নানা দাবিতে আইইউটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
আইইউটি বিশ্ববিদ্যালয় নানা দাবিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। যে সকল দাবি নিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ভিক্ষাব নেমেছিল। বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামার কারণ।
প্রথম প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৩
ছুটিকালীন পকেট খরচসহ নানা দাবিতে গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেছে। গত রোববার রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে অবস্থান নেন তারা। এরপর তারা গেট বন্ধ রেখে বিভিন্ন দাবি জানায়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে না। পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাস প্রধান ফটক খুলে দেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, “তারা বিভিন্ন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে তবে তারা পাশের দাবি করেছে।” এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সুবিধা, ছটির সময়ে পকেট খরচ, কক্ষের এসি ও ওয়াসিং ব্যবস্থার দাবি করেছে তারা। তবে তাদের দাবি যৌক্তিক ও পূরণ করার মতো নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, “বিদেশি শিক্ষার্থীরা খারাপ রেজাল্ট করেও চাকরির নিশ্চয়তা, আবাসিক হোটেলে তাদের কক্ষে এসি, ওয়াশিং মেশিন লাগানো ও অভ্যন্তরীণ একটি পরীক্ষা বাতিলসহ নানা বিষয় দাবি করছেন। শিক্ষার্থীদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।”
নেপাল থেকে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছুটিতে আমরা বাড়ীতে যেতে পারি না। আর সেই সময়ের নিজের খরচও বাসা থেকে নেওয়া হয় না। কিন্তু এখানে থাকতে আমাদের বেশ কষ্ট হয়। তাই আমরা ছুটির মধ্যে কিছু খরচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দিলে সুবিধা হয়। এছাড়া আমাদের এত পরীক্ষা দিতে সমস্যা হয়। সেটির বিষয়ে একটা একাডেমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ভালো হয়।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএস নাহিদুল ইসলাম বলেন, “বিদেশি শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য না হয়েও মোটা একটা অংশ চাকরির নিশ্চয়তা চায়। যেটি দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া আরো কিছু দাবি করেছে, যেগুলা নিয়ে উপাচার্য স্যার সবার সঙ্গে আলোচনা করবেন। তারপর এসব ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত জানাবেন।”
উল্লেখ্য, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) ইসলামিক দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সহযোগিতায় পরিচালিত হয়। ১৯৮১ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশের গাজীপুরের বোর্ডবাজারে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশ সুনামের সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?