লাইফস্টাইল

বই পড়ার গুরুত্ব: জ্ঞানার্জন থেকে মানসিক বিকাশ

কেন বই পড়া আমাদের জীবনে অপরিহার্য এবং কীভাবে এটি আমাদের মানসিক ও সৃজনশীল দক্ষতা বৃদ্ধি করে?

মাছ খেতে কে না ভালবাসে!

মাছ খেতে কে না ভালবাসে! কিন্তু তাকে এমনি ফেলে রাখলেই তো হবে না। তাকে সঠিক পদ্ধতিতে রাঁধতে হবে, সুচারুরূপে পরিবেশন করতে হবে। মাছের লক্ষ, হাজার রেসিপি তৈরী করে রাখো। কেমন গুনীজনে হাপুস হুপুস করে চেটে খাবে।

বই পড়ার গুরুত্ব

বর্তমান পরিস্থিতি

আজকাল শোনা যায়, অভিজ্ঞতাও বলছে, কেউই বই পড়তে চায় না। বলো যদি তাদের মানে জ্ঞান দেওয়া আর কি যে বই পড়া উচিত শিক্ষার আধার বই, কেউ শুনবে কি! সব পালিয়ে যাবে।

বইকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন

তাই করতে হবে বইকেও শোভনভাবে পরিবেশন। সব বিষয়ে শিক্ষা নয়। যদি বলা যায়, “তোমাকে প্রেম করিতে হইবে, না হইলে তোমায় পিটাইয়া শেষ করিয়া ফেলা হবে।” হয় কি তা! কাউকে আদেশ করলে কি প্রেম করা যায়! প্রেম কি করা যায়! প্রেম তো হয়ে যায়! তখন আবার কেউ বলে, যদি এই সরে আয় ওখান থেকে, লোকে কি বলবে! সে সময় এই শিক্ষা কি কেউ কানে নেবে! যদি সে সত্যিই প্রেমে পড়ে যায়! জ্ঞান কাজে আসবে না তখন।

বইপ্রেমে মজে যাওয়া

এখন ভাবো কেউ মনে করো বইপ্রেমে মজে গেলো! তাহলে কেমন হয়! অনেকটা দায়িত্ব মনে হয় লেখক, কবি, প্রবন্ধকারদের অধিক। আবার সেই লেখা বা রচনাগুলি যা অধিকাংশই পরিচ্ছন্ন, মার্জিত, শোভিতভাবে পান্ডুলিপি বদ্ধ হয়, তখন তার পরবর্তী গুরু দায়িত্ব থাকে সে গুলি মনোরমভাবে প্রকাশ করা ‘বই বাজারে’।

বই প্রকাশনার গুরুত্ব

লেখক ও প্রকাশকের দায়িত্ব

তাঁদের কর্তব্য যথাসাধ্য রুপে ভালো কাগজ, ঝকঝকে ছাপার প্রতি প্রখর মনোযোগ থাকা। অর্থাৎ বই প্রকাশকের বিরাট দায়িত্ব। কিছুটা দায় বইয়ের প্রচ্ছদশিল্পীর। বইয়ের প্রচ্ছদ দেখে পাঠক (ক্রেতা) আকর্ষিত হয়ে ভাবেন, “দেখি এটা উল্টে, ভিতরে কি আছে?” তো অনেক কেল্লা ফতে!

রচনাকারের দক্ষতা

একটি বই তার রচনাকার, প্রুফরিডার, প্রচ্ছদ শিল্পী তথা প্রকাশকের মিলিত পরিশ্রমের ফল হলেও সব চেয়ে বড় দক্ষতা তার রচনাকারেরই। এই ধারণা গুলি সবই আমার মনের মাধুরী মিশাইয়া বললাম। কারুর সঙ্গে মত না-ও মিলতে পারে।

উপসংহার

বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু জ্ঞানার্জনের মাধ্যম নয়, বরং মানসিক বিকাশের জন্যও অপরিহার্য। বইকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করলে পাঠকরা বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হবে। লেখক, প্রকাশক এবং প্রচ্ছদশিল্পীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি বই হয়ে ওঠে পাঠকের প্রিয়। তাই, বই প্রকাশনার প্রতিটি ধাপে যত্নবান হওয়া উচিত।

শ্রীমতী স্মৃতি দত্ত

অ্যাডভোকেট, লেখিকা, বঙ্গীয় সাহিত্যের সদস্য, কীবোর্ড প্লেয়ার, অ্যামওয়ে ব্যবসার মালিক। আমার লেখা সর্বশেষ বইয়ের নাম, ‘কেমেষ্ট্রি প্র্যাকটিক্যাল ও টি.ভি শো’ এবং ‘লেনিন সাহেবের সাথে দেখা’ বইটি Flipkart -এ নেবার জন্য ক্লিক করুন: https://www.flipkart.com/lenin-saheber-sathe-dekha/p/itmc9bfae4c39392

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button