বিস্ময়ের চমক শরৎচন্দ্র ও তাঁর ১০টি অমূল্য রচনা
কে এই ব্যক্তি? এটিও নিশ্চিত কোন ছদ্মনাম! কে এই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়! এর উত্তর পেয়েছে পাঠক পরবর্তী তাঁর প্রতিটি উপন্যাস, গল্পে। বেরুনো মাত্র যা তুমুল জনপ্রিয়। সমকালে যা অন্য লেখক পাননি।
অন্য লেখকেরা অনেকে প্রশংসা পেয়েছে, কিন্তু সার্বজনীন হৃদয়ের এমন আতিথ্য পায়নি। এ বিস্ময়ের চমক নয়, এ তো প্রীতি। অনায়াসে যে প্রচুর সফলতা তিনি পেয়েছেন তাতে তিনি আমদের ঈর্ষাভাজন। আজ তাঁর অভিনন্দন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে উচ্ছসিত... তিনি বাঙালীর হৃদয়ে বেদনার কেন্দ্রে আপন বাণীর স্পর্শ দিয়েছেন।
যাঁর সম্পর্কে কথা গুলি বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তিনি আর কেউ নন, তিনি অমর কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। সন্দেহ নেই একদা ‘বিস্ময়ের চমক’ নিয়েই কথা শিল্পী শরৎচন্দ্রর আবির্ভাব। কেউ ভাবতে পারেন নি যখন ‘ভারতী’ পত্রিকায় এক অজানা লেখকের ‘বড়দিদি’ নামে এক উপন্যাসের দুই কিস্তি ছাপা হলো, তখন অনেকেই কল্পনা করতে পারেন নি এই অসামান্য রচনা এক অখ্যাত নবীন লেখকের, যার নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এমন কি শেষ পর্বে যখন তাঁর মুদ্রিত হলো নাম তখনো কাটতে চায় নি অবিশ্বাসের ঘোর।
কে এই ব্যক্তি? এটিও নিশ্চিত কোন ছদ্মনাম! কে এই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়! এর উত্তর পেয়েছে পাঠক পরবর্তী তাঁর প্রতিটি উপন্যাস, গল্পে। বেরুনো মাত্র যা তুমুল জনপ্রিয়। সমকালে যা অন্য লেখক পাননি।
শরৎচন্দ্রের কয়েকটি রচনা
১. গৃহদাহ
২. মেজদিদি
৩. বড়দিদি
৪. পন্ডিত মশাই
৫. পরিণীতা
শরৎচন্দ্র নারী চরিত্র কে যতো নিকর হতে দেখেছেন সে দৃষ্টি ভারতীয় ভাষার অন্য উপন্যাসকার গনের ছিল না। শরৎচন্দ্রর প্রত্যেক উপন্যাসে প্রত্যেক নারী চরিত্র জীবনের সঙ্গে জুড়ে থাকা সমস্যা আর তার অন্তর্দ্বন্দ্বের ভাবে সজীব চিত্র কলা যেন।
ললিতার সঙ্গে তার বিবাহ অসম্ভব এটা জেনেই শেখর তার আশা ত্যাগ করেছিলো। কিছু দিন শেখর ভয়ে ভয়ে ছিল যেন ললিতা তাদের এক পুতুলের বিয়ের অবকাশে তাদের মালাবদলের বৃত্তান্ত প্রকাশ না করে দিক, এই রকম পরিস্থিতিতে। এই ভেবেভেবেই তার হৃদয় থাকতো উদবেলিত।
উপসংহারে মিলন বেলায় শেখর মনে মনে গিরীন এর মহানুভবতা মনে প্রাণে স্বীকার করেছিলো।
৬. শ্রীকান্ত
চার খন্ডে প্রকাশিত এই উপন্যাস প্রথমে লেখকের নাম হিসাবে ছিল ‘শ্রীকান্ত শর্মা’ নামে। জনপ্রিয়তার কারণে শ্রীকান্ত পঞ্চম পর্ব হবে কি না প্রশ্ন উঠেছিলো কিন্তু শরৎচন্দ্র আগে আর লিখতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন - আমি খুব যত্ন করে মন দিয়ে শ্রীকান্ত লিখেছি, হৃদয়বান পাঠকের ভালো লাগবে ভেবে। সঙ্গে এ কথাও বলেছিলেন, এ বই ছাপা হোক তা তিনি চান নি।
৭. দেবদাস
আর বোধহয় কোনো উপন্যাস নেই, যা এমন প্রেমের নিদর্শন তৈরী করেছে! দেবদাস ও পারুর এমন মার্মিকতা আর দ্বিতীয় কোনো গল্পে নেই। কাহিনীরি চলচিত্র রুপায়ণেও রেকর্ড ব্রেক করেছে ও ভারতীয় বহু ভাষাতে দেবদাস চিত্রিত হয়েছে।
এই গল্পে শরৎচন্দ্র নায়ক নায়িকার দুঃখ, দরদ কে পাঠক তথা মানুষের মনে উজার করে ঢেলে দিয়ে যেন মনের মধ্যে ছেপে দিয়েছেন!
৮. চরিত্রহীন
৯. পথের দাবী
১০. শেষ প্রশ্ন
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় য়ের রচনাসমুহ হিন্দি তো বটেই বহু ভারতীয় ভাষাতে অনূদিত হয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?