ব্যবসা ও বাণিজ্য

ভারতের ডায়মন্ড ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাস

সুরাত ডায়মন্ড বুটসের বিস্তারিত বিবরণ

বিজ্ঞাপন

প্রায় ৮০ বছর ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অফিস বিল্ডিং হিসেবে ইউএসএ সেনা দপ্তর পেন্টাগন হিসেবে পরিচিত থাকলেও সম্প্রতি ভারতের গুজরাটে ‘সুরাত ডায়মন্ড বুটস’ সর্ববৃহৎ অফিস বিল্ডিং হিসেবে পরিচিতি পায়। ৭০ লক্ষ স্কয়ার ফিটের এই অফিস কমপ্লেক্সে ৯টি আয়তাকার বিল্ডিং একটি সিঙ্গেল ক্যারেটরের মাধ্যমে সংযুক্ত।

সুরাত ডায়মন্ড বুটসের বৈশিষ্ট্য

  • বিল্ডিং কমপ্লেক্স: ৯টি আয়তাকার বিল্ডিং একটি সিঙ্গেল ক্যারেটরের মাধ্যমে সংযুক্ত।
  • ব্যবহার: ডায়মন্ড কাটিং, পলিশিং ও ট্রেডিংয়ের সেন্ট্রাল খাত হিসেবে ব্যবহৃত।

ভারতের ডায়মন্ড ট্রেডিং

ভারত ডায়মন্ড ট্রেডিংয়ের জন্য এত বড় অফিস বিল্ডিং তৈরি করেছে কারণ বিশ্বের ১৫টি ডায়মন্ড জুয়েলারির মধ্যে ১৪টি ডায়মন্ড ভারত থেকে আসে। ধারণা করা হয়, প্রায় তিন হাজার বছর আগে ভারতে হীরার সন্ধান পাওয়া যায়। ভারতের বেশিরভাগ ডায়মন্ড অন্ধ্রপ্রদেশের পান্না ও কৃষ্ণ নদী উপত্যকায় পাওয়া যেত।

গোলকান্দা ডায়মন্ডস

  • মাইনিং এলাকা: পান্না এবং কৃষ্ণ নদীর উপত্যকা।
  • ট্রেডিং সেন্টার: গোলকান্দা, যা বর্তমানে হায়দ্রাবাদে অবস্থিত।

ডায়মন্ড কাটিং ও পলিশিং

ডায়মন্ড কাটিং ও পলিশিং শুরু হয় ১৪০০ শতাব্দীতে বেলজিয়ামের এনটপ শহরে। ভারতের বেশিরভাগ আনকাট ডায়মন্ড কাটিং এবং পলিশিংয়ের জন্য ইউরোপের বেলজিয়ামে নিয়ে আসা হত। ১৮০০ শতাব্দী পর্যন্ত বিশ্বে একমাত্র ডায়মন্ডের সোর্স ছিল ভারত।

ব্রাজিলের ডায়মন্ড মাইন

১৭০০ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলে ডায়মন্ড মাইন আবিষ্কার হলে ধীরে ধীরে ভারতের ডায়মন্ড মাইন এবং ট্রেডিং কমে আসে। ১৯৬০ এর দশকে ভারতের কিছু ব্যবসায়ী এনটপ থেকে লো কোয়ালিটি ডায়মন্ড ভারতে আমদানি করা শুরু করে।

ভারতের ডায়মন্ড প্রসেসিং

ভারতে বিশ্বের ৯০% ডায়মন্ড কাটিং এবং পলিশিং করা হয়। গুজরাটের সুরাত থেকে ডায়মন্ড প্রসেস শেষে সেগুলো ট্রেনে করে মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক্সপোর্ট করা হয়। ২০১৫ সালে গুজরাটের সুরাতে ডায়মন্ড রিসার্চ এবং মার্চেন্ট সিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সুরাত ডায়মন্ড বুটস

  • আয়তন: প্রায় ৭১ লাখ স্কোয়ার ফিট।
  • খরচ: প্রায় ৩২শ’ কোটি রুপি।
  • বিশেষ বৈশিষ্ট্য: ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনগুলোতে ১৩ তম তলা নেই।

ভারতের ডায়মন্ড ইন্ডাস্ট্রি

ভারতের ডায়মন্ড কাটিং ও পলিশিংয়ের খরচ অনেক কম। আমেরিকাতে প্রতি ক্যারেট ডায়মন্ডের কস্টিং খরচ ১০০ ডলার, সেখানে ভারতে খরচ ১০ ডলার। ২০০০ সালের পর থেকে উন্নত মানের টেকনোলজি প্রয়োগের ফলে ভারতের কারিগরেরা দ্রুত দক্ষ হয়ে ওঠে।

উপসংহার

ভারতে ডায়মন্ড ব্যবসায়ীরা খুব সহজে এবং কম খরচে লেবার সোর্স পেয়ে থাকে। ডায়মন্ড কাটিং এবং পলিশিংয়ের জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা ডায়মন্ডের মান উন্নত করতে সহায়ক। ভারত সরকার ডায়মন্ড ইন্ডাস্ট্রির উন্নতির লক্ষ্যে নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে।

ছবি: Image by freepik

বিজ্ঞাপন


Discover more from অভিযাত্রী

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

আল-মামুনুর রশিদ সাগর

আমার জীবনের লক্ষ্য হলো পৃথিবীকে এগিয়ে নেয়া। আমি জলবায়ু পরিবর্তন, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা, ক্রীড়া উন্নয়ন, প্রকৃতি ও পরিবেশের উন্নয়ন, দারিদ্র্য বৈষম্য এবং দুর্নীতি রোধে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি, আমি আগামীর শিশুদের জন্য একটি টেকসই ব্যবস্থা রেখে যেতে চাই। আমি পুরুষ, নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গ সবার জন্য সমান গ্রহণযোগ্যতা আনয়নে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি।

Related Articles

Leave a Reply

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from অভিযাত্রী

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading