বর্ধিত চাঁদার জন্য লেগুনা আটকে রাখলো জাবি ছাত্রলীগ

আজকে আমরা আপনাদের জানাবো ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে লেগুনা আটকে রাখার অভিযোগ সম্পর্কে। জাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলে লেগুনা চালকরা। চাঁদা তোলার উদ্দেশ্য লেগুনা আটকে রাখার অভিযোগ করে লেগুনা মালিকরা। এই ব্যাপারে জানতে পোস্ট টি পড়ুন।

Mar 4, 2024 - 16:00
Mar 4, 2024 - 07:09
 0  5
বর্ধিত চাঁদার জন্য লেগুনা আটকে রাখলো জাবি ছাত্রলীগ
বর্ধিত চাঁদার জন্য লেগুনা আটকে রাখলো জাবি ছাত্রলীগ

প্রথম প্রকাশ: ৪ আগস্ট, ২০২৩

চাঁদার হার বৃদ্ধি করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ২৪টি লেগুনা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। গত বুধবার থেকে গাড়িগুলো আটকে রাখা হয়েছে। লেগুনার মালিক ও চালকরা জানান, সাভার-আশুলিয়া রুটে চলাচলকারী গাড়িগুলো থেকে দিনপ্রতি হিসাবে চাঁদা আদায় করে জাবি ছাত্রলীগতবে কিছু দিন আগে থেকে তারা আগের চেয়ে বেশি চাঁদা দাবি করে আসছিলো। তাদের দাবি পূরণ না করায় গাড়িগুলো আটকে রাখা হয়েছে।


অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করে বলেন “তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেলে লেগুনা ধাক্কা দেয়। সেটির মিমাংসা না হওয়ায় তারা গাড়ি আটকে রেখেছে।”


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধাবর ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশে মীর মশাররফ হোসেন হল গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে লেগুনা আটকাতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। রাতে লেগুনা মালিক সমিতির নেতারা এলে কয়েকটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এসময়ও প্রায় ১০টির বেশি লেগুনা আটকে রাখা হয়


পরবর্তীতে আরো কিছু লেগুনা ধরে আটকে রাখে তারা। মালিক পক্ষের সঙ্গে মিমাংসা করে সেগুলা ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও গাড়িগুলো আটকে রাখা হয় এবং তাদের ডাকলে কাউকে পাওয়া যায়নি।


আরো জানা যায় সাভার-আশুলিয়া রুটে প্রতিদিন প্রায় দুই শ লেগুনা চলাচল করে। এটির জন্য লেগুনা চালক সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের দিনে লেগুনাপ্রতি ২৫ টাকা চাঁদা দিতে হতো। সেই হিসাবে মাসে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দিতেন তারা। গত দুই মাস চাঁদা দেওয়া বন্ধ ছিল। এখন ছাত্রলীগ নেতারা লেগুনাপ্রতি ১০০ টাকা দাবি করছেন। মালিকপক্ষ এটি দিতে অস্বীকার করায় লেগুনা আটকে রাখা হয়েছে


ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে সিঅ্যান্ডবি এলাকায় মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র তানভীর ও তারেকের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয় একটি লেগুনা। এ ঘটনায় তিনটি লেগুনা আটক করার পর চালকরা নকল চাবি দিয়ে সেগুলো নিয়ে যানএতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা লেগুনাগুলো আটকেছে। মালিকপক্ষকে কথা বলার জন্য ডাকা হয়েছে। তবে তারা না আসায় লেগুনাগুলো ছাড়া হয়নি


বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “হলের ছোট ভাইয়েরা লেগুনাগুলো আটকেছে। তাই মালিকপক্ষকে কথা বলার জন্য ডেকেছি। তারা আসেনি এভাবে ফিটনেসবিহীন গাড়ি তো সড়কে চলতে পারে না। আর মালিকপক্ষ না এলে কাদের কাছে গাড়িগুলো দেব? এছাড়া টাকা লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান তিনি


এ বিষয়ে জানতে জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা সাড়া দেননি এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক বলেন, “শিক্ষার্থীরা কেন লেগুনা আটক করেছে বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। এটি আপনি আমার চেয়ে ভালো জানেন।”


সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ বলেন, “শিক্ষার্থীরা লেগুনার ফিটনেস ঠিক করার দাবিতে আটক করেছে বলে জানিয়েছে। তবে বাইরের কোনো গাড়ি ক্যাম্পাসে না রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি এছাড়া কিছু জানা নেই।”

আপনার প্রতিক্রিয়া কি?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

আব্দুস সবুর (লোটাস) ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু জানার চেষ্টায় রয়েছি। নিজের অভিজ্ঞতা, চিন্তা ও ভাবনাগুলো লিখতে ভালোবাসি।