি, ৩৭ জনের মধ্যে আপনিও ৩৩ নং। পরে খানিক মোলায়েম সুরে বললেন- বোধহয় সেন্ট গ্রেগরি ছাড়ার পর আপনি ভালো ছাত্র হয়ে ওঠেন!
“পাচিল ছাড়া” শান্তিনকেতনে দশ বছরে শিক্ষাগ্রহণে ছুতোরের, গানের (মোহর দি – কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়) ফুটবলে সুবিধে করতে পারেন নি। একমাত্র ১৯৪৭ সালে ১৫ আগষ্ট খেলাধূলোয় বস্তা দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া। অপরগতা এন সি সি তেও। কোন তর্ক-বিতর্কে সুবেদারের বিরুদ্ধে মেজরের কাছে চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানালে মেজর তাঁকে দল থেকে নিষ্কাষণ করে বলেন ডাক আসলে ডেকে নেওয়া যাবে।
সে ডাক আসে নি। তাঁরও সেনাবাহিনীর (এন সি সি) -র কাজ শেষ। গান্ধীজি ১৯৪৫ সালে শান্তিনিকেতনে এসে আলাদাভাবে গানের ক্লাস নেওয়া হয় শুনি বলেছিলেম, “মানবজীবন তো একটা গান”, আর সঙ্গীত চর্চা কেন! রবীন্দ্রনাথ থাকলে প্রতিবাদ নিশ্চয় করতেন।
ছোট বেলা থেকে অমর্ত্য সংস্কৃত ভাষা ও গৌতম বুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত। চারটি কারণ ছিলো বুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার,
১। কোনও অবস্থান কে গ্রহণ বা বর্জন যুক্তির ওপরেই করতেন।
২। মানবিক ভাবে কাছাকাছি থাকা।
৩। “ঈশ্বর” কি আছেন? এর মতো ধর্মীয় প্রশ্নকে বদলিয়ে দেওয়া।
৪। বুদ্ধের দৃষ্টিভঙ্গি ভারতীয় দর্শনে উচ্চারিত “সামাজিক” চুক্তির নৈতিকতা থেকে আলাদা।
অমর্ত্য অতি স্বচ্ছন্দ ছিলেন সংস্কৃত’র। তাঁর প্রিয় “কালিদাস” এবং গনিতের জ্ঞানতত্তে এই দুই ভিন্নমুখী সামঞ্জস্যপূর্ণ আকর্ষণে। তিনি বেশ দ্বিধা বিভক্ত হয়েছিলেন যখন তাঁকে পুরস্কার দেওয়ার সময় তাঁর দুটি জিনিস চেয়েছিলেন দীর্ঘকালীন ধার হিসেবে। তিনি অনেক ভেবে তাঁর প্রিয় বই ৪৯৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে চলে আসা সংস্কৃতে লেখা আর্যভট্ট’র বই ও তাঁর বাই-সাইকেল দিয়েছিলেন।
১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষ’র গবেষণার সময় দুরে খামার বাড়ীতে নানান খবর পেতে এই বাইসাইকেল ছিল তাঁর ভরসা। ছেলেবেলা থেকে “মার্কস” তাঁকে ভাবিয়েছিলো – কলকাতায় প্রেসীডেন্সী বা কোন কলেজে অর্থনীতির কোন ক্লাসে মার্কস নিয়ে বিশেষ আলোচনা হতো না।
অমর্ত্য চিন্তা করেছিলেন মার্কসের “নন-এক্সপ্লয়েটেশন” এবং “নিডস প্রিন্সিপল” এই দুই চিন্তাধারা। অমর্ত্য মার্কসের “অবজেকটিভ ইলিউশন” ও “ফলস কনসাশনেস” নিয়ে উৎসাহিত ছিলেন।
অমর্ত্য সেন এর রচিত বই গুলি কিছু আলোচনা- ছাত্র বয়সে ছাত্র অমর্ত্য সেন এর “চয়েস অব টেকনিকট” – উন্নয়নের অর্থনীতি। “গ্রোথ ইকনমিকস” সংকলনে তাঁর সম্পাদনায়- প্রবুদ্ধির তত্ত্ব। পাঠক্রমে পড়ানো হয়। আর একটি “ডেভেলপমেন্ট এজ ফ্রিডম” পাঠ্যতালিকায় থাকে। কিন্তু তার কতটুকু সিলেবাসে থাকবে তা বোঝার উপায় নেই।
১৯৬২/৬৩ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত নোবেল প্রাপ্তি পর্যন্ত অমর্ত্য অর্থনীতি এবং সামাজিক চয়ণ তত্ত্বে বিপুল অবদান রেখেছেন। ষাট সত্তরের দশকে উচ্চাঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক গবেষণা পত্র আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করেছেন।
নোবেল কমিটির মতানুসারে এই তাত্ত্বিক অবদানের জন্যই তাঁকে নোবেল দেওয়া। দর্শন ভিত্তিক অর্থনীতিতে তিনি তখন মুখর। ১৯৭০ সালে তাঁর “কলেকটিভ চয়েস অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার” – সামাজিক তত্ত্বের ওপর টেক্সট বই।
১৯৭৩ সালে “এন ইকনমিক ইনকোয়ালিটি” – অসামান্য বিষয়ে। অসামান্য বিষয়ে কোন আলোচনা এই বই ছাড়া হবে না। ১৯৮৫ তে “কমোডিটিজ এজ কেপেনেলোটিজ” তাঁর স্ব-ক্ষমতার ধারণা। অমর্ত্য সেন এর বই বিভিন্ন চল্লিশটি ভাষা ও কয়েক ডজন পেয়েছেন এই বিষয়ে পি এইচ ডি। তবুও কলেজ ইউনিভার্সিটি ছাত্রদের কাছে তা অনাস্বাদিত থাকছে।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাসে ঠাঁই পেয়েছে – “আইডেনটিটি এন্ড ভায়োলেন্স – এান ইলিউশন অব ডেসটিনি”। পরিচয়ের আড়ালে নিষ্ঠুরতা। কোন একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের পরিচয়ের ভিত্তিতে মানুষকে দেখার বিপদ।
প্রেসিডেনটে পড়ার সময় তিনি “ওরাল” ক্যনসারে গ্রসিত হয়েও ভাল ভাবে সুস্থ হয়ে ফিরেছিলেন। নন-কলেজিয়েট হতে হতে (কারণ তাঁর উপস্থিতির প্রতিশত কম) নিয়মিত ছাত্র রুপে পরীক্ষা দিতে পেরেছিলেন।
কেমব্রিজ থেকে কলকাতায় ফিরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রতিষ্ঠিত কালে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হয়ে কাজ করেছিলেন কিন্তু ট্রিনিটি কলেজ থেকে তাঁর প্রাইজ ফেলোশিপ পাওয়ায় চলে যান সেখানে পুনরায়। অবশ্য তেমনই পূর্ব হতে স্থির ছিলো।
অমর্ত্য সেন এর প্রথমা স্ত্রী নবনীতা দেবসেন, আলাপ ১৯৫৯ সালে। বিবাহ বিচ্ছেদ ১৯৭৩ সালে। দ্বিতীয়া স্ত্রী ইভা কর্লোনি (১৯৭৮ – ১৯৮৫)। বর্তমান স্ত্রী এমা রথসচাইল্ড। অমর্ত্য সেন এর সন্তান – নন্দনা, কবির, ইন্দ্রানী, অন্তরা।
বর্তমানে শান্তিনিকেতনে নিজ বাসভবনে বাস ড. সেন এর। শেষটা এই ভাবে বলা যায়,
১। তিনি চিন্তাভাবনাকে উদার ও প্রসরিত করতে বলেন।
২। দেশ কালের সীমা অতিক্রম করে মানবিক সহ মর্মিতার কথা বলেন।
৩। সহ বোধের অনুশীলনীর কথা বলেন এবং
৪। পৃথিবীর মাঝে আপন বাসা খুঁজে নেওয়া।
তথ্যসূত্র
অমর্ত্য কুমার সেন
ও
অচিন চক্রবর্তী